আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানসিকভাবে শক্ত মানুষেরা যে ১৩ টি বিষয় এড়িয়ে চলেন

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই নিকটি অবশ্যই (১৮+) দের জন্য এবং দুর্বল ও সংবেদনশীলদের বিশেষ ভাবে অনুরোধ রইলো এই নিকের পোস্ট সমূহ এড়িয়ে যাওয়ার। এর পরও যাদের ভিতরে খুব বেশি কুড়কুড়ি আছে তারা অবশ্যই নিজ দায়িত্বে ঢুকবেন। আর পোলাপাইন!!! এই গুলান বহুত শয়তান ।
স্বনামধন্য করপোরেট ব্যক্তিরা যখন পেশীশক্তি আর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন, তখন মানসিক শক্তির প্রয়োজন অনেকটা আড়ালেই থেকে যায়৷ কিন্তু প্রকৃত অর্থে মানসিক শক্তিই একজন মানষকে সফলতা এনে দেয়। সফল মানুষদের অধ্যবসায়, সাহসিকতা আর আশাবাদ সংক্রান্ত অনেক লেখাপত্র রয়েছে, যা ঘাটলেই এটা সুস্পষ্ট হয়ে উঠবে।

আর এসব থেকে বলা যায় মানসিকভাবে স্বতন্ত্র একজন মানুষ যা করা থেকে বিরত থাকবেন তাকেই আমরা মানসিক শক্তি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করতে পারি৷ ১. নিজের জন্য দুঃখবোধ করা: মানসিকভাবে শক্ত মানুষরা কখনোই নিজের বর্তমান অবস্থার জন্য অন্যকে দায়ী করেন না৷ তারা নিজের প্রতিটি পদক্ষেপের দায়িত্ব নিজেই নেন। কারণ তাঁরা জেনে এসেছে জীবন এতোটা সহজ নয়৷ তারা জীবন থেকেই শিক্ষা নেন এবং সবকিছুকে সহজভাবে নিতে শিখেছেন৷ যখন প্রত্যাশার সাথে প্রাপ্তির সম্মিলন ঘটে না তখন সেটাকে তাঁরা স্বাভাবিকভাবেই মেনে নেন৷ ২. নিজের দুর্বলতাকে প্রকাশ করা: মানসিকভাবে শক্ত মানুষ কখনো অন্যের সামনে নিজের দুর্বলতাকে প্রকাশ করে না। ফলে কেউ তাদের দুর্বলতার সুযোগ কখনোই নিতে পারে না ৷ তাঁরা তাদের আবেগ-অনুভূতিকে সবসময়ে নিয়ন্ত্রণে রাখেন৷ ৩. পরিবর্তনকে এড়িয়ে চলা: এইসব মানুষ পরিবর্তনকে সবসময় আপন করে নিতে পারেন৷ যদি তাদের কোনো ভীতি থেকেই থাকে তা হচ্ছে পরিস্থিতির স্থবিরতা৷ পরিবর্তিত পরিবেশ এবং অনিশ্চয়তাই এসব মানুষদেরকে চনমনে করে তোলে৷ ৪. কর্মক্ষমতার অপচয়: এ মানুষদের অভিযোগ প্রায় নেই বললেই চলে ৷ যেসব ব্যাপারে তাদের কোন হাত নেই সেসব ব্যাপারে অভিযোগ করে তারা সময় নষ্ট করেন না৷ কোনো খারাপ পরিস্থিতিতে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখাকেই তারা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন৷ ৫. অন্যকে সন্তুষ্ট রাখার বৃথা চেষ্টা: মানসিক ভাবে স্বতন্ত্র মানুষ তোষামোদ এড়িয়ে চলেন৷ ন্যায্য কথা বলতে তারা কখনো পিছপা হন না৷ এভাবেই তারা পরিস্থিতি নিজেদের অনুকূলে রাখতে সক্ষম হন৷ ৬.ঝুঁকি নিতে ভয় পাওয়া: এসব মানুষ ঝুঁকি নিতে ভয় পান না৷ তাই বলে যে তারা বেপরোয়াভাবে এগিয়ে যান এমনটাও নয়৷ প্রতিটি কাজের সর্বোচ্চ প্রতিকূল প্রতিক্রিয়ার কথা হিসেব করেই তারা এগিয়ে যান৷ ৭. অতীত আঁকড়ে পড়ে থাকা: সোনালি অতীত আঁকড়ে পড়ে থাকার বাতিক এসব মানুষ বরাবরই এড়িয়ে চলেন৷ যা চলে গেছে তা চলেই গেছে৷ তারা বরং বর্তমান আর ভবিষ্যতের ওপরই বিশেষভাবে মনোনিবেশ করেন৷ কারণ অতীতকে ধরে রেখে চোখের জল খরচ করা বোকামী ছাড়া আর কি হতে পারে! ৮. একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করা: বাতুলতার সংজ্ঞা আমরা সকলেই জানি৷ এটা হচ্ছে এমন একটা ব্যাপার যে, পরেরবার অপেক্ষাকৃত ভালো ফলাফলের আশায় আমরা একই কাজের পু্নরাবৃত্তি করি৷ একজন মানসিকভাবে স্থিতিশীল মানুষ তার অতীতের কর্মফলের সম্পূর্ণ দায় দায়িত্ব নেন এবং অতীতের ভুলগুলো থেকে শেখার চেষ্টা করেন৷ গবেষণায় দেখা গেছে, আত্মবিশ্লেষণ সাফল্যের একটি অন্যতম চাবিকাঠি৷ ৯. অপরের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হওয়া: অন্যের সাফল্যে আন্তরিকভাবে আনন্দবোধ করার জন্য সত্যিকার অর্থেই অনেক শক্ত মানসিকতার প্রয়োজন হয়৷ কিছু কিছু মানুষের এই গুণ থাকে ৷ তারা অন্যের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হন না। এটাই তাকে সাফল্যের ছোঁয়া এনে দেয়। ১০. ব্যর্থ হলে হাল ছেড়ে দেওয়া: ব্যর্থতা মানেই হাল ছেড়ে দেয়া নয়।

