আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্যাংককে লাগাতার বিক্ষোভে অচল ইংলাক সরকার

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গতকাল চতুর্থ দিনের মতো সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলেছে। বিক্ষোভকারীরা সরকারের অনেক মন্ত্রণালয় ঘেরাও করে রেখেছে। বিক্ষোভের মুখে পর্যটন, পরিবহন, কৃষি, অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বন্ধ হয়ে গেছে। বিক্ষোভকারীদের তোপের মুখে দফতর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন দেশটির শীর্ষ অপরাধবিরোধী সংস্থার কর্মকর্তারা। এ ছাড়া, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মীদেরও দফতর ছাড়ার সময় বেঁধে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

লাগাতার বিক্ষোভের মুখে অচল হয়ে পড়ছে দেশটির সরকার। সরকারের পতন ত্বরান্বিত করার দাবিতে রাজধানীর বাইরে সরকারি কার্যালয়গুলোও ঘেরাও করার জন্য রওনা হয়েছে বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনজীবী সুথেপ থাউগসুবান। তিনি জানিয়েছেন, সরকার পতনের লক্ষ্যে ঘেরাও করে ১৪টি মন্ত্রণালয়ই বন্ধ করে দেবেন তারা। প্রতিটি মন্ত্রণালয় জনগণের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, ইংলাক শিনাওয়াত্রার ওপর তার ভাই ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত্রার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। থাকসিন চাইছেন বোনকে দিয়ে নিজের অবৈধ শাসনের বৈধতা ফিরিয়ে নেবেন তিনি। এদিকে, পর্যটনমন্ত্রী সোমসাক পুরিসি সাক বলেছেন, আমাদের (মন্ত্রণালয়) ছাড়তে হবে কেননা বিক্ষোভকারীরা সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেবে। এদিকে, বিরোধীদের আন্দোলনের জবাবে পাল্টা ইংলাক শিনাওয়াত্রা সরকারের পক্ষে ব্যাংককের রাজমঙ্গলা স্টেডিয়ামে জড়ো হয়েছে লাল শার্টধারী সরকারসমর্থকরা। পদত্যাগের দাবি নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক শিনাওয়াত্রা বলেছেন, রাজনৈতিক সংকট সমাধানের জন্য সব পক্ষের সমঝোতা আসায় ও আলোচনা করা উচিত।

প্রসঙ্গত, গত মাসে বিতর্কিত সাধারণ ক্ষমা বিল আনার পর থেকেই শুরু হয় সরকারবিরোধী আন্দোলন। বিলটি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাস হলেও বিক্ষোভকারীদের বিরোধের মুখে উচ্চকক্ষ সিনেটে প্রত্যাখ্যাত হয়। বিবিসি, এএফপি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.