আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শীতের ধুলাবালি থেকে শ্বাসকষ্ট

শীতের শুরুতে শীতের পোশাক বা লেপ-কম্বল বের করে ব্যবহার শুরু করলেন, সঙ্গে সঙ্গে শুরু হলো হাঁচি, কাশি বা শ্বাসকষ্ট। ঘরের ঝুলঝাল পরিষ্কার করছেন বা পুরাতন খাতাপত্র গোছগাছ করছেন এমন সময় শুরু হলো হাঁচি ও পরে শ্বাসকষ্ট। তখনই তিনি ভাবতে শুরু করেন তার হাঁপানির কারণ এই ধুলাবালি।

সব ধুলাই কি খারাপ : সাধারণত রাস্তার যে ধুলা পাওয়া যায় তা অজৈব পদার্থ তাতে হাঁচি, কাশি বা হাঁপানির কষ্ট ততটা হয় না। কিন্তু ঘরের মধ্যে অনেক দিন ধরে জমে থাকা ধুলা অ্যালার্জিক অ্যাজমার একটি অন্যতম কারণ।

কারণ তাতে মাইট নামক আর্থোপড জাতীয় জীব থাকার জন্য। মাইট বেড়ে ওঠার উপযুক্ত পরিবেশ হলো আদর্্রতাপূর্ণ আবহাওয়া (৭৫% আদর্্রতা)। বিছানা, বালিশ, কার্পেট হলো মাইটের আদর্শ বাসস্থান। আদর্্রতা ও গরম আবহা-ওয়ায় মাইট তাদের জীবনচক্র সম্পূর্ণ করে। তাই ধুলোর মধ্যে মিশে থাকা মাইটের শরীর নিঃসৃত রস লালা ও মল সবই একসঙ্গে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এবং অ্যালার্জির প্রকাশ ঘটায় যা শেষে অ্যাজমায় রূপান্তরিত হয়।

প্রতিকার : ধুলো যেহেতু বাতাসের মধ্যে মিশে থাকে তাই নিঃশ্বাসের সঙ্গে আমাদের শরীরে সব সময় প্রবেশ করছে। আমাদের কিছু প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে হবে। যেমন বাসা থেকে কার্পেট সরিয়ে তুলতে হবে। ঘামে ভেজা তোশক ও বালিশের ধুলোয় মাইট বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ, তাই সম্ভব হলে চেন টানা ধুলা প্রতিরোধক ঢাকনা ব্যবহার করা দরকার। সম্ভব হলে তোশকের পবিবর্তে মাদুর পেতে শোয়া যেতে পারে।

অ্যাজমা রোগীদের ঘর নিয়মিত পরিষ্কার করা দরকার। রোগী যেন বিছানা ঝাড়া বা ঘর পরিষ্কার না করে। যদি একান্তই করতে হয় তবে মুখে ফিল্টার মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। ওষুধ প্রয়োগ : ওষুধ প্রয়োগ করে সাময়িকভাবে অ্যালার্জির উপশম অনেকটা পাওয়া যায়। এ রোগের প্রধান ওষুধ হলো ইনহেলার স্টেরয়েড।

ইনহেলার স্টেরয়েড ব্যবহারে রোগের লক্ষণ তাৎক্ষণিকভাবে উপশম হয়। যেহেতু স্টেরয়েডের বহুল পাশর্্বপ্রতিক্রিয়া তাই এ ওষুধ একনাগাড়ে বেশি দিন ব্যবহার করা যায় না। যতদিন ব্যবহার করা যায় ততদিনই ভালো থাকে এবং বন্ধ করলেই রোগের লক্ষণগুলো দেখা দেয়।

ইমুনোথেরাপি : অ্যালার্জি দ্রব্যাদি এড়িয়ে চলা ও ওষুধের পাশাপাশি ভ্যাকসিন বা ইমুনোথেরাপি অ্যালার্জিজনিত অ্যাজমা রোগীদের সুস্থ থাকার অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি। অ্যালার্জি ভ্যাকসিন বা ইমুরোথেরাপির মূল উদ্দেশ্য হলো মাইট দ্বারা অ্যাজমার সমস্যা হচ্ছে সেই এলারজেন স্বল্প মাত্রায় শরীরে প্রয়োগ করা হয়।

ক্রমান্বয়ে সহনীয় বেশি মাত্রায় দেওয়া হয় যাতে অ্যালার্জির কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা না দেয় কিন্তু শরীরের ইমুউন সিস্টেমের পরিবর্তন ঘটায় বা শরীরের অ্যালার্জির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে অর্থাৎ আইজিইকে আইজিজিতে পরিণত করে যাতে দীর্ঘমেয়াদি অ্যালার্জি ওষুধ ছাড়া নিয়ন্ত্রিত হয়।

ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস, দি এলার্জি অ্যান্ড অ্যাজমা

সেন্টার, ঢাকা। ফোন : ৮১২৯৩৮৩,০১৭২১৮৬৮৬০৬

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/index.php     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।