আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উল্কাবৃষ্টি দেখতে ভিড়

নারায়ণগঞ্জ শহরের ৫ নম্বর ঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে গতকাল শনিবার রাতে উল্কাবৃষ্টি দেখতে ভিড় করেন কয়েক শ দর্শনার্থী। পূর্ণিমার চাঁদের আলো উল্কাবৃষ্টি দেখতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলেও শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ভিড় করেন নদীর তীরে।
গতকাল সন্ধ্যার পর পর শহরের ৫ নম্বর ঘাট এলাকায় টেলিস্কোপ দিয়ে উল্কাবৃষ্টি দেখার আয়োজন করে বিজ্ঞান সংগঠন ডিসকাশন প্রজেক্ট ও নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট। পাশাপাশি তারা দর্শনার্থীদের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করে। উল্কাবৃষ্টি দেখতে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ আশপাশের এলাকা থেকে বিভিন্ন বয়সের দর্শনার্থীরা এসেছিলেন শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে।

উল্কাবৃষ্টি দেখতে আসা দর্শকের অনেকেই উৎসাহ-উদ্দীপনায় মেতে ওঠেন। নদীর তীরে চলে গানবাজনা। শহরের জামতলা এলাকার গৃহবধূ পায়েল চৌধুরী তাঁর সাত বছরের সন্তান অর্পাকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন উল্কাবৃষ্টি দেখতে। টেলিস্কোপে মহাকাশ থেকে পড়া উল্কাবৃষ্টি দেখতে সন্ধ্যার পরপরই তিনি লাইনে দাঁড়ান। পায়েল চৌধুরী বলেন, ‘অনেক ভালো লাগছে।

আমার বাচ্চাদের চেয়ে বেশি আগ্রহ আমার। টেলিস্কোপের সাহায্যে খুব কাছ থেকে উল্কা দেখা যাবে—এ কথা ভেবে আমার খুব ভালো লাগছে। ’
শহরের দেওভোগ এলাকার জাহানারা পারভীন, জহুরা খাতুন ও আবুল হাসনাত জানান, ‘খুব মজা লাগছে। ’ তাঁরা পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছেন এ উৎসবে শামিল হতে।
বিজ্ঞান বক্তা আসিফ হোসেন জানান, পৃথিবী যে কক্ষপথ দিয়ে যাচ্ছে, সেটি ধূমকেতুর কক্ষপথ।

ওই কক্ষপথ দিয়ে প্রতি ৩৩ বছর পর ধূমকেতুটি সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। এখন ওই কক্ষপথটি অতিক্রম করছে পৃথিবী। ধূমকেতুর যে অংশগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যাচ্ছে, তার মুখোমুখি হচ্ছে পৃথিবী। সেগুলো বায়ুমণ্ডলের সংস্পর্শে এসে জ্বলে পৃথিবীতে পড়ছে। মাটিতে পড়ার আগেই সেগুলো নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে।

প্রতিবছর পৃথিবী যেহেতু ধূমকেতু টার্টলের কক্ষপথ অতিক্রম করে এ উল্কাপাতের সমঞ্চুখীন হয়, অজস্র উল্কা বায়ুমণ্ডলে জ্বলতে থাকে। নভেম্বর সেই মাস। এ মাসেই উল্কাবৃষ্টি হয় বলে তিনি জানান।
এদিকে রাত নয়টা পর্যন্ত আকাশে পূর্ণিমার চাঁদের আলো থাকায় উল্কাবৃষ্টি দেখা না গেলেও আয়োজকেরা জানান, রাত গভীর হলে পূর্ণিমার আলো কমে যাবে। তখন চাঁদের আলো ক্ষীণ হলে উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে।

দুটি টেলিস্কোপের সাহায্যে এ উৎসব দেখার ব্যবস্থা করা হয়।

 

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।