আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবহেলিত কলা চাষীদের জন্য প্রয়োজন একটি স্হায়ী হাট/বাজার….যা সস্তি দিতে পারে যেমনি কলা চাষীদের তেমনি উত্তরের জনপদের আটটি জেলার যাত্রী সাধারনের…

আমি মনে প্রাণে একজন মুসলিম। ঘৃণা করি ধর্ম বিদ্বেষী নাস্তিকদের এবং ধর্ম ব্যবসায়ী ছাগু তথা উগ্রবাদীদের। ক্যঁচাল পছন্দ করিনা । ।
ব্যস্ততম মহাসড়কের পাশে এভাবেই ট্রাকে লোড করা হচ্ছে কলা... ঢাকা রংপুর মহাসড়কে বগুড়া জেলার শিবগন্ঞ্জ+সোনাতলা উপজেলার মোকামতলা থেকে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি হয়ে রংপুর জেলার পীরগন্ঞ্জ পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে কলার মৌসুমে কারি কারি কলা সাজানো থাকে।

এই কলার হাটে দেশের বিভিন্ন অন্ঞ্চলের কলা ব্যবসায়ীরা আসেন কলা কিনতে। ভোর হওয়ার সাথে সাথে ভ্যন বোঝাই করে কলা চাষীরা কলা নিয়ে এসে মহাসড়কের দুইপাশ দখল করে কলার হাট বসান এবং দেশের বিভিন্ন জেলার কলা ব্যবসায়ী ক্রেতাগণ কলা কিনে ট্রাক লোড করে দেশের বিভিন্ন অন্ঞ্চলে নিয়ে তা বিক্রী করে থাকেন। আর এইসব কলার ট্রাক লোড করতে মহাসড়কে দন্ডায়মান ট্রাকগুলির জন্য আটটি জেলার যাত্রীবাহি বাস, মালবোঝাই ট্রাক এবং রোগী বহনকারী এম্বুলেন্সকে জানজটে নাকাল হয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় দাড়িয়ে থাকতে হয় যার কারনে ঢাকাগামী বাসসহ অন্যান্য পরিবহনগুলি নির্ধারিত সময়ে পৌছাঁতে পারছেনা। আর যাত্রীগনের জানজটের কারনে র্দুভোগ-র্দুদশা পোহাতে হচ্ছে প্রতি নিয়ত। বগুড়ার শিবগন্ঞ্জের সবরী কলা এবং চিনিচাম্পা কলার হাট শুরু হয় চন্ডিহারা বাজার থেকে…এবং রাস্তার দুপাশ মিলে শেষ হয় রহবল বাজারে।

রহবল থেকে কয়েক কিলোমিটার পথ পার হলেই গাইবান্ধা জেলা শুরু। গাইবান্ধার ফাঁসিতলা বাজার থেকেই আবার অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কলার হাট শুরু… গাইবান্ধা জেলায় উৎপাদিৎ মানসন্মত সাগর কলার জন্য রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অন্ঞ্চলের ব্যপারীগন কলা কিনতে ফাঁসিতলা থেকে গোবিন্দগন্ঞ্জ পর্যন্ত দেখে শুনে কলা কিনে কাদি কাদি কলা সাজিয়ে রাখেন মহাসড়কের পাশে। তারপর বেলা ১১টা বাজলে হাট শেষ হলে ব্যপারীগণ ট্রাক ভাড়া করে মহাসড়কের উপর ট্রাক দাড় করিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে ট্রাকগুলিতে কলা লোড করে নিয়ে যান যার যার ব্যবসায়িক এলাকায়। আর এইসব ট্রাক রাস্তার অর্ধেকটা জায়গা বন্ধ করে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে কলাগুলি ট্রাকে লোড করেন যার কারনে মহাসড়কে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের!! আর যার ভোগান্তী পোহাতে হয় পন্ঞ্চগড়, ঠাকুরগাও, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর, দিনাজপুর সহ গাইবান্ধা জেলার মোট আটটি জেলার বাস যাত্রীগণ এবং পণ্যবাহী ট্রাকগুলিকে….যারা মুলত রাজধানী ঢাকা সহ আন্তঃজেলা পরিবহন সেবা দিয়ে যাচ্ছে সেইসব লোকজনদের এবং কলাচাষীগনের যারা সরকারীভাবে র্নিধারিত হাট-বাজার না থাকার কারনে এইসব কলা চাষীরা পেটের তাগিদে অবৈধভাবে মহাসড়কের পাশে তাদের উৎপাদিৎ পণ্যর পসড়া সাজিয়ে বসে থাকেন ফজরের আজানের সময় থেকে বেলা ১১-১২টা পর্যন্ত….. এতে যেমন কলা চাষীরা বন্ঞ্চিৎ হচ্ছে র্নিধারিত হাটের তেমনি জ্যমে পড়ে নাকাল হচ্ছেন যাত্রী সাধারন। ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের দুপাশে এভাবেই বসছে প্রতিনিয়ত অবৈধ কলার হাট।

