আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেনাবাহিনির অজানা কথা

বাংলাদেশ সেনাবাহিনি সব খেয়ে ফেলল। দেশের মানুষের ট্যক্সের টাকায় উনারা ফুর্তি করে বেড়াচ্ছেন। জাতিসংঘ মিশনে গিয়ে টাকা আর টাকা। এই দেশে সেনাবাহিনি দিয়ে কি হবে? বাংলাদেশ সেনাবাহিনি নিয়ে অনেক কথা প্রচলিত আছে। যার মধ্যে অনেক কিছু কিছু আমরা জেনে বলি আবার অনেক কিছু না জেনে বলি।

আজকের আমার লেখাটির উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের প্রচলিত ভুল ধারনা গুলো নিয়ে একটু আলোচনা করা:
১। আমাদের অনেকেরই ধারনা আছে সেনাসদস্যরা বেসামরিক লোকজনকে ব্লাডি সিভিলিয়ান বলে গালি দেয়। আমি হলফ করে বলতে পারি এটা সেনাবাহিনি সম্মন্ধে জানা আমাদের প্রথম ভুল ধারনা। সেনাকর্মকর্তারা কোন বেসামরিক নাগরিককে ব্লাডি সিভিলিয়ান বলে গালি দেয় বলে আমি আজ পর্যন্ত শুনিনি। আপনাদের কাউকে কখনও দিয়েছে? তবে হ্যাঁ তারা ব্লাডি সিভিলিয়ান যে বলেনা তা নয়, বলে নিজেদেরকেই বলে।

একটু খোলাসা করে বলি; যখন কোন সেনাসদস্য প্রশিক্ষন বা কোন কর্মকাণ্ডে ইচ্ছাকৃত দূর্বলতা বা ফাঁকিবাজি প্রদর্শন করে তখন তাকে অনেক রকম গালি দেওয়া হয়। ব্লাডি সিভিলিয়ান হল তার মধ্যে একটি। যা একান্তই তাদের নিজস্ব ব্যাপার। এতে আমাদের সিভিলিয়ানদের কিছু যায় আসেনা। যেমন আমরা কোন সেনাসদস্যদের হাটুর বুদ্ধির লোক বললে তাদের কিছু এসে যায়না।


২। আমাদের অনেকের ধারনা আছে সেনাকর্মকর্তারা খুব একটা শিক্ষিত না, তারা এইচ এস সি পাশ করে সেনাবাহিনিতে যোগদান করে তাই তাদের বুদ্ধি বা জ্ঞান হাটু স্থানীয়। এখানে উল্লেখ্য যে ছাত্রটি বুয়েট বা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয় সেও কিন্তু এইচ এস সি পাশ করার পরে আমাদের প্রথাগত শিক্ষা পদ্ধতি গ্রহন না করে প্রফেশনাল শিক্ষা গ্রহন করে। তাই বলে কি একজন ডাক্তার বা ইঙ্গিনিয়ারকে আমরা শুধুমাত্র এইচ এস সি পাশ বলব? সেনাকর্মকর্তারা অনেকেই আছে যারা বুয়েট বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাল ভাল সাবজেক্ট এ সুযোগ পেয়েও সেনাবিহিনিতে যোগদান করে থাকেন। আমি এস এস সি ও এইচ এস সি তে বোর্ড স্ট্যান্ড করেও সেনাবাহিনিতে চান্স পাইনি।

আমাদের ব্যাচের ৩০-৩৫ জন সেনাবাহিনিতে যোগদান করেছে যাদের এস এস সি বা এইচ এস সি কোনটাতে সম্মিলিত মেধাতালিকায় স্থান ছিল। সেনাসদস্যদের ৩ বছর মেয়াদী গ্র্যাজুয়েসন সম্পন্ন করতে হয়। সাফল্যের সাথে সামরিক শিক্ষা ও গ্র্যাজুয়েসন শেষ করার পরেই কেবল একজন সদস্য অফিসার হিসাবে কমিশন লাভ করে। এখনেই শেষ নয়। সেনাসদস্যরা তাদের কর্মজীবনে দেশে ও বিদেশে অসখ্য কোর্স বা প্রশিক্ষনে অংশগ্রহন করে থাকেন।

