আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রতারণা

রাজধানীতে ফ্ল্যাট বিক্রির নামে চলছে ভয়াবহ প্রতারণার ব্যবসা। প্রতারকরা অবিশ্বাস্য কম দামে ফ্ল্যাট বিক্রির বিজ্ঞাপন সংবলিত বিলবোর্ড পোস্টার সেঁটে সাধারণ মানুষকে প্রলুব্ধ করছে। মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে অনেকে সারা জীবনের সঞ্চয় তুলে দিচ্ছে তাদের হাতে। কেউ কেউ ধারদেনা করে সংগৃহীত টাকা প্রতারক চক্রের হাতে তুলে দিয়ে চোখে শর্ষে ফুল দেখছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাত্র ২০-২৫ লাখ টাকায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাট বিক্রির বিরাট বিরাট বিলবোর্ড লাগায় একটি প্রতারক প্রতিষ্ঠান। বিলবোর্ডে লেখা হয় মাত্র ২০ লাখ টাকা জমা দিয়ে আপনিও হতে পারেন এ জমানায় মহারাজা-মহারানী। আকর্ষণীয় এ বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ হয়ে যারাই ফ্ল্যাটের আশায় টাকা জমা দিয়েছেন তারাই প্রতারিত হয়েছেন। ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেওয়ার আগ মুহূর্তে উধাও হয়ে গেছেন এ প্রতারণার মধ্যমণি জনৈক এসএ সবুর। অনুমান করা হচ্ছে, বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে অন্তত ৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে গেছে প্রতারক চক্রের সদস্যরা। প্রশ্ন উঠেছে, মাত্র ১০ কিংবা ২০ লাখ টাকায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাট বিক্রির বিজ্ঞাপন প্রকাশ সত্ত্বেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এদিকে নজর দেয়নি কেন? রাজধানীতে ১২০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটের দাম যে ক্ষেত্রে অন্তত ৮০ লাখ টাকা, সেখানে এক-চতুর্থাংশ দামে ফ্ল্যাট দেওয়ার অফারে প্রতারণায় সম্পৃক্ততা থাকাই স্বাভাবিক। এ বিষয়টা এতগুলো কর্তৃপক্ষের নজর কীভাবে এড়ালো তা একটি প্রশ্নের বিষয়। আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি মানুষ মাথা গোঁজার এক খণ্ড জমির জন্য সারা জীবনই স্বপ্ন দেখে। এখন এ স্বপ্নের অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে ফ্ল্যাট। রাজধানীতে জমির দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাওয়ায় ধারদেনা করে কিংবা ব্যাংক ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কেনার প্রবণতা ক্রমেই জেঁকে বসছে। একই সঙ্গে জেঁকে বসেছে প্রতারণা ব্যবসা। ফ্ল্যাট বিক্রির নামে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের প্রতারণা করে চলছে। এ বিষয়ে নজরদারি করার কোনো প্রতিষ্ঠান না থাকায় তারা যা ইচ্ছা তাই করার সুযোগ পাচ্ছে। ক্ষুণ্ন হচ্ছে আবাসন ব্যবসার সুনাম। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এখনই সক্রিয় হতে হবে। আরও বিপর্যয় না চাইলে প্রতারকদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.