প্রতিবার ব্যর্থ হবার পর উন্নতি করার সুযোগ তৈরি হয়। এমনকি বড় বড় উদ্যোক্তারাও ব্যর্থ মানুষদের আবার নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করার পরামর্শ দেন। মানসিকভাবে শক্ত ব্যক্তিরা ব্যর্থ হবার পর ভেঙে পড়েন না। তাঁরা কখনোই হাল ছেড়ে দেন না। তাদের এই দীর্ঘ অভিজ্ঞতাই তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করে।

১১. একাকী সময় কাটাতে ভয় পাওয়া: মানসিকভাবে শক্ত ব্যক্তিরা একাকী সময়টা উপভোগ্য করে কাটান। এমনকি তাঁরা তাদের একমুঠো অবসরের মূল্যবান সময়টুকুও নিরিবিলি কাটাতে পছন্দ করেন। অলস সময়টা তাঁরা তাদের পরিকল্পনা নিয়ে ভাবেন, ভবিষ্যত কাজ সম্পর্কে ভাবেন, বিশ্রামের সময়টাও তাঁরা নতুন কিছু করার চিন্তায় ব্যয় করেন। তারাঁ তাদের সুখ-দুঃখের ব্যাপারে কখনোই অন্যের ওপর নির্ভর করেন না। একাকী তাঁরা সুখী থাকতে পারেন।

এমনকি একাকীই তাঁরা আরো অনেকের চেয়ে সুখী জীবন অতিবাহিত করতে পারেন। ১২. বিশ্ব অর্থনীতি ও প্রত্যাশার সম্মিলন ঘটাতে ব্যর্থতা: বর্তমান বিশ্বের অর্থনীতির নাজুক অবস্থায় অনেকেই একটা ব্যাপার উপলব্ধি করতে পারছেন যে, তারা তাদের সমস্ত মেধা ও কাজ অনুযায়ী প্রাপ্ত বেতন ও সুবিধাদি দিয়ে জীবনযাত্রা সুখী করতে পারছে না। বাস্তবতার এই নিঠুর খেলায় মানসিকভাবে শক্ত মানুষরাই নিজেদের এগিয়ে নিতে পারছেন কেননা কাজ অনুযায়ী তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং যথার্থ মেধার ব্যবহার করে সফলতা অর্জন করছেন। ১৩. কাঙ্ক্ষিত সময়ে ফলাফল লাভের পরিকল্পনা: মানসিকভাবে শক্ত মানুষরা খুব ভালোভাবে জানেন ব্যবসা শুরু করলে এর ফলাফলের জন্য কতটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। তাঁরা এটা ভালভাবেই জানেন, ফলাফল কত দ্রুত আসতে পারে।

নির্দিষ্ট সময়ে ফল পেতে তাঁরা তাদের শক্তি, সময়ের একটা সম্মিলন ঘটিয়ে কাজ করেন। ফলে তাঁরা এর সুফল উপভোগ করতে পারেন। কেননা বুদ্ধিমানরা কখনোই সব সঞ্চিত শক্তি একবারেই খরচ করেন না। প্রয়োজন অনুযায়ী শক্তির যথার্থ ব্যবহার করেন বলে তাঁরা কাঙ্ক্ষিত সময়ে ফলাফল পান। পৃথিবীর সফল মানুষদের তালিকায় আপনার নাম দেখতে চান? তাহলে সবার আগে আপনার মানসিকতার বিকাশ ঘটান।

মানসিকভাবে শক্ত হোন। এরপরে পরিকল্পনা করে এগিয়ে যান। সাফল্য আপনার খুব নিকটেই অপেক্ষা করছে। - See more at: Click This Link
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.