আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একুশ শতকে মুসলিম বিশ্ব ও অর্থনীতি

I want to make me as a blog writter.

তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, একুশ শতককে মুসলিম বিশ্বের অর্থনীতির জন্য ‘সোনালি যুগ’ বলা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে ইতিহাসের নিরীখে মুসলিম উম্মাহর উন্নয়নের অনস্বীকার্যতা আলোচনা করতে হবে। একুশ শতকে মুসমলিম বিশ্বের অর্থনীতিকে সোনালি যুগ বলার পেছনে ৮ টি ফ্যাক্টর আলোচনা করা আবশ্যক। ফ্যাক্টর গুলো হচ্ছে প্রথমত, গড়ে বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের চেয়ে মুসলিম দেশগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অনেক বেশি। দ্বিতীয়ত, বিশ্বব্যাপী কমবয়সী তরুনদের সংখ্যা গড় বৃদ্ধির চেয়ে মুসলিম দেশগুলোতে এ সংখ্যা বেশি।

তৃতীয়ত, বৈশ্বিকভাবে জ্বালানি ও তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে অন্যদের চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে মুসলিম দেশগুলো। চতুর্থ, সস্তা শ্রম ও মজুরি কাঠামোতে পাথ্যর্কের কারণে সাম্প্রতিক সময়গুলাতে মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোতে বিনিয়োগ প্রবাহ বাড়ছে অন্যান্য দেশের তুলনায়। পঞ্চম, বিশ্বে গড় জনসংখ্যা মাইগ্রেশনের যে হার তার চেয়ে মুসলিম জন্যসংখ্যা মাইগ্রেশনের হার সবচেয়ে বেশি। ষষ্টত, ইতিাহসের ধারাবাহিকতায় মুসলিম দেশগুলোতে ইসলামি আর্থ-সামাজিক মূল্যবোধ পুনরুদ্ধার ও পুর্নজীবিত হচ্ছে। সপ্তম, আমেরিকান অর্থনীতি এবং প্রেট্্েরাডলার সিস্টেমের পতন ও হ্রাস।

অষ্টম, পশ্চিমাদেশগুলোতে পারিবারিক মূল্যবোধ কমে যাচ্ছে যা মূলত পশ্চিমা সভ্যতার ক্ষয়প্রাপ্তকেই নিদের্শ করে। প্রথমত, বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের চেয়ে মুসলিম বিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্স সেন্টার ফোরাম অন রিলিজিয়ন এন্ড পাবলিক লাইফ,এর একটি নতুন জন্যসংখ্যা সমীক্ষা অনুযায়ী ২০১৬ সালের মধ্যে বিশ্বে মুসলিম জনসংখ্যা বর্তমানে সংখ্যাগরিষ্ট খ্রীষ্টানদের স্থান দখল করে নিবে। তখন বিশ্বে মুসলিমরা হবে ইসলাম ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ট জনগোষ্ঠী। কেননা পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে যে, পরবর্তী ২০ বৎসরে মুসলিম জনসংখ্যা ৩৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে।

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মুসলিম জনসংখ্যা যেখানে ১.৬ বিলিয়ন, ২০৩০ সালের মধ্যে তা হবে ২.২ বিলিয়ন। বিশ্বে বর্তমানে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৫ শতাংশ এবং অন্যান্য জনগোষ্ঠীর বৃদ্ধির হার ০.৭ শতাংশ। ফলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে যে, বিশ্বব্যাপী মুসলিম জনসংখ্যার এই বৃদ্ধির হার যদি অব্যাহত থাকে তবে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা ৮.৩ বিলিয়ন হওয়ার যে সম্ভাবনা রয়েছে তার মধ্যে মুসলিম জনসংখ্যাই হবে ২৬.৪ শতাংশ। যেখানে বর্তমানে ৬.৯ বিলিয়ন মানুষের মধ্যে মুসলিম জনসংখ্যা হচ্ছে ২৩.৪ শতাংশ। এর প্রেক্ষিতে বলা যেতে পারে যে, জন্যসংখ্যার বৃদ্ধির এই প্রবনতা ভবিষ্যতে মুসলিম দেশগুলোর আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে।

