আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টেন্ডুলকার আউট, ওয়াংখেড়েতে হাহাকার

দুই যুগের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। ভেতরে ভেতরে স্বাভাবিকভাবেই কাজ করছে প্রচণ্ড আবেগ। তবে টেন্ডুলকার বলেই বোধ হয় সেটা বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই। সীমাহীন চাপ উপেক্ষা করে স্বভাবসুলভ ব্যাটিং উপহার দিয়ে গেলেন লিটল মাস্টার। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বিনোদিত করলেন দর্শকদের।

বিদায়ী টেস্টে সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েছিলেন টেন্ডুলকার। সেটা হয়নি। ডিওনারাইনের বলে স্যামির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ৭৪ রানে। উত্সবে মেতে ওঠা গ্যালারিতে হঠাত্ রাজ্যের নীরবতা। অনেকের চোখ ভেসে উঠল জলে।

কে জানে, এটাই হয়তো ব্যাট হাতে টেন্ডুলকারকে শেষবারের মতো দেখা! মাঠ ছাড়ার সময় টেন্ডুলকারকেও খুব বিষণ্ন দেখাল। গ্যালারি ভরা দর্শকদের দিকে ঠিকভাবে তাকালেন না। বুকে পাষাণ বেঁধে সোজা হেঁটে গেলেন ড্রেসিং রুমের দিকে। টেলিভিশনের পর্দায় টেন্ডুলকারের মা রজনী টেন্ডুলকারকে দেখা গেল। আবেগ ধরে রাখার চেষ্টা করছিলেন তিনিও।

টেন্ডুলকার বেরিয়ে যাওয়ার সময় পর্দায় দেখা গেল তাঁর স্ত্রী অঞ্জলীকেও। তাঁর চোখেমুখে ছিল বিষণ্নতার ছাপ।

প্রথমে ব্যাট করে ১৮২ রানে অলআউট হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে এরই মধ্যে ৩ উইকেটে ২৫৭ রান তুলে ফেলেছে ভারত। চেতেশ্বর পুজারা ৭৭ ও বিরাট কোহলি ২১ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন।

মুম্বাই টেস্টের যা অবস্থা, দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাটিং করতে না-ও হতে পারে ভারতীয় দলের। সে ক্ষেত্রে ব্যাট হাতে টেন্ডুলকারকে আর দেখা যাবে না! কাকতালভাবে ২৪ বছর আগে ঠিক এই দিনেই (১৯৮৯ সালের ১৫ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হয়েছিল তাঁর। টেস্ট ক্যাপ পরেছিলেন টেন্ডুলকার।

গতকাল ৩৮ রানে অপরাজিত থেকে লিটল মাস্টার যখন মাঠ ছাড়ছিলেন, গ্যালারি থেকে আসছিল একটাই গর্জন—‘শচীন...শচীন...শচীন...’!!! সেঞ্চুরি করে মাঠ ছাড়ার পরও দর্শকদের কাছ থেকে এতটা উচ্ছ্বাস, এতটা ভালোবাসা খুব কম ব্যাটসম্যানের ভাগ্যেই জোটে। টেন্ডুলকার নিজেও ব্যাট তুলে ধরলেন।

৩৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়ার সময় ব্যাট তোলাও বোধ হয় এই প্রথম। আজ দ্বিতীয় দিনে টেন্ডুলকার যখন মাঠে নামলেন, দর্শকেরা একইভাবে চিত্কার করে প্রিয় তারকাকে স্বাগত জানান। টেন্ডুলকার একেকটা স্ট্রোক খেলছিলেন আর গর্জন করে উঠছিলেন দর্শকেরা। রান হওয়া না-হওয়া এখানে মুখ্য নয়। টেন্ডুলকার বিদায়ী টেস্টে ব্যাট করছেন, প্রতিটি বলই তো উদযাপনের! সেই উদযাপনে নতুন মাত্র যোগ করেন টেন্ডুলকার।

দিনের দ্বিতীয় ওভারেই শিলিংফোর্ডের বলে দুটি বাউন্ডারি হাঁকান। বয়স ৪০ হলেও রানক্ষুধা যে এতটুকু কমেনি, সেটাই প্রমাণ করলেন ক্রিকেট মহানায়ক। ১২ চারে ৭৪ রান করে টেন্ডুলকার আউট হলে মুহূর্তেই পাল্টে যায় দৃশ্যপট। উত্সবমুখর গ্যালারি ছেয়ে যায় বিষাদে। থেমে যায় ওয়াংখেড়ের গর্জন।

 

ক্রিকেট, ফুটবল, টেনিস, গলফসহ যেকোনো খেলার আপডেট ও খবর পেতে আপনার মোবাইল থেকে S লিখে এসএমএস করুন ২২২১ নম্বরে।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।