গোবিন্দগন্ঞ্জ পার হয়ে বালুয়াহাট নামক স্হান থেকে কোমরপুর, পলাশবাড়ি হয়ে রংপুর জেলার পীরগন্ঞ্জ উপজেলার ধাপেরহাট নামক স্হান পর্যন্ত প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার ধরে এই কলার হাট বসে যা কলা চাষীদের যেমন বিবেকহীন করে তুলছে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থেকে তেমনিভাবে পরিবহন শ্রমিক থেকে পরিবহনের যাত্রীগনের জন্য এক দুঃসহ বিড়ম্বনা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। পলাশবাড়ির সাগর কলা সাইজ এবং স্বাদের জন্য খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে ‘বিখ্যাত’ হয়ে উঠছে তেমনি দিনের পর দিন কলা চাষে উৎসাহিত হয়ে বাড়ছে কলাবাগান…. তাই অবিলম্বে স্হানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় দ্রুত গড়ে তোলা হোক র্নিধারিত কলা বেচাকেনার হাট বাজার এবং মহাসড়কের প্রতিটি পরিবহনকে নিশ্চিন্তে র্নিবিঘ্নে চলাচলের সুযোগ করে দেয়া হোক তা সরকারের দ্বায়িত্ব। কলার হাট হলে যেমনি উপকৃত হবে জনগন তেমনি রাজস্ব আদায় করে সরকারী কোষাগারে জমা হবে প্রচুর পরিমানে টাকা যা সরকার এবং জনগনের জন্য অবশ্যই কল্যাণকর হবে….এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। অনেকে ভাবতে পারেন কলা একটি মৌসুমী ফল এর জন্য হাটের প্রয়োজন নেই…. কিন্তু বাস্তব হচ্ছে কলা এখন আর মৌসুমী ফল নয়….এটি এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে এবং সারা বছরই কম-বেশী কলা চাষ হচ্ছে তাই কলা চাষীদের মুখের দিকে তাকিয়ে এবং যাত্রীদের দুঃর্বিসহ বিড়ম্বনা থেকে রেহাই দিতে অবিলম্বে কলা চাষীদের জন্য হাটের বন্দোবস্ত করা হোক। একটি উদাহরন দেয়া যাক।

রংপুর থেকে যাত্রীবাহি বাসে করে ঢাকা যেতে আজ থেকে ৫-৭ বছর আগে সময় লাগতো সাড়ে ছঘন্টা অথচ বর্তমানে রংপুর থেকে ঢাকা যেতে দশ থেকে বার ঘন্টা সময় লাগছে। আর গাইবান্ধা থেকে ঢাকা যেতে যেখানে সময় লাগতো ছয় ঘন্টা….বর্তমানে তা আট থেকে দশঘন্টার মত সময় লাগছে…. দেশের সরকার জনগনের সুবিধা-অসুবিধার কথা ভেবে বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কর্মকান্ড করে থাকেন যাতে করে উপকৃত হয় দেশ এবং দেশের জনগন। তাই যত দ্রুত পারা যায় উত্তরবঙ্গের আটটি জেলার মানুষ যাতে র্নিবিঘ্নে এবং সঠিক সময়ে বাড়ি যেতে পারে সেকথা চিন্তা করে এবং কলা চাষীদের ভাগ্যউন্নোয়নের জন্য কলার হাট দ্রুত স্হাপন করা হোক। একটি কথা সংযুক্ত নাকরে পারছিনা….”কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে….আর তাতে করে দেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে পারবে…” পরিশেষে… হাসি ফুটুক প্রতিটি কৃষকের মুখে….যারা রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে উৎপাদন করে যাচ্ছে ষোল কোটি মানুষের অন্ন। ।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।