দ্বিতীয়ত, বিশ্বব্যাপী কমবয়সী তরুনদের গড়ে বৃদ্ধির চেয়ে মুসলিম দেশগুলোতে এ সংখ্যা বেশি। পর্যবেক্ষণে বলা হচ্ছে যে, ভৌগলিক ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিবেচনায় মুসলিম দেশেগুলোতে তরুণ জনগোষ্ঠী পরবর্তী সহ¯্রাব্দ লক্ষ্য অর্জনে গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। কেননা জনসংখ্যা বৃদ্ধির হিসেবে পশ্চিমা দেশগুলোতে তরুণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বয়স্ক জনসখ্যার তুলনায় কম। যেখানে মুসলিম দেশগুলোতে এই চিত্র বিপরীত। কারণ বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মুসলিম জনসংখ্যার মধ্যে তরুণদের সংখ্যা আনুপাতিক হারে বেশি।

কারণ ১৯৯০ সালে সমগ্র মুসলিম জনসংখ্যার ২০ শতাংশ ছিল তরুন-তরুনী, ২০১০ সালে তা হয়েছে ২৫.৮ শতাংশ এবং ২০৩০ সালে এর আনুপাতিক হার হবে ২৯.১ শতাংশ (জনসংখ্যা বৃদ্ধির ভিত্তিতে)। কিন্তু উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও অন্যান্য উন্নত অঞ্চলগুলোতে তরুন জনগোষ্ঠীর চেয়ে বয়স্ব জনসংখ্যা আনুপাতিক হারে বেশি এবং এটা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে মুসলিম জনসংখ্যার তুলনায় বৃদ্ধির হার কম হওয়ার কারণে। তাই মুসলিম দেশগুলোতে তরুন জনগোষ্ঠীর এই বৃদ্ধির আনুপাতিক হারের উপর ভিত্তি করে অনায়াসেই বলা যেতে পারে যে যেখানে পশ্চিমা দেশগুলোতে তরুন প্রজস্মের সংখ্যা ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে সেখানে মুসলিম তরুন জনগোষ্ঠী বৃদ্ধির হার একুশ শতকে ও পরবর্তী সময়গুলোতে মুসলিম সমাজে বংশবৃদ্ধি ও এই ধারাকে অব্যাহত রাখার পাশাপাশি মুসলিম দেশগুলোর আর্থ-সামাজিক ও জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং অন্যান্য সেক্টরে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হবে। তৃতীয়ত, বৈশ্বিকভাবে জ্বালানি ও তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে অন্যদের চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে মুসলিম দেশগুলো। গত এক দশকে চীন, ভারত, ব্রাজিল সহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ব্যাপকভাবে শিল্পায়ন হয়েছে এবং হচ্ছে।

ফলে জ্বালানি ও তেলের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চীন ও ভারতের উচ্চ প্রবৃদ্ধির ফলে এই চাহিদা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। যার ফলে বিশ্বব্যাপী তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মুসলিম দেশগুলো লাভবান হচ্ছে। কারণ বিশ্বের বেশিরভাগ জ্বালানি চাহিদা পূরণ করছে মুসলিম দেশগুলো। ২০১২ সালে চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে আতœপ্রকাশ করে এবং জাপানের স্থান দখল করে নেয়।

কেননা জাপান গত ৪৬ বছর ধরে দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে টিকে ছিল। তবে জাপান তার পূর্বের অবস্থায় ফেরার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৮ সালে অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি পরিমাণ ছিল ১৫ শতাংশ, এই সময়ে এশিয়ায় চীনের রফতানির পরিমাণ এক লাফে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এবং বর্তমানে এশিয়ার দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের রফতানির চেয়ে চীনের রফতানির পরিমাণ তিন গুন বেশি । এছাড়া ২০০২ সালে এশিয়া থেকে চীনের আমদানির পরিমাণ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের আমদানির পরিমাণের চেয়ে পাঁচ গুন বেশি এবং বর্তমাণে চীন এশিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে দশ গুন বেশি আমদানি করছে। এই বাণিজ্যিক কাঠামোর ফলে এশিয়ান কারেন্সি মার্কিন ডলারের তুলনায় চীনের মুদ্রার সাথে বাণিজ্যিক লেনদেনে এগিয়ে যাচ্ছে।

