ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে বলা হয় দেশের অর্থনীতির পাইপলাইন। এ সড়ক দিয়েই দেশের সিংহভাগ রপ্তানি পণ্য জাহাজিকরণের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠানো হয়। আমদানিকৃত পণ্যের সিংহভাগ এ সড়ক দিয়েই পৌঁছানো হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। অর্থনীতির প্রাণভোমরা হয়ে বিরাজ করছে যে সড়কটি তার ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকা সরকারবিরোধী সহিংস কর্মকাণ্ডের মৃগয়া ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ইচ্ছা হলেই তারা জ্বালিয়ে দিচ্ছে যানবাহন।
পুলিশ, র্যাব, বিজিবি মোতায়েন করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। সীতাকুণ্ডের জটিল রাজনীতির কারণে অর্থনীতিবিধ্বংসী কর্মকাণ্ড সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। সীতাকুণ্ডের কোনো কোনো আওয়ামী লীগ নেতার পুত্র একটি বিতর্কিত ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সারা দেশে তাণ্ডব সৃষ্টির জন্য সমালোচিত এই ছাত্র সংগঠনের জ্বালাও-পোড়াও দমনে প্রশাসন অসহায়ত্বের পরিচয় দিয়েছে। গত সাত মাসে সীতাকুণ্ডে এক হাজার তিনশত গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে।
অগি্নদগ্ধ হয়েছে ১৭০টি গাড়ি। পরিবহন মালিকদের কাছে সীতাকুণ্ড এখন আতঙ্কের নাম। তাদের মতে, সাত মাসে ভাঙচুর এবং অগ্নিদগ্ধে ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সীতাকুণ্ডের লাগাতার নাশকতায় পরিবহন মালিকরা উদ্বিগ্ন। তারা এর প্রতিবাদে দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছেন।
এমনিতেই হরতাল ও রাজপথের সহিংসতায় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ঝুঁকির মুখে। পরিবহন মালিকদের ধর্মঘট এ ঝুঁকি আরও বাড়াবে। যদিও তারা যে ইস্যুতে ধর্মঘট ডেকেছেন সে ইস্যুটি কোনোভাবেই উপেক্ষণীয় নয়। মুক্তিযুদ্ধে ঘাতক পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালনকারী একটি দলের ক্যাডারদের কাছে দেশের অর্থনীতির পাইপলাইন বলে বিবেচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক জিম্মি হয়ে থাকবে তা কাম্য হতে পারে না। আমরা মনে করি সীতাকুণ্ডে সরকারের কর্তৃত্ব নিরঙ্কুশ করতে নাশকতার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
জ্বালাও-পোড়াও ধ্বংসযজ্ঞে যারা জড়িত তাদের গ্রেফতারের উদ্যোগ নিতে হবে। তাদের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।