ই এম ই, ইঞ্জিনিয়ার্স, সিগন্যালস কোরের অফিসার গন বুয়েট, বি আই টি বা এম আই এস টি থেকে যথাক্রমে ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং, পুর কৌশল এবং কম্পিঊটার কৌশলে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। অর্ডন্যন্স কোরের অফিসারগন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বা লেদার টেকনোলোজিতে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করে। তাছাড়া অসখ্য সেনাকর্মকর্তা নিজ চেষ্টায় নিজের টাকা খরচ করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসা প্রশাসন, অর্থনীতি,ইংরেজী, রাষ্ট্র বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন। অনেক সেনাকর্মকর্তাকে জানি যারা বিভিন্ন বেসরকারী বিশববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। হাটুতে বুদ্ধি থাকলে এগুলো সম্ভব হতো বলে আমার মনে হয়না।

তাই সেনা অফিসারদের শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনের পূর্বে এ ব্যাপারে আমাদের নিজেদের শিক্ষাটা ভাল করে যাচাই করে নেওয়ার দরকার আছে।
৩। অসংখ্য মানুষের মত আমারও এক সময় ধারনা ছিল সেনাসদস্যরা বুঝি অনেক সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। এবার আসুন ব্যাপারটা ভাল করে তলিয়ে দেখি। সেনাসদস্যদের বেতন, ভাতা দেশের পে স্কেল অনুযায়ী অন্যান্য সরকারী কর্মচারী বা কর্মকর্তাদের মত একই রকম।

সেনাসদস্যরা শুধু মাত্র প্রতিরক্ষা ভাতাটা একটু বেশি পেয়ে থাকেন। আমার মনে হয় এটা পৃথিবীর সব দেশের সেনাবাহিনি পেয়ে থাকে। এখন আসেন রেশনের কথায়; রেশন বাংলাদেশে সেনাবিহিনির পাশাপাশি পুলিশ, আনসার ও বিজিবি সদস্যরাও পান। আর একজন সদস্যের রেশন এর বাজার মূল্য কোনভাবেই ২০০০ টাকার বেশী না। একজন সেনাকর্মকর্তা বিয়ে না করা অবধি বাড়ী ভাড়া ভাতা পাননা যা অন্য সকল সরকারী কর্মকর্তা অবিবাহিত হলেও পেয়ে থাকেন।

সরকারী একজন জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা সবসময় সরকারী গাড়ি পান কিন্তু একই স্ট্যাটাসের একজন সামরিক অফিসার ব্যাক্তিগত ব্যবহারের জন্য কোন গাড়ী পাননা। সপ্তাহে তারা টাকার বিনিময়ে শুধুমাত্র একদিন সরকারী গাড়ী ব্যবহার করতে পারেন। তাও ৬০ কিলোমিটার রেডিয়াসের মধ্যে। এবার আসি জাতিসংঘ মিশনের কথায়; প্রথমেই বলে রাখি বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র সেনাসদস্যরাই মিশনে যায়না। পুলিশ সদস্যরাও যায়।

একটা উদাহরন দেই তাহলে অনেকটা পরিষ্কার হবে। একজন মেজর পদবীর অফিসার যদি এক বছর মিশন করেন তাহলে পান ২২০০X১২=২৬,৪০০ ডলার বাংলাদেশী টাকায় যা মাত্র ২১,১২০০০ টাকা। এক বছর পরিবার পরিজন রেখে একটা বিপদ সংকুল দেশে পড়ে থেকে ২১,০০০০ টাকা উপার্জন কি খুব একটা বেশী? এই টাকাটাও যে সঞ্চয় হয় তা কিন্তু না। বেশীরভাগ সেনাকর্মকর্তা একটা গাড়ী কিনে বা বিদেশ ঘুরে এর সিংহভাগ শেষ করে ফেলেন। একটা উন্নত দেশে রেস্টুরেন্ট এর ওয়েটার হলে থেকে অনেক বেশী আয় করা যায়।

আর আমাদের দেশে কর্পোরেট জগতে যারা আছেন তারাতো দেশে বসেই এর চাইতে বেশী টাকা রোজগার করেন।
৪। সেনানিবাসের হাইরাইজ বিল্ডিং গুলো দেখে অনেকের ধারনা সেনাসদস্যরা বুঝি খালি সরকারী বাড়ী পান। মোটেও না। বাংলাদেশে সকল সরকারী চাকরীজীবীরাই সরকারী বাসস্থান পান।

অনেকেই সেনাবাহিনিতে অফিসার আর সৈনিকের মাঝে বৈষম্যের কথা বলেন। আমিও বলতাম। কিন্তু আমরা কি ভেবে দেখেছি যার যেমন যোগ্যতা সে অনুযায়ীই সে সুযোগ সুবিধা পাবে। এটা নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কোন কারন নেই। সব খানেই এ ব্যাপারটা আছে।

গ্রামীন ফোনের একজন এন্ট্রী লেভেল অফিসার আর একজন মিড লেভেল অফিসার কি সমান সুবিধা পেয়ে থাকেন? বা একটি ব্যাংকের ম্যানেজার আর সিকিউরিটি গার্ড কি সমান সুযোগ সুবিধা পায়? তাই এসব নিয়ে কথা বলার আগে আমাদের আরও জানার দরকার আছে।
৫। এবার আসি ক্যডেট কলেজ, বি ইউ পি, আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজ এসবের কথায়। আমাদের অনেকের ধারনা এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেবল সেনাসদস্যদের সন্তানরাই সুযোগ পায়। আসলে কিন্তু তা নয়।

একটু খোজ নিলে দেখবেন এসব প্রতিষ্ঠানে বেশীরভাগ বেসামরিক মানুষের সন্তানরাই পড়ালেখা করে। এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় আমাদের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নীতিমালার আলোকে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মের মধ্য দিয়ে পরিচালিত হয় বলে কোন সেশন জট নেই, রেজাল্টও ভালো। তাছাড়া সেনাবাহিনি নিজের গাটের পয়সা খরচ করে অটিস্টিক শিশুদের জন্য স্কুল পরিচালনা করে। সব সেনানিবাসেই এরকম একটি করে স্কুল আছে।

সেসব স্কুলগুলোতে আপনার আমার মতো বেসামরিক লোকজনের বাচ্চা কাচ্চারা লেখাপড়া করে।
৬। অনেকেই নাখোশ ঢাকা সেনানিবাসের অবস্থান নিয়ে। তাদের যুক্তি- ঢাকা শহরের মাঝখানে সেনানিবাসের অবস্থান অনেক সমস্যার তৈরী করছে। আমিও একমত এ ব্যাপারটাতে।

কিন্তু আমাদের ভেবে দেখতে হবে ঢাকা সেনানিবাস যখন তৈরী হয়েছিল তখনকার ঢাকা শহর কই ছিল। আমাদের মত ছোট দেশ যার জনসংখ্যা ১৭ কোটি এমন দেশে ঢাকা শহরের বাইরে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে আরেকটি সেনানিবাস বানানোটা ওত সহজ নয়। আর ঢাকা সেনানিবাস অন্যান্য কনভেনশনাল সেনানিবাস এর মত নয়। এখনে মুলতঃ সেনা, নৌ ও বিমান সদর অবস্থিত। তাছাড়া রয়েছে কিছু লজিস্টিক স্থাপনা।

