আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জয়তু বাম পরিকল্পনা!যে দেশে বিএনপি ই থাকবেনা সে দেশে তারেক রহমান খালাস পেলে সমস্যা কি?

সকল মতাদর্শকে আন্তরিকতার সাথে অধ্যয়ন করি।

সর্বদলীয় সরকার ওরফে নতুন চেহারায় পুরোনো মদ মানে মহাজোটের অভ্যন্তরীন ঐক্য শক্তিশালী করার সরকার হল নিউ বাকশাল গঠনের ড্রেস রিহার্সেল মাত্র। সামনে আসবে রক্ষী বাহিনী (গুম বাহিনী ছিল এক প্রকার রক্ষী বাহিনী। ), আরো বৃহৎ আকারে আলেম ওলামা নির্যাতন, কওমী মাদরাসা বন্ধ, ঢাকা সহ সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আলীয়া মাদরাসা ছাত্র বন্ধ, মেয়েদেরকে আরো উলঙ্গ করে পন্যরুপে উপস্থাপন করে পুরুষদের বৃহৎ আকারে মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা, লিভটুগেদার নামে আরো নারী নির্যাতন বৃদ্ধি ও বৃদ্ধকালে নারীদের ইনসিকিউরড করা যখন তার সৌন্দর্য ও যৌন চাহিদা থাকবেনা তখন, সকল ইসলামী দল ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ সহ নতুন সাম্রাজ্যবাদ রাশিয়ায় আত্বহত্যা করা সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেয়া ও সবাই সমান শ্লোগানের মধ্যে দিয়ে যোগ্যদের অবমূল্যয়ন করার এক বিরাট নীল নকশা বাস্তবায়নের দিকে যাচ্ছে সরকার। ভারতীয় পন্য আসবে আর আসবে।

গনহারে আসবে ভারতীয় ড্রাগস আর অবৈধ অস্ত্র। সীমান্তে আরো মরবে ফেলানীরা, ডিসি এসপি হবে ভারতীয় অফিসাররা, শিবসেনা আসবে গুজরাট হবে হায়দারাবাদ হবে। হবে কাস্মীরের মত অবস্থা। যেখানে বিএনপি ই থাকবেনা তারেক রহমান খালাস পেলে সমস্যা কি? এটিএন বাংলা, দেশ টিভি অলরেডি সজীব ওয়াজেদ জয়কে মার্কেটিং এর দায়িত্ব নিয়েছে। সব পত্রিকা আর টিভি চ্যানেলে আরো বেশী সজীব ওয়াজেদ জয়কে মার্কেটিং করবে।

তারেক রহমানকে মিডিয়া ট্রায়াল করে শেষ করে ফেলা হয়েছে। খালেদা জিয়া গৃহবন্ধী হবে। জামায়াত নেতাদের ফাসিঁ কার্যকর হবে। কারাগারে আরো নিক্ষিপ্ত হবে ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ। ইসলামী ছাত্র ও যুবকেরা লক্ষ লক্ষ ক্রস ফায়ারের শিকার হবে।

লাশও পাওয়া যাবেনা। জানাজা হবেনা। কোন পত্রিকায়ও আসবেনা। ঠেকিয়ে দেয়া হবে সম্ভাব্য আসন্ন ইসলামী বিপ্লবকে। কারন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে হবে।

সেকুলার বাংলাদেশ গড়তে হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হবে বাধ্যতামুলক দেবতা। কারন বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জামার্নীর নাৎসীবাহিনী আদলে হবে পুলিশ। ইতিমধ্যে ৭০০ হিন্দু বাম এসআই নিয়োগ দেয়া হয়েছে, গোপালগঞ্জবাসী সব পুলিশ এনে ঢাকায় পোস্টিং এর কথা সবার জানা আছে।

