আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হলুদ গণমাধ্যম; সমাধান কোন পথে?

সরল পথ

সম্প্রতি বাংলাদেশে গণমাধ্যম ও গণমাধ্যম কর্মীরা সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হচ্ছে। গণমাধ্যমের উপর এ হামলা বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন কোন ঘটনা নয়। স্বাধীনতার পরপরই সংবাদ-মাধ্যমের উপর এ নগ্ন হস্তক্ষেপ শুরু করেছিল। বাংলাদেশ অবজাভার-এর সম্পাদক জনাব আব্দুস সালাম জাতীয় সরকার গঠনের দাবির সমর্থনে ‘দি সুপ্রিম টেষ্ট’ শিরোনামে একটি সম্পাদকীয় লেখেন যা ১৫ই মার্চ ১৯৭২ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। এই সম্পাদকীয় প্রকাশের দিনেই তাঁকে চাকুরীচ্যুত করা হয়।

২৩ মে ১৯৭২ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সংবাদদাতা এস.এম. হাসানকে সাতক্ষীরায় রিলিফ দ্রব্য আত্মসাত সম্পর্কে রিপোর্ট করায় গ্রেফতার করা হয়। ভারত-বাংলাদেশ অসম সম্পর্কের উপর সমালোচনামুখর হওয়ার কারণে সাপ্তাহিক হক কথার সম্পাদক ইরফানুল বারীকে ২০ জুন ১৯৭২ ডিটেনশন দেওয়া হয়। সাপ্তাহিক ‘মুখপাত্র’ ও ‘স্পোকসম্যান’ এর সম্পাদক ফয়জুর রহমানকে ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭২ জননিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়। একই বছর ৭ সেপ্টেমর ‘দেশবাংলা’ অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭২ ‘হক কথা’, ‘মুখপাত্র’, এবং ‘স্পোকস্ম্যান’ এর ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়।

১লা জানুয়ারী ১৯৭৩ ঢাকায় ছাত্র হত্যার ঘটনায় সেদিন বিকেলেই দৈনিক বাংলা একটি টেলিগ্রাম ইস্যু প্রকাশ করে। এতে সরকার ক্রুদ্ধ হয়। ফলে দৈনিক বাংলার সম্পাদনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মরহুম হাসান হাফিজুর রহমান এবং সম্পাদক আব্দুল তোয়াব খানকে তাদের দায়িত্ব থেকে অপসারন করে তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়ের ওএসডি করা হয়। ১৯৭৫ এর ২৭ জানুয়ারি জাসদের মুখপত্র দৈনিক গণকণ্ঠ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরআগে ১৭ মার্চ ১৯৭৪ সরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ীর সামনে জাসদের মিছিলে রক্ষিবাহিনী গুলিবর্ষণ করে।

এর ফলে ছয় জন নিহত হয় বলে সরকারি ভাষ্যে দাবি করা হয়। কিন্তু অন্যান্য সূত্রে দাবি করা হয় যে ১২ জনের মৃত্যু ঘটেছে এবং একশজনের মত মানুষ আহত হয়েছে। সরকারের এই কঠোর পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় রক্ষিবাহিনী সেদিন রাতেই ‘গণকন্ঠ’ কার্যালয় দখল করে নেয়, এবং সব ধরনের কাগজপত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করে। ১৮ মার্চ ১৯৭৪ গণকন্ঠের সম্পাদক কবি আল মাহমুদ গ্রেফতার হন। ১১ আগষ্ট ১৯৭৩ পুলিশ চট্রগ্রামে দৈনিক দেশবাংলার কার্যালয় সীলগালা করে তালা বন্ধ করে দেয়।

পত্রিকার দুজন সাংবাদিক এবং ৮ জন প্রেস কর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়। ২রা ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪ বিশেষ ক্ষমতা আইন নামে একটি নিবর্তনমূলক আইন পাশ করে। এই আইন পাশ হওয়ার ফলে একদিকে যেমন ব্যক্তি-স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছিল অন্যদিকে তেমনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতাও মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন করা হয়েছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর চ্যানেল এয়ান, দিগন্ত ও ইসলামিক টিভি বন্ধকরে দেয়া হয় এবং আমার দেশ পত্রিকার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরই ফলশ্রুতিতে হয়ত হলুদ সাংবাদিকতার প্রকোপ বেড়ে যায়।

