আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উৎকণ্ঠার মধ্যেও নির্বাচনী উত্তাপ ফটিকছড়িতে

প্রধান বিরোধী দল বিএনপি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় উৎকণ্ঠা থাকলেও নির্বাচনী উত্তাপ শুরু হয়েছে ফটিকছড়িতে। ইতিমধ্যে প্রার্থীরা তাঁদের প্রচার কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছেন। জল্পনা-কল্পনা চলছে নির্বাচন হলে এখানে ফলাফল কী হবে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে বলে আলোচনা চলছে।
নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে সাত প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

তাঁরা হলেন খাদিজাতুল আনোয়ার (আ.লীগ), এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, মাহমুদ হাসান ও নাজিম উদ্দিন মুহুরী (স্বতন্ত্র, তিন জনই আ.লীগ নেতা), তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, ফরিদ আহমেদ (জাতীয় পার্টি) ও মো. আবদুল হামিদ (ইসলামী ফ্রন্ট)। এ আসনে তিন লাখ ২৬ হাজার ভোটার রয়েছেন।
এদিকে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকে প্রার্থীরা ভোটারদের ‘দোয়া ও সমর্থন’ পেতে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াতে শুরু করেছেন। তাঁরা নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে বলে ভোটারদের আশ্বস্ত করার পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত ভোট চাইতে ভুল করছেন না। নির্বাচন কেমন হবে জানতে চাইলে খাদিজাতুল আনোয়ার বলেন, ‘এলাকার উন্নয়নে বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে কাজ করছি।

দলের মনোনয়ন পেয়ে খুশি। আশা করি, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। তবে বিএনপি নির্বাচনে এলে আরও ভালো হতো। ’
এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘৪০ বছর মাঠে কাজ করছি। কর্মী-সমর্থক আমাকে সংসদে দেখতে চায়।

তাঁদের কথা রাখতে প্রার্থী হয়েছি। ’ ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে বলে আশা করেন তিনিও। মাহমুদ হাসান বলেন, নির্বাচনের জন্য দেশের জনগণ উন্মুখ। ফটিকছড়িবাসীও আনন্দিত। কারণ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া এলাকার উন্নয়ন সম্ভব নয়।


নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, ‘আমি ফটিকছড়িবাসীর খেদমতে ছিলাম, আছি এবং থাকব। নির্বাচিত হয়ে ফটিকছড়িবাসীর মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে চাই। ’
নাজিম উদ্দিন মুহুরীসহ অন্য প্রার্থীরাও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। ভোটাররা জানান, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে তরিকত প্রার্থীর ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খাদিজাতুল আনোয়ার নবীন হলেও বাবা প্রয়াত সাংসদ রফিকুল আনোয়ারের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন।

অন্যদিকে দলে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্বের কাতারে থাকার সুবাদে নেতা-কর্মীদের বড় অংশের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এ টি এম পেয়ারুল ইসলামের। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দলের দুর্যোগে দলের পক্ষে কাজ করেছেন মাহমুদ হাসান।
এদিকে নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের আগ্রহ থাকলেও অনেকের মধ্যে উৎকণ্ঠাও কম নেই। তাঁদের জিজ্ঞাসা বিএনপি ছাড়া নির্বাচনের পর শান্তি ফিরে আসবে তো? এ নিয়ে বিবিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী ইফতেখার উদ্দিন বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় এক রকম উৎকণ্ঠায় রয়েছি।

নাশকতা চলতে থাকায় উৎকণ্ঠা আরও বাড়ছে।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।