সেই সাথে ভারতের উচ্চ প্রবৃদ্ধির প্রবণতার ফলে শুধুমাত্র তেলের দামই বৃদ্ধি পাচ্ছে না বরং মজুরিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। চতুর্থ, সস্তা শ্রম ও মজুরি কাঠামোতে পাথ্যর্কের কারণে সাম্প্রতিক সময়গুলাতে মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোতে বিনিয়োগ প্রবাহ বাড়ছে অন্যান্য দেশের তুলনায়। সাম্প্রতিক সময়ে মুসলিম দেশগুলো কৃষিতে নির্ভরতা কমিয়ে শিল্পানের দিকে ঝুকছে এবং এইসব দেশে শ্রমের সহজলভ্যতা ও স্বল্প মজুরি হওয়ার কারণে শিল্পায়ন দ্রুত বিকাশ লাভ করছে। যেখানে চীন, ভারতসহ অন্যান্য অমুসলিম দেশগুলোতে শিল্পায়নের পাশাপাশি শ্রম দুষ্প্রাপ্যতা ও শ্রমের মজুরি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এই মজুরি কাঠামোর পার্থক্য মুসলিম দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে।

চীন, ভারত সহ অন্যান্য অমুসলিম দেগুলোতে শ্রম ব্যয়বহুল হওয়ার ফলে মুসলিম দেশগুলোর বিভিন্ন শিল্পের সাথে তারা প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাচ্ছে। যেমন, বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাত উল্লেখযোগ্য। কেননা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রফতানিকারক দেশ হিসেবে বিকাশ লাভ করেছে। ফলে আমেরিকা ও ইউরোপের অনেক বড় বড় কোম্পানি বাংলাদেশের এই খাতে বিনিয়োগ করছে এবং শ্রম সস্তা হওয়ার ফলে তারা অন্যান্য অমুসলিম দেশগুলোর তুলনায় এখানে বেশি লাভবান হচ্ছে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে বিশ্বে বর্তমানে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৫ শতাংশ এবং অন্যান্য জনগোষ্ঠীর বৃদ্ধির হার ০.৭ শতাংশ।

আর এই প্রবণতা যদি অব্যাহত থাকে তবে আগামী দুই দশক পর এই সংখ্যা দিগুন হবে। ফলে দেখা যাচ্ছে যে জনসংখ্যার এই বৃদ্ধির হার এবং সস্তা শ্রমের ফলে মুসলিম দেশগুলো বিশেষ করে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তান মুসলিম বিশ্বের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গভীর প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হবে। পঞ্চম, বিশ্বে গড় জনসংখ্যা মাইগ্রেশনের হারের মধ্যে মুসলিম জন্যসংখ্যা মাইগ্রেশনের হার সবচেয়ে বেশি। ২০০৮ সালের বিশ্বব্যাংকের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, ২০০৫ সালে বিশ্বব্যাপী সামগ্রিকভাবে নারীদের সন্তান জন্ম দানের হার ছিল গড়ে ২ দশমিক ৬ শতাংশ। কিন্তু নয়টি মুসলিম দেশের উপর করা জরিপে দেখা যায় যে, এই হার ছিল গড়ে ২ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

২০০৬ সালে ‘ষ্টাডি পাবলিশড’ এর এক পরিসংখ্যানে বলা হয় যে, বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা স্থানান্তরের এই ধারা অব্যাহত রাখতে প্রত্যেক নারীর গড়ে সন্তান থাকতে হবে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু বৈশ্বিক এর গড় ছিল দশমিক ৩ শতাংশ। অন্যদিকে মুসলিম জনসংখ্যার এই স্থানান্তরের হার ছিল বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে দিগুন দশমিক ৭ শতাংশ। মুসলিম দেশগুলোর জনসংখ্যা স্থানান্তরের এই ক্রমবৃদ্ধির অন্যতম কারণ হচ্ছে, যেখানে আমেরিকা, ইউরোপ ও আফ্রিকার অমুসলিম দেশগুলোতে এইডস সংক্রামন হয়েছে মারাতœকভাবে, সেখানে মুসলিম দেশগুলোতে ইসলামিক ও পারিবারিক মূল্যবোধের কারণে এইডস এর মহামারি থেকে মুক্ত রয়েছে। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়গুলোতে মুসলিম দেশগুলোর অর্থনীতি ও সাস্থ্যসেবা খাতের মান বৃদ্ধি হওয়ার ফলে শিশু মৃত্যু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস পাচ্ছে যার ফলে অন্যান্য অমুসলিম উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় সংখ্যাধিক্য মুসলিম দেশগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে।

