আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় তিস্তার ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার ডাংরার পাড় এলাকায় তিস্তা নদীর পাড়ে কয়েক শ মানুষ এ কর্মসূচি পালন করেন।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা জানান, গত তিন মাসে তিস্তা নদীর ভাঙনে রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলার বিদ্যানন্দ, নাজিমখান, দলদলিয়া ও থেতরাই ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের সহস্রাধিক ঘরবাড়ি, বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি, পাঁচ কিলোমিটার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে ১০টি গ্রাম ভাঙনের মুখে রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র, তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং পাঁচটি মসজিদ নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভাঙনরোধে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তাঁরা মানববন্ধন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভাঙনের শিকার হয়ে ঘরবাড়ি হারানো আমেনা বেগম বলেন, গত বন্যায় তাঁর ৫০ শতক আবাদি জমিসহ বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে অন্যের জায়গায় তিনি আশ্রয় নিয়েছেন। ওই জায়গাটাও ভাঙনের মুখে পড়েছে। রাজারহাট উপজেলার ঠুটাপাইকর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, ঠুটাপাইকর উচ্চবিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী থেকে বর্তমানে ২০০ গজ দূরে রয়েছে।

এখনই ভাঙনরোধ করা না গেলে স্কুল দুটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
উলিপুরের দলদলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হান্নান সরকার বলেন, ‘ভাঙন ঠেকাতে বারবার পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ (পাউবো) সংশ্লিষ্ট বিভাগে যোগাযোগ করা হলেও কোনো প্রতিকার পাইনি। বাধ্য হয়ে এলাকাবাসীকে নিয়ে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। ’
কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু তাহের বলেন, ভাঙনরোধে ২০ কোটি টাকার চারটি প্রকল্পের প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।

 

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.