আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ম্যান্ডেলার যত বিচ্ছেদ-বেদনা

বর্ণবৈষম্যের অন্ধকারে ডুবে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকায় সাম্যের আলোকবর্তিকা হয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন মহামানব নেলসন ম্যান্ডেলা।
দেশে-বিদেশে সমান সমাদৃত এ মানুষটির ব্যক্তিজীবন ছিল আগাগোড়া বেদনায় মোড়া। আজ শুক্রবার এনডিটিভির অনলাইনের এক প্রতিবেদনে তাঁর পারিবারিক জীবনের সেই দুঃখগাথার চিত্র উঠে এসেছে।  ১৯৪৭ সালে ম্যান্ডেলা ও তাঁর প্রথম স্ত্রী ইভলিন নিতোকোর কন্যাসন্তান মাকাজিউয়ে মাত্র নয় মাস বয়সে মারা যায়।

১৯৬৯ সালে ম্যান্ডেলার বড় ছেলেসন্তান মাদিবা থেমবেকাইলি একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।

ওই সময় আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সামরিক শাখা তৈরির দায়ে রোবেন আইল্যান্ডে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন তিনি। ওই সময় তাঁকে ছেলের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেয়নি তত্কালীন সরকার। এর ঠিক এক বছর আগে ম্যান্ডেলার মা মারা যান। মায়ের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার অনুমতিও পাননি ম্যান্ডেলা।

আত্মজীবনী ‘লং ওয়াক ফর ফ্রিডম’ গ্রন্থে প্রিয়জনদের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দিতে না পারার বেদনার কথা উল্লেখ করেছেন ম্যান্ডেলা।

তিনি নিজের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, ‘পরিবারের চেয়ে মানবকল্যাণকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে আমি কি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি?’

প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ম্যান্ডেলার বিচ্ছেদ হয় ১৯৫৮ সালে। একই বছর জুন মাসে উইনি মাদিকিজেলাকে বিয়ে করেন তিনি। সে বিয়েও টেকেনি। ১৯৯০ সালে ম্যান্ডেলা দীর্ঘ কারাবরণ থেকে ফিরে আসার ঠিক দুই বছরের মাথায় তাঁরা আলাদা থাকতে শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়।

২০০৫ সালে ম্যান্ডেলার আরেক ছেলে এইডসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর এইডসবিরোধী প্রচারে নামেন বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের এ নেতা।

২০০৯ সালে ম্যান্ডেলার প্রাণপ্রিয় নাতনি জেনানি ম্যান্ডেলা মাত্র ১৩ বছর বয়সে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।  

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.