অনিচ্ছা সত্তেও কিছু গণমাধ্যমকে হলুদ সাংবাদিকতার আশ্রয় নিতে হচ্ছে। যাইহোক আমার সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধে হলুদ সাংবাদিকতা নিয়ে দুটি কথা উল্যেখ করার প্রয়াস পাব। হলুদ সাংবাদিকতা বলতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভিত্তিহীন রোমাঞ্চকর সংবাদ পরিবেশন বা উপস্থাপনকে বোঝায়। এ ধরনের সাংবাদিকতায় ভালমত গবেষণা বা খোঁজ-খবর না করেই দৃষ্টিগ্রাহী ও নজরকাড়া শিরোনাম দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়। হলুদ সাংবাদিকতার মূল উদ্দেশ্য হল সাংবাদিকতার রীতিনীতি না মেনে যেভাবেই হোক পত্রিকার কাটতি বাড়ানো বা টেলিভিশন চ্যানেলের দর্শকসংখ্যা বাড়ানো।

অর্থাৎ হলুদ সাংবাদিকতা মানেই ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন, দৃষ্টি আকৰ্ষণকারী শিরোনাম ব্যবহার করা, সাধারণ ঘটনাকে একটি সাংঘাতিক ঘটনা বলে প্ৰতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা, কেলেংকারির খবর গুরুত্ব সহকারে প্ৰচার করা, অহেতুক চমক সৃষ্টি ইত্যাদি। মনে করুন একটা ছোট শিশু মাত্র অক্ষরজ্ঞান পেয়েছে। সে আনন্দিত চিত্তে যা পাচ্ছে তাই পড়ছে। তার প্রতিদিন যদি শুরু হয় খুনাখুনি, মারামারি, দলাদলিসহ যাবতীয় ধ্বংসাত্বক খবর দিয়ে তাহলে এই শিশুটি কিভাবে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে? শাহাবাগে যুদ্ধাপরাধের ফাঁসির নামে যা হয়েছে তা কেবল হলুদ সাংবাদিকতারেই পরিচয় বহন করে। ফাঁসি ফাঁসি শ্লোগান আমাদের কচি মনের শিশুদের ধারুণ ভাবে প্রভাবিত করেছিল।

দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা ফাঁসি ফাঁসি খেলতে গিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে মৃত্যু বরণ করেছিল। সাভারে রানা প্লাজায় ধ্বংস্তুপ এর নিচে চাপা পরা মুর্মূষু শ্রমিকদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা কতটা মানবিকতার পরিচয় বহন করে তা আমার বুঝে আসে না। নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদীকে এক মামলায় গ্রেফতার করে আরো ডজন মামলা দিয়ে যখন মাসাদিক কাল রিমান্ডের নামে নির্যাতন চালিয়ে ছিল আর প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল যখন সিণ্ডিকেড ভাবে বানোয়াট গল্প প্রতিদিন একই শিরোনামে ছাপানো হত তখন কি জনরুচির পক্ষে কাজ হত? মোটেই না। গাজীপুর সিটি নির্বাচরের ফলা ফল একাত্তর টেলিভিশন সর্বশেষ সংবাদ হিসেবে দর্শকদের জানাচ্ছে ৩৯২টি ভোট কেন্দ্রে দোয়াত-কলম প্রতীক পেয়েছে ৩ লাখ ১২ হাজার ভোট এবং টেলিভিশন প্রতীক পেয়েছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ভোট। এই একই ফল ব্রেকিং নিউজ হিসেবে দেশ টেলিভিশন এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনও প্রচার করতে থাকে।