ষষ্টত, ইতিাহসের ধারাবাহিকতায় মুসলিম দেশগুলোতে ইসলামি আর্থ-সামাজিক মূল্যবোধ পুনরুদ্ধার ও পুর্নজীবিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে মুসলিম দেশগুলো পুনরায় তাদের অতীত গৌরবজ্জল ইতিহাস ও এতিহ্য দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ইসলামিক আর্থ-সামাজিক মূল্যবোধ পুনরুদ্ধার ও পুনরুজ্জীবিত করতে উৎসাহিত হয়েছে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, ১৯৭০ সাল থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে বিশ্বের মুসলিম ও অমুসলিম দেশুগলোতে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক সহ অসংখ্য ইসলামিক ব্যাংক ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে মুসলিম দেশগুলো এক ঐতিহাসিক উন্নয়ন সাধন করেছে। যা ফলে অর্থনৈতিক শক্তির ভারসাম্যের ক্ষেত্রে মুসলিম দেশগুলোর অনুকূলে কাজ করছে। কেননা সামগ্রিক দিক থেকে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনা আর প্রাথমিক প্রতিষ্ঠা পর্যায়ে নেই বরং বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ সেক্টরে এর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

বাংলাদেশের অভন্তরে মোট ৮টি সম্পূর্ন ইসলামি ধারার ব্যাংক রয়েছে এবং অন্যান্য বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেও ইসলামিক শাখা রয়েছে। ২০১০ সালে বাংলাদেশে সকল ইসলামি ব্যাংকের শাখা ছিল মোট ৫০০ টি যা বাংলাদেশের সব বেসরকারি ব্যাংগুলোর ২৫ শতাংশ। এছাড়া বাংলাদেশের মোট বেসরকারি ব্যাংকিং সেক্টরে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ইসলামি ব্যাংগুলোতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে মোট কর্মসংস্থানে ৩৪ শতাংশ এবং সকল ব্যাংকিং সেক্টরের ১৪ শতাংশ। বলাই বাহুল্য, মানুষের চাহিদার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অন্যতম দুটি বৃহৎ বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালি ও অগ্রণী ব্যাংক তাদের প্রচলিত বাণিজ্যিক ধারার পাশাপাশি ইসলামি ব্যাংকিং চালু করেছে। এছাড়া স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ও এইচএসবিসি আন্তর্জাতিক এই ব্যাংক দুটি ইসলামি ব্যাংকিং চালু করতে যাচ্ছে।

এর ফলে দেখা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ সহ অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোতে ইসলামি ব্যাংক ব্যবস্থাপনা বৃদ্ধির ফলে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে এবং দক্ষ ও যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মী গড়ে তোলার মাধ্যমে এসব দেশের মানব সম্পদ উন্নয়নে গুরত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করছে। সপ্তম, আমেরিকান অর্থনীতি এবং প্রেট্্েরাডলার সিস্টেমের পতন ও হ্রাসঃ সরকারি ঋণ ব্যবস্থাপনা (বর্তমানে সরকারি ঋণ ১৪ ট্রিলিয়নের উপরে) টেকসই না হওয়ার কারণে এটি আমেরিকান আর্থ-সমাজে একটি হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। তাই ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোন থেকে বিশ্লেষন করলে দেখা যাবে যে যেসব কারণে পূর্বে রোমান, অটোম্যান ও সোভিয়েত সা¤্রাজ্যের পতন হয়েছিল বর্তমান সময়ে আমেরিকার বিরাজমান অর্থনীতিতে সেই একই সংকট গুলো লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফেডারেল বাজেট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণের অক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের অন্যতম কারণ। আর এই ঘাটতি বাজেট পুরণ করা সম্ভব নয় কারণ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবিত্ত শ্রেনীর একটি বিরাট অংশ এবং যেসব খাত থেকে কর ও রাজস্ব আয় হয় সেসব খাত ভেঙ্গে পড়ছে।