১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারীর অসমাপ্ত কাজ আবার পুর্নউদ্যেমে শুরু হতে যাচ্ছে। বিচার বিভাগ হবে সমাজতন্ত্রের স্পীকার। ইসলামী দল ও প্রতিষ্ঠান গুলো এখনো বেখবর। আ্ফসোস!!!!! জাতির যুবকেরা ক্লান্ত। ইসলামের নাম সর্বস্ব কবর পুজারীরা ফতোয়াবাজীতে সরব হয়েছে।

তারা শেখ হাসিনাকে মুত্তাকী বলে সার্টিফিকেট দিয়েছে। শেখ মুজিবকে বিশ্বাস করতে বলেছে। যে ইন্টারনেট আইপি থেকে সরকার বিরোধী কাজ চালানো হয়েছে তা ট্রেস করা হয়েছে , মোবাইল সিমগুলো ট্রেস হয়েছে। সরকারী মেডিকেলের আওয়ামী ডাক্তাররা আহত ইসলামপন্থী রোগী বললেই মেরে ফেলার ঘটনা কোন কোন জায়গায় দৃশ্যমান হচ্ছে। এ এক অদ্ভুত ভয়ার্ত পরিবেশ।

মাসজিদ থেকে অনেক যুবক গ্রেফতার হয়েছে। অনেক ইমাম গ্রেফতার হয়েছে জুমা মাসজিদে বক্তব্য দেয়ার অপরাধে। মাসজিদের দিকে বন্দুক তাক করে প্রকাশ্যে গুলি করা হয়েছে। দাড়ি ধরে টেনে ধরেছে পুলিশ, থানা হাজতে নিয়ে পায়ে গুলি করা হয়েছে, চোখ নখ উপড়ানো হয়েছে, লক্ষ লক্ষ পঙ্গু হয়েছে। হেফাজতের মিছিলে ঢুকে কুরআন পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে(হাজার পানজাবী কিনে কর্মীদের পড়িয়ে আলীগ নেতারা মিছিলে ঢুকিয়ে দিয়েছে )।

হেফাজতের হাজার হাজার লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে মুজিববাদ প্রতিষ্ঠার জন্যে এবং ইসলাম বিনাশের কার্যক্রমে তা ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের দিকে দেশ। মুজিববাদীরা সশস্ত্র। ইসলামপন্থীরা নিরস্ত্র।

মুজিববাদীরা ট্রেইন আপ। ইসলামপন্ত্রীরা আনকোরা। একটি অসম যুদ্ধের কবলে পড়ে গেলাম কি???????????????????????????????????????? শেষ রক্ষা হবে কি আলীগের? বিরোধী দল যখন থাকবেনা তখন কৌশলে শেখ হাসিনাকে মার্ডার করে দেয়া হবে। তারপর একজন খালৈদ মোশারফ কর্নেল তাহেরের সফল আবির্ভাব ঘটবে । তারপর শুধুই সমাজতন্ত্র।

এবার ইনুরা শেখ মুজিবের কবর খুঁড়ে বের করবে হাড্ডি গুড্ডি। তারপর উল্লাসে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম নতুন করে উপাধি দিবে বিশ্ব বঙ্গ চোর। বলবে বেঈমান..এর জন্যে আমরা সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। মতিয়া চৌধুরী চামড়া না পাইয়া শেখ মুজিবের হাড়ঁ দিয়ে খালি কলস বাজাবে। আহ কি সুখ স্মৃতি !!! বামদের বাংলায় মজিবের ঠাই নাই।

শাহবাগী আন্দোলনে জয়বাংলার পরে কিন্তু জয়বঙ্গবন্ধু ছিলনা। জয়তু বাম পরিকল্পনা! হে লাল ফৌজের কমরেড! আসলেই লাল রক্ত তোমাদের বড়ই পছন্দ। কাহারো কাহারে পছন্দ ছিল লাল গোলাপ। কি আর করা রক্ত বিনিময় তাহলে হতেই হবে।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।