বাংলাভিশন নিজে কোনো ঝুঁকি না নিয়ে একই ফল জানাতে থাকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট এবং একাত্তর টেলিভিশনের বরাত দিয়ে। এই দুই প্রার্থীর প্রাপ্ত মোট ভোট দাঁড়ায় ৭ লাখ ৮০ হাজার। এতে ভোটার উপস্থিতি শতকরা ৮৫ ভাগ ছাড়িয়ে যায়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভ্রান্তিহীন এবং একই সংখ্যার ফলাফল ঘোষণার স্বার্থেই জানাটা জরুরি ৮৫ ভাগ ভোটার উপস্থিতির ফল দুটি টেলিভিশন কোন সূত্রে পেলো এবং যাচাই বাছাই ছাড়া কেন প্রচার করলো? সেই সঙ্গে ওই সূত্রকে আগামীতে সকলে মিলে বর্জন করার শপথ নিতে হবে। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম কখনও কখনও পক্ষপাত নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।

কিন্তু মানুষ বিবিসি বাংলার কাছ থেকে ভিন্ন কিছু আশা করে, বিবিসি সম্পাদকীয় নীতিমালা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, যে নীতিমালার মূল কথা হচ্ছে নিরপেক্ষতা, বস্তুনিষ্ঠতা এবং স্বচ্ছতা। বিবিসি বাংলা সার্ভিস রাজনৈতিক স্পর্শ কাতর দু’টি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দু’টি প্রতিবেদনেই বিবিসি নামহীন গোয়েন্দা সূত্রের কথা উল্লেখ করেছে। বিবিসির প্রথম প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দা সূত্রে বিবিসির সংবাদদাতা অমিতাভ ভট্টশালী জানতে পেরেছেন, দমদম কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে বালীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। মি. বালী কারা কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, অর্থের লোভ দেখিয়ে এক কারারক্ষীর মাধ্যমে তিনি এ বিবৃতি বাইরে পাঠিয়েছেন।

গোয়েন্দা সূত্র আরও জানিয়েছে, ‘বালীর মতে ওই কারারক্ষী সীমান্ত এলাকায় যান এবং চিঠিটি একজন স্মাগলারের কাছে হস্তান্তর করেন। ’ একই ধরনের তথ্য বিবিসির দ্বিতীয় প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে। কারারক্ষী, অর্থ এবং স্মাগলারের ব্যাপারটি এমন ধারণা দেয়, পুরো বিষয়টি অন্ধকারাচ্ছন্ন, এমনকি দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অবৈধ। এটা লক্ষণীয় যে বিবিসির প্রতিবেদনে সংবাদদাতা বলেছেন, তিনি জানতে পেরেছেন। তিনি এ কথা বলেননি, গোয়েন্দা সূত্র দাবি করেছে।

নামহীন সূত্রের ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিবিসির কঠোর নীতিমালা রয়েছে। যাদের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ এবং যাদের সংবাদপত্রকে কোন একটি বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে স্বার্থ জড়িত তাদের ব্যাপারে নামহীন সূত্র ব্যবহার করা যায় না। গোয়েন্দা সূত্রের যে দাবি করা হয়েছে তা নিউ এজে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। বিবিসির প্রতিবেদক কেন নিউ এজের সঙ্গে জবাবের জন্য যোগাযোগ করলেন না তা একটি প্রশ্ন। যদি যোগাযোগ করা হতো তাহলে বিবিসিকে এটা নিশ্চিত করা হতো যে, বিবৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন স্মাগলার, কারারক্ষী অথবা অর্থের বিষয় জড়িত ছিল না।

দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, বিবিসির দু’টি প্রতিবেদনই নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নয়। যে তথ্যটা কাগজ বা টেলিভিশনে পরিবেশন করে, তা থেকে পাঠক প্রকৃত সত্য বা সঠিক তথ্য পাবে এবং তার ভিত্তিতে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করবে-এটাই হলো গণমাধ্যমের দায়িত্ব। কিন্তু গণমাধ্যমগুলো সে প্রয়োজন মেটাতে পারছে না। বড় কোনো রাজনৈতিক বিষয় এসে গেলে বিভিন্ন পত্রিকার বিভিন্ন সংবাদ দেখে আমরা বিভ্রান্ত হই। অথচ গণমাধ্যমের সবচেয়ে বড় শক্তি জনগণের আস্থা অর্থাৎ জনগণই গণমাধ্যমের একমাত্র বান্ধব।