যার ফলে সরকারের রাজস্ব কমে যাচ্ছে। এছাড়া সঞ্চয়ি ব্যাংগুলোর অর্থনৈতিক অনিয়ম ফটকাবাজি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে মার্জ (সবৎমব) করার সুয়োগ দিয়েছে যার ফলে এই বড় ধরণের সংকট তৈরি হয়েছে। আর এই অর্থনৈতিক সংকট সহজে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয় কারণ গত এক দশকে আমেরিকা প্রায় অর্ধেক ডজন মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ লিপ্ত ছিল যার ফলে অভ্যন্তরীন চাহিদার চেয়ে সামরিক খাতে বেশি ব্যয় করা হয়েছে এবং এর ফলে তাদের সামরিকরণ ও নিরাপত্তা জোরদার হলেও ঋণ ও অর্থনৈতিক সংকট বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব কারণে সরকার সেবাখাত গুলোতে সরকারি ভর্তুকির যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে। ফলে এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংগুলো ডলারের বিপরীতে স্বর্ণ ও সিলভারসহ অন্যান্য মুদ্রার ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছে।

কেননা রাশিয়া, চীন, ভারত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকা (ব্রিকভুক্ত দেশগুলো) রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে ডলারকে ব্যবহার না করে নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে নিজস্ব মুদ্রা ব্যবহারের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এছাড়া ইইউ ভুক্ত দেশ গুলো ইউরোর মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেন করছে। এশিয়ার দেশগুলো একটি নতুন মুদ্রার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য পরিচালনার প্রস্তাব করেছে এবং আলোচনা করছে। ফলে মার্কিন ডলারের বৈদেশিক বিনিময় মূল্য হ্রাস পাচ্ছে যা অর্থনৈতিক সংকটের অন্যতম ফ্যাক্টর। এদিকে সিলভার ও স্বর্ণের মূল্যমানের সঙ্গে ডলারের মূল্যের পতন হয়েছে।

কেননা গত দশ বছরে মার্কিন ডলারে স্বর্ণের মূল্য প্রতি আউন্স ২শ ৫০ ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে প্রতি আউন্সের মূল্য দাড়িয়েছে ১ হাজার ৭ শত ৫০ ডলার। অর্থাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫ শত মার্কিন ডলার। সিলভারের মূল্য প্রতি আউন্স ৪ ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩৪ ডলার প্রতি আউন্স। আর হঠাৎ করেই এই মূল্য বৃদ্ধি সিলভার এবং স্বর্ণের দুষ্প্রাপ্যতার কারণে হয়নি বরং স্বর্ণ ও সিলভারের মূল্যে লেনদেন করায় ডলারের অবমূল্যায়ন হচ্ছে কারণ স্বর্ণ ও সিলভার এই ঐতিহাসিক অর্থ প্রেসে ছাপানো যায়না বলে এর মূল্য কমানো যায়না। ফলে ডলারের মূল্য হ্রাস ও আমেরিকার ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি হওয়ায় অন্যান্য দেশে আমেরিকার ‘গভর্মেন্ট ব্যাক মানি’ এর মূল্য ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে।

১ম বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র ও বৃহৎ কয়েকটি দেশ স্বর্ণের মূল্য বাদ দিয়ে ডলারে মূল্য নির্ধারণ করে। কারণ এ সময় যুদ্ধের ব্যয়ভার বহন করার জন্য তাদের অনেক টাকা ছাপানোর প্রয়োজন হয়েছিল। পরে বিশ্ব মহামন্দার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট স্বর্ণ এবং সিলভারকে বৈধ মুদ্রা হিসেবে নিষিদ্ধ করার জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করে এবং ১৯৭১ সালে প্রেসিডেন্ট নিক্্রন আনুষ্ঠানিকভাবে স্বর্ণের মূল্যমান বাদ দিয়ে ডলার স্টান্ডার্ড মান চালু করে। এর ১৫ বছর পর আমেরিকা স্বর্ণ ও সিলভারের ঈগল কয়েন ছাপানো শুরু করে। এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল এর মাধ্যমে প্রটফোলিও ইনভেস্টমেন্ট করা এবং বাজার মূল্য অনুযায়ী জনগণকে এর মাধ্যমে ব্যবসা করার সুযোগ দেয়া যাতে মুনাফার উপর করারোপের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করা যায়।