এসব স্থাপনা রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছাকাছি থাকাটা বাঞ্ছণীয়। ঢাকা সেনানিবাসকে ঢাকার অদূরে নিয়ে যাওয়া আর বংগভবন, গণভবন বা সচিবালয় ঢাকার বাইরে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব অনেকটা একই রকম। দুনিয়ার কোথাও বিমান বন্দর ও শহরের মাঝে থাকেনা। আমাদের কিন্তু আছে, তাই আমাদের এই চিন্তা সমূহে একটু পরিবর্তন আনতে হবে। আমেরিকার মত দেশ যাদের সম্পদের কোন সীমাবদ্ধতা নেই সেখানেও পেন্টাগন শহরের অভ্যন্তরে অবস্থিত।

অনেকে বলেন সেনানিবাসের ভিতর দিয়ে বেসামরিক মানুষকে চলাফেরা করতে দেওয়া হয়না। কথাটা আংশিক সত্য মাত্র। ঢাকা সেনানিবাসের ভিতরে অহরহ বেসামরিক যানবাহন ও মানুষকে চলতে দেখি আমি। ঢাকা সেনানিবাসে প্রচুর বেসামরিক জনসাধারণও থাকেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে অহেতুক সেনানিবাসে ঘুরাঘুরি করতে চাইলে একটু আপত্তি আসতেই পারে।


৭। সেনাসদস্যদের ডি ও এইচ এস এ প্লট পাওয়া নিয়ে আমাদের অনেক কষ্ট আছে। আরেভাই আমরাওতো (সাংবাদিক, লেখক, রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, জজ, উকিল, খেলোয়াড়, ইত্যাদি) উত্তরা বা পূর্বাচলে রাজঊকের প্লট পাই তো সেনাবাহিনী পেলে সমস্যা কি? পুলিস, বি সি এস ক্যাডারের লোকজন ও পায়। অন্যদের নিয়েতো কাউকে কিছু বলতে শুনিনা। সমস্যা হল আমাদের প্লট ক্ষমতাশালীরা দখল করে আর সেনাবাহিনী নিয়মমাফিক জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী তাদের সদস্যদের মাঝে বিতরন করে।

আর সেনাসদস্যরা প্লট কিন্তু ফ্রী অফ কোস্ট পায়না। আসলে নাথিং ইজ ফ্রী ইন দিস ওয়ার্ল্ড। কতজন সরকারী আমলা মারা গেলে তাদের কূলখানী গুলশানস্থ নিজ বাড়ীতে হয় আর কতজন সেনাসদস্য মারা গেলে তাদেরটা নিজ বাড়ীতে হয় সেটা খতিয়ে দেখলে জানতে পারবেন কে আসলে কোথায় প্লট পায়। কতজন বেসামরিক ৩য় শ্রেণীর কর্মচারীর বাড়ী ঢাকা শহরে আছে আর কতজন সেনাসদস্যের বাড়ী ঢাকা শহরে আছে তার একটা জরিপ হওয়া দরকার বলে আমি মনে করি। সেদিন পুলিশের এক সার্জেন্ট আর সচিবালয় কর্মরত আমার দুই আত্মীয়ের সাথে দেখা হল।

দুজনেরই সন্তান পড়ছে ঢাকার নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। তাদের দুজনেরই ঢাকা শহরে ফ্ল্যাট আছে। উনাদের স্ট্যাটাস সশস্ত্র বাহিনির জেসিও সমতুল্য। কই কোনদিন শুনলামনাতো সেনাবাহিনির কোন জেসিওর ঢাকা শহরে বাড়ী বা ফ্ল্যাট আছে।
৮।