কোনো সরকারই সংবাদপত্রে তার সমালোচনা শুনতে চায় না। যেহেতু আমাদের গণতন্ত্রের বয়স খুব কম, তাই গণতান্ত্রিক মানসিকতাটা এখনো সবার তৈরি হয়নি। সরকার, আমলাদের আচরণ হলো গণমাধ্যমকে যত কম বলা হবে ততই ভালো। অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট অবাধ তথ্যপ্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করছে। আইনটি ব্রিটিশ আমল থেকে বলবৎ রয়েছে, এটি কোনো দিন সংশোধিত হয়নি।

আর এই কম বলতে গিয়ে তাঁরা এসব আইনের অজুহাত দেন। গণমাধ্যমকে সহায়তা করার বিষয়টি এখনো আমাদের আমলাতন্ত্রে আসেনি। তা ছাড়া সরকারও চায় না যে তাদের আমলাস্তর থেকে কোনো তথ্য প্রকাশিত হোক। তথ্যকে জনগণের সামনে উ্নুক্ত করার মানসিকতা এদের নেই। তাই রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় যাওয়ার আগে নির্বাচনী ইশতেহারে কী ওয়াদা করে এবং ক্ষমতায় গিয়ে তা কতটা পূরণ করে আমাদের গণমাধ্যমগুলো সে সম্পর্কে এখনো কোনো পর্যবেক্ষণধর্মী বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারেনি।

আমাদের দূর্ভাগ্য হল সকল মিডিয়া গুলো দখল করে আছে বামপন্তী রাজনীতিতে বিশ্বাসীরা আর ওরা উগ্রভাবে ইসলাম ও মুলমানদের চরিত্র হননে উঠেপরে লেগেছে। বামরাজনীতিতে বিশ্বাসীরা মূখে প্রগতির কথা বলে; গণতন্ত্রের কথা বললেও কাজ করে উল্টোটা। যতই দিন যাচ্ছে সাংবাদিক সম্পর্কে মানুষের মনে ভালো ধারণাগুলো মুছে যাচ্ছে। কারণ সাংবাদিকতা যদি প্রতিপক্ষে ঘায়েল করার হাতিয়ার হয় আর সংবাদপত্র যদি দলীয় মূখপত্র হয়, তাহলে এ সংবাদপত্র দেশ ও জাতির কোন কল্যাণে আসবে বলে আমি মনে করি না। এভাবে গণমাধ্যমগুলো যদি বিশেষ কোন গোষ্টি বা দলের মূখপত্রের ভূমিকা রাখে তাহলে স্বাভাবিক ভাবে যারা ভিকটিম তাদের প্রতিবাদ করার অধিকার আছে।

তাই আমাদের দেশে সংবাদ পরিবেশনের নীতিমালা হওয়া প্রয়োজন, শুধু সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা না বলে। আমরা সবাই সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা বলি কিন্ত সংবাদপত্র তাদের নিজস্ব স্বার্থে প্রতিপক্ষকে প্রতিনিয়ত ঘায়েল করছে তার কোন জবাবদিহিতা নেই । অনেক সময় ভিকটিমের প্রতিবাদ ও ছাপে না। সাংবাদিকতা নামক যে শিল্প আজ সমাজে জাগরন সৃষ্টি করেছে তা তাদের সংবাদ প্রকাশে নিরপেক্ষতা প্রমানে ব্যর্থ হলে একসময় হয়ত গণমাদধ্যমগুলোকে এ জন্য চরম মূল্য দিতে হতে পারে। আসুন সবার উপর দেশপ্রেমকে অগ্রাধিকার দিই।

সবাই মিলে দেশটাকে গড়ি। সোনার বাংলায় সত্যিই সোনা ফলবে। -২০:১০:২০১৩

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।