পরে ২০টি প্রদেশের টেন্ডার ও অন্যান্য ক্ষেত্রে স্বর্ণ ও সিলভার স্টান্ডার্ড মান ব্যবহারের অনুমোদন দিলে এটি যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রানীতিতে খারাপ প্রভাব ফেলে। বস্তুত পক্ষে এটি যুক্তরাষ্ট্রের ভঙ্গুর অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অন্যতম কারণ। বর্তমান প্রাসঙ্গিকতায় আমাদেরকে পেট্রো ডলার সিস্টেমের পতনের বিষয়টি বুঝতে হবে। কেননা যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ বৃদ্ধির সাথে সাথে ডলারের মূল্য কমে যাচ্ছে এবং সেখানে গোল্ড ব্যাকড মানি এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে যেটি কিনা পেট্রো ডলার সিস্টেমের পতনের সম্ভাবনা তৈরি করছে। তবে এই বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যমগুলো সবসময় পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে কারণ যদি এই তথ্য জনগণ জানতে পারে তবে রাজনীতিবীদরা জনরোষে পড়তে পারে এমনকি বৈদেশিক নীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তারা বাধাঁর সম্মুখীন হতে পারে।

আর আমরা এই পেট্রো ডলার সিস্টেমের ক্রমহ্রাসমান অবস্থার বিষয়টি জানতে পারিনা কারণ মার্কিন সরকার আমাদেরকে বুঝাতে চায় যে, আমরা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা বিস্তৃত করতে এবং ডব্লিউএমডি (ওয়েপনস ম্যাস ডিস্ট্রাকশন), রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের জন্য যুদ্ধ করছি। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, তারা অর্থনৈতিক আগ্রাসন চালানোর জন্যই সবসময় মারণাস্ত্র ও রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসকে ছুতো হিসেবে ব্যবহার করেছে। অথচ তাদের দখলে যে ধ্বংসাতœক অস্ত্র গুলো রয়েছে তা দিয়ে ২৫ বার এই পৃথিবীকে ধ্বংস করা যাবে। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ্বিক সংঘাতগুলোর পেছনে কারণ জানতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই পেট্রো ডলার অর্থনীতির ক্রমহ্রাস প্রবণাতার অপরীহার্যতা সম্পর্কে জানতে হবে। কেননা সঠিক সময়ে এক টুকরা গুরত্বপূর্ণ তথ্য জানতে না পারায় কঠিন সময়গুলো মোকাবেলা করা সম্ভব হচ্ছে না।

কারণ আমরা দেখেছি মিশরে, লিবিয়ায় কী হচ্ছে, সিরিয়ায় কি হতে যাচ্ছে এবং পরবর্তীতে ইরানে কি হবে অনুমান করা সম্ভব নয়। তবে গভীরে মার্কিন অর্থনীনৈতিক সংকট যে প্রকট তা সহজেই অনুমেয়, কারণ তারা একাই কোন যুদ্ধ পরিচালনা করতে সাহস পাচ্ছে না। যার দৃষ্টান্ত সিরিয়া। অষ্টম, পশ্চিমাদেশগুলোতে পারিবারিক মূল্যবোধ কমে যাচ্ছে যা মূলত পশ্চিমা সভ্যতার ক্ষয়প্রাপ্তকেই নিদের্শ করে। পশ্চিমা দেশগুলোতে পারিবারিক বন্ধন ও মূল্যবোধ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে।

যা মূলত পশ্চিমা সভ্যতার ভিত্তিকে দুর্বল করে দিচ্ছে। একুশ শতকে এসে দেখা যাচ্ছে যে পশ্চিমাদেশশুলোতে পারিবারিক বন্ধন ও মূলবোধ হ্রাস পাওয়ার ফলে তা তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির উপর খারাপ প্রভাব ফেলছে। আমেরিকার ‘সেন্সাস ব্যুরো’ ২০০৯ সালের একটি সমীক্ষায় উল্লেখ করেছে যে, বিশ্ব জনসংখ্যা বর্তমানে যেখানে ৬ দশমিক ৭৮৪ বিলিয়ন, সেখানে পশ্চিমা দেশগুলোতে ২০০৮ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১ দশমিক ১ শতাংশ। অথচ বর্তমান জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে একটি সভ্যতা টিকে থাকার জন্য জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রয়োজন কমপক্ষে ১ দশমিক ৪ শতাংশ। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলোতে এই বৃদ্ধির হার ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে।