সেনাবিহিনিতে গলফ কোর্স নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেন। কিন্তু আমরা কি জানি ঐ সব গলফ কোর্সে কতজন সেনাসদস্য খেলতে যান? গলফ ক্লাব সমূহের বেশিরভাগ সদস্যই কিন্তু বেসামরিক পরিমন্ডল থেকে আগত। বাংলাদেশের গলফের নায়ক সিদ্দিকুর রহমান কোন সেনাসদস্য নয়। গলফ ক্লাবগুলোর সদস্য হতে অনেক টাকা লাগে। কিন্তু ঢাকা ক্লাব বা গুলশান ক্লাবের মেমবারশীপ ফ্রী পাওয়া যায় বলে আমাদের অনেকের ধারনা!
৯।

আমাদের আরেক ব্যাথা হল সেনাবাহিনী ব্যবসা করে টাকা কামায়। তারা হোটেল বানায়, ব্যাংক খোলে আরও কতকি। আমাদের মধ্যে হিংসা জিনিসটা যে প্রবল তার একটা উদাহরণ হল এই বিষয় নিয়ে কথা বলা। সেনাবাহিনি যদি নিজের টাকায় ব্যবসা করে আমার সমস্যা কি? আমার টাকা কি মারছে? পুলিশ এর আছে পলওয়েল মার্কেট, পুলিশ প্লাজা, সেনাবাহিনির আছে রেডিসন, ট্রাস্ট ব্যাংক। আর সেনাপরিচালিত সব ব্যাবসা প্রতিস্টানের ম্যানেজমেন্ট এ আছে কিন্তু বেসামরিক লোকজন অথবা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য।

এসব কাজ করতে গিয়ে সেনাবাহিনি তার মিশন থেকে বিচ্যুত হচ্ছেনা।
১০। আরেক পক্ষ আছেন যারা হরহামেশাই বলেন আমাদের দেশে সেনাবাহিনির দরকার টা কি? আমরা কার সাথে যুদ্ধ করব? আগুন লাগছে? সেনাবাহিনি দরকার। বন্যা হইছে? সেনাবাহিনি দরকার। বিল্ডিং ভাংছে সেনাবাহিনি দরকার।

রাস্তা করা লাগবে সেনাবাহিনি দরকার। লেক বানানো লাগবে? সেনাবাহিনি দরকার। ফ্লাইওভার বানানো লাগবে? সেনাবাহিনি দরকার। ওয়াসা পানি দিতে পারেনা? সেনাবাহিনি দরকার। পুলিশ যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা?সেনাবাহিনি দরকার।

একটি স্বচ্ছ ভোটার লিস্ট করা লাগবে? সেনাবাহিনি দরকার। আপনার অফিসের জন্য একজন দক্ষ, সৎ, যোগ্য, কর্মঠ এমপ্লই লাগবে? রিটায়ার্ড সেনা অফিসার দরকার।
সেনাবাহিনি নিয়ে আমাদের ভুল ধারনাগুলো দূর করার সময় এসেছে। আমাদের সীমান্তের নিরাপত্তা দিতে বি এস এফ আসবেনা বা আমাদের সমুদ্র সীমা পাহারাদারি আমেরিকার মেরিন সেনারাও করে দিবেনা। আমাদের রক্ষা আমাদের নিজেদেরই করা লাগবে।

তাই সেনাবাহিনি নিয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে ভুল ভাল কিছু বলার আগে আমাদের সবারই ভাল করে জানার দরকার আছে বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনি নানা কারনে সময়ে অসময়ে বিতর্কিত হয়েছে তাদের নানাবিধ কর্মকাণ্ডের জন্য। এখন সেনাবাহিনি ঐসব বিতর্কের উর্ধে। বর্তমান সেনাবাহিনি ক্ষমতা দখল করবেনা বা কাউকে ব্লাডি সিভিলিয়ান বলে গালিও দিবেনা বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। একজন বেসামরিক মানুষের পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে আজকের কথাগুলো লিখলাম।

ভুল হতে পারে। কোন সামরিক সদস্য এখানে থাকলে ভুল গুলো ধরিয়ে দিবেন দয়া করে।
সুনীল সাগর

সোর্স: http://www.sachalayatan.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।