আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চরিত্রগুলো সর্বদা স্বপ্নের পেছনে ছুটে

সংবাদ পাঠিকা হিসেবে সমাদৃত সামিয়া জামান নির্মাণ করলেন 'আকাশ কত দূরে'। ৬ ডিসেম্বর চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাচ্ছে। গত জুলাই মাসে চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে। এটি তার দ্বিতীয় পরিচালনা। এ প্রসঙ্গে আজ তার সাক্ষাৎকার-

 

আগামী মাসে মুক্তি পাচ্ছে 'আকাশ কত দূরে'।

চলচ্চিত্রটি ইতোমধ্যে দর্শক আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে, কেমন লাগছে?

গত বছরই চলচ্চিত্রটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এটি মুক্তি দিতে বিলম্ব হয়েছে। আমি চাই না চলচ্চিত্রটি দেখতে দর্শকের কোনো সমস্যা হোক। তাই অনুকূল সময়ের অপেক্ষায় ছিলাম। আশা করছি এবার সানন্দে চলচ্চিত্রটি উপভোগ করতে পারবে দর্শক।

দেরিতে হলেও চলচ্চিত্রটি মুক্তি দিতে পারছি বলে খুবই ভালো লাগছে। আমার বিশ্বাস, সমৃদ্ধ ও ব্যতিক্রমী বিষয়বস্তুর কারণে চলচ্চিত্রটি দর্শক গ্রহণযোগ্যতা পাবে।

 

'ছেলেটি' শিরোনামে এ চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করেছিলেন। বিশেষ কোনো কারণে নাম পরিবর্তন করতে হয়েছে?

আসলে একটি ছেলেকে ঘিরে এই চলচ্চিত্রের গল্প আবর্তিত হয়েছে। তাই প্রথমে এর নাম রেখেছিলাম 'ছেলেটি'।

কিন্তু এ চলচ্চিত্রের প্রতিটি চরিত্রই গুরুত্বপূর্ণ। চরিত্রগুলো সর্বদা স্বপ্নের পেছনে ছুটে। কেউ সেই স্বপ্নের নাগাল পায় কেউবা পায় না। তাই 'ছেলেটি' নাম দিয়ে চলচ্চিত্রটিকে একটি চরিত্রে সীমাবদ্ধ রাখতে চাইনি বলেই এর নাম পরিবর্তন করেছি। এ চলচ্চিত্রে একদিকে যেমন নায়করাজ রাজ্জাক অভিনয় করেছেন তেমনি মিশা সওদাগরও আছেন।

বলতে পারেন বিনোদন ও বাণী সমৃদ্ধ জমজমাট পারিবারিক গল্পের চলচ্চিত্র হচ্ছে 'আকাশ কত দূরে'।

 

চলচ্চিত্রটির নির্মাণ সম্পর্কে কিছু বলুন?

'আকাশ কত দূরে' নির্মাণ হয়েছে সরকারি অনুদানে। এটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড ও আমার প্রযোজনা সংস্থা ভার্সা মিডিয়া। এটি আমার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র পরিচালনা। এর আগে নির্মাণ করেছিলাম 'রানী কুঠির বাকী ইতিহাস'।

চলচ্চিত্রটি ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল। 'আকাশ কত দূরে' চলচ্চিত্রের পাণ্ডুলিপি তৈরি করেছেন জুলফিকার রাসেল। এর অভিনয় শিল্পীরা হচ্ছেন- নায়ক রাজ রাজ্জাক, শর্মিলী আহমেদ, ফারিয়া হোসেন, মিশা সওদাগর, অঙ্কনসহ আরও অনেকে। সংগীত পরিচালনা করেছেন ইবরার টিপু ও বেলাল খান।

 

আগামীতে দর্শক আপনার কাছ থেকে নতুন কি চলচ্চিত্র পাচ্ছে?

আগামীতে দুটো চলচ্চিত্রের নির্মাণ পরিকল্পনা রয়েছে।

একটি ছোট ও অন্যটি বড় ক্যানভাসে নির্মাণ হবে। বড়টি ময়মনসিংহ গীতিকার কাহিনী অবলম্বনে নির্মাণ করব। এর চিত্রনাট্য তৈরি করছেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। পুরনো একটি গ্রামের আবহমানকালের ত্রিভুজ প্রেমের গল্পের চলচ্চিত্র হবে এটি। নাম এখনো চূড়ান্ত করিনি।

এতে আবেগি ও ঐতিহাসিক নানা ঘটনার সমাবেশ থাকবে। বলতে পারেন শত বছরের পুরনো চিত্র। এতে জমিদার, প্রেম, নদী, গান আর সবুজের সমারোহ ঘটানো হবে। মন-প্রাণ উজাড় করে সবার ভালো লাগার মতো করে এ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করতে চাই। 'আকাশ কত দূরে' মুক্তি দিয়েই চলচ্চিত্রগুলোর নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু করব।

* শোবিজ প্রতিবেদক

 

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।