একদিকে মেডিকেল সাইন্সের অগ্রগতি ও কৃষিতে সবুজ বিপ্লবের ফলে শিশু মৃত্যু, মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে, অন্যদিকে পশ্চিমা দেশগুলোতে অধিক জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতির ব্যবহার, লিভ টুগেদার এবং পারিবারিক মূল্যবোধ হ্রাস পাওয়ায় বিবাহিত নারী-পুরুষরাও সন্তান জন্মদানে আগ্রহ হারাচ্ছে। যার ফলে এসব দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। এছাড়া একটি মজার বিষয় হলো, ইউরোপের অধিকাংশ দেশে খ্রীষ্টান সম্প্রদায় সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী হলেও এসব দেশে খ্রীষ্টান জনসংখ্যা বৃদ্ধি হার আশংকাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকার সংখ্যা গরিষ্ঠ খ্রীষ্টানরা মহামারি এইডস সংক্রামণে আক্রান্ত, যা কিনা প্রতিনিয়ত আরো ব্যাপক পরিমাণে ছড়িয়ে পড়ছে। এক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকার খ্রীষ্টান জনগোষ্ঠী এইডস সংক্রমণে যে পরিমাণে মৃত্যু হচ্ছে তার চেয়ে জন্মের হার আনেক নিচে।

অন্যদিকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল যেমন মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকান জনগোষ্ঠীর নৈতিক উৎকর্ষতা ও পারিবারিক কাঠামো শক্তিশালী করণে ইসলামি মূল্যবোধ গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। এছাড়া মুসলিম পরিবার গুলো সন্তান গ্রহনেও বেশি আগ্রহী এবং এসব অঞ্চলে মৃত্যুর হার পশ্চিমা দেশগুলোর মতোই, কিন্তু জন্মাহার পশ্চিমা দেশগুলোর চেয়ে বেশি। বর্তমানে মুসলিম দেশগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৪ শতাংশ। এর কারণ হিসেবে আমেরিকান ব্যুরো দেখিয়েছে যে, মুসলিম দেশগুলোতে ধর্মীয় মূল্যবোধ শক্তিশালী হওয়ার কারণে এইডসের বিস্তার ঘটেনি কিন্তু পশ্চিমা সভ্যতায় এর প্রভাব মারাতœক। যা কিনা পূর্ববর্তী সভ্যতা গুলোর মতোই পশ্চিমা সভ্যতার ক্রমহ্রাসমান পতনকেই নির্দেশ করে।

উপরোক্ত বিশ্লেষণ থেকে এটা অনুমান করা যেতে পারে যে, একুশ শতক এবং এর পরবর্তী সময়ে মুসলিম দেশগুলো জনসংখ্যা এবং অর্থনীতির দিক থেকে বিশ্বের একটি গুরত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করতে যাচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে ১৯৯৩ সালে ‘ফরেন অ্যাফেয়ার্স জার্নালে’ প্রকাশিত স্যামুয়েল পি হান্টিংটন এর ‘দ্যা ক্লাশ অব সিভিলাইজেশন’ তত্ত্ব তার গ্রহনযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। কারণ হান্টিংটন যুক্তি দিয়েছেন যে, যেহেতু পশ্চিমা দুনিয়া ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে অবস্থান করবে, তাই তারা চাইবে সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রাধান্য বজায় রাখতে। তখন অন্যান্য সভ্যতার সাথে পশ্চিমা সভ্যতার দ্বন্দ্ব ক্রমবিকাশের সর্বশেষ পর্যায়ে পৌঁছাবে। কিন্তু এটি ভুল প্রমাণিত হয়েছে মুসলিম সভ্যতা ও কনফুসিয় সংস্কৃতির বিকাশ এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জনের ফলে।

এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা হয়তোবা একুশ শতক কিংবা তার পরবর্তী সময়ে পশ্চিমা সভ্যতার আধিপত্য রোমান, অটোম্যান সা¤্রাজ্যের মতই ভেঙ্গে পড়বে। রাশিদুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষার্থীঃ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাবি

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।