আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আসমানী চিঠি

যে ব্যক্তি সত্কর্মপরায়ণ হয়ে স্বীয় মুখমন্ডলকে আল্লাহ্ অভিমূখী করে. সে এক মজবুত হাতল ধারন করে. সকল কর্মের পরিণাম আল্লাহর দিকে।

রহমান রহীম আল্লাহ তায়ালার নামে আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে তা সবই আল্লাহর (পবিত্রতা ও) মাহাত্ম্য ঘোষণা করে, তিনি মহাপরাক্রমশালী ও প্রবল প্রজ্ঞাময়। হে ঈমানদার ব্যক্তিরা, তোমরা এমন সব কথা বলো কেন যা তোমরা (নিজেরা) করো না। আল্লাহর কাছে এটা অত্যন্ত অপছন্দনীয় কাজ যে, তোমরা এমন সব কথা বলে বেড়াবে-যা তোমরা করবে না! আল্লাহ তায়ালা তাদের (বেশী) পছন্দ করেন যারা তাঁর পথে এমনভাবে সারিবদ্ধ হয়ে লড়াই করে, যেন তারা এক শিশাঢালা প্রাচীর। (মূসার ঘটনা স্মরণ করো,) যখন মূসা নিজের জাতিকে বলেছিলো, হে আমার জাতি, তোমরা কেন আমাকে কষ্ট দিচ্ছো, অথচ তোমরা এ কথা জানো , আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো একজন রসূল; অতপর লোকেরা যখন বাঁকা পথে চলতে আরম্ভ করলো, তখন আল্লাহ তায়ালাও তাদের মন বাঁকা করে দিলেন; আল্লাহ তায়ালা কখনো না-ফরমান লোকদের সঠিক পথের দিশা দেন না।

স্মরণ করো, যখন মারইয়াম পুত্র ঈসা তাদের বললো, হে বনী ইসরাঈলের লোকেরা, আমি তোমাদের কাছে পাঠানো আল্লাহর এক রাসূল, আমার আগের তাওরাত কেতাবে যা কিছু আছে আমি তার সত্যতা স্বীকার করি এবং তোমাদের জন্যে আমি হচ্ছি একজন সুসংবাদাতা,( তার একটি সুসংবাদ হচ্ছে), আমার পর এক রসূল আসবে, তার নাম আহমদ; অতপর (আজ) যখন সে (আহমদ সত্য সত্যিই) তাদের কাছে স্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে হাযির হলো তখন তারা বললো, এ হচ্ছে এক সুস্পষ্ট যাদু! তার চাইতে বড়ো যালেম আর কে আছে যে আল্লাহর ওপর মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে, (অথচ) তাকে ইসলামের দিকেই দাওয়াত দেয়া হচ্ছে; (মূলত) আল্লাহ তায়ালা কখনো সীমালংঘনকারীদের সঠিক পথে পরিচালিত করেন না। এ লোকেরা মুখের ফুৎকারেই আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে চায়; অথচ তিনি তার এ নূর পরিপূর্ণ করে দিতে চান; তা কাফেরদের কাছে যতোই অপছন্দনীয় হোক না কেন। তিনি তার রসূলকে একটি স্পষ্ট পথনির্দেশ ও সঠিক জীবন বিধান দিয়ে প্রেরণ করেছেন, যেন সে রসূল) একে দুনিয়ার (প্রচলিত) সব কয়টি জীবন ব্যবস্থার ওপর বিজয়ী করে দিতে পারে, তা মোশরেকদের কাছে যতোই অপছন্দনীয় হোক না কেন! হে ঈমানদার ব্যক্তিরা, আমি কি তোমাদের এমন একটি ( লাভজনক) ব্যবসার সন্ধান দেবো যা তোমাদের (মহাবিচারে দিনে) কঠোর আযাব থেকে বাচিয়ে দেবে! (হ্যাঁ, সে ব্যবসাটি হচ্ছে,) তোমরা আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসূলের ওপর ঈমন আনবে এবং আল্লাহর (দ্বীন প্রতিষ্ঠার) পথে তোমাদের জান ও মাল দিয়ে জেহাদ করবে; এটাই তোমাদের জন্যে ভালো, যদি তোমরা (কথাটা) বুঝতে পারতে, (ঠিকমতো একাজগুলো করতে পারলে) আল্লাহ তায়ালা তোমাদের গুনাহসমূহ মাফ করে দেবেন এবং (শেষ বিচারের দিন) তোমাদের তিনি প্রবেশ করাবেন এমন এক (সুরম্য) জান্নাতে, যার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত থাকবে, (সর্বোপরি) তিনি তোমাদের আরো প্রবেশ করাবেন জান্নাতের স্থায়ী নিবাসস্থলেন সুন্দর ঘরসমূহে; আর এটাই হচ্ছে সবচাইতে বড়ো সাফল্য, আরো একটি ( বড়ো ধরনের) অনুগ্রহ রয়েছে যা হবে তোমাদের একান্ত কাম্য (এবং তা হচেছ), আল্লাহর কাছ থেকে সাহায্য ও (ময়দানের) আসন্ন বিজয়; যাও, তোমরা মোমেন বান্দাদের) এ সুসংবাদ দাও। হে ঈমানদার ব্যাক্তিরা, তোমরা সবাই আল্লাহর (দ্বীনের) সাহায্যকারী হয়ে যাও, যেমনি করে মারইয়াম প্রত্র ঈসা তার সংগী সাথীদের বলেছিলো, কে আছো তোমরা আল্লাহর (দ্বীনের) পথে আমার সাহয্যকারী ? তারা বলেছিলো, হাঁ, আমরা আছি আল্লাহর (পথের) সাহায্যকারী, অতপর বনী ইসরাঈলের একটি দল (সাহয্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার ওপর) ঈমান আনলো, আরেক দল (তা সম্পূর্ণ ) অস্বীকার করলো, অতপর আমি (অস্বীকারকারী) দুশমনদের ওপর ঈমানদারদের সাহায্য করলাম, ফলে (যারা ঈমানদার ) তারাই বিজয়ী হলো। *** (আল-কোরআন, সূরা আস সাফ।

)***

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।