আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিসির আলী , হিমু না আক্কেল আলী?

ছবি-কবি সায়েম মুন মিসির আলীকে আক্কেল আলী কিছুটা ঈর্ষা করে আবার পছন্দও করে আফটার অল তারা আলী গোত্রের লোক তয় প্রজাতি আলাদা। একজন আক্কেল আরেক জন মিসির প্রজাতি। আর আক্কেল মানে হলো জ্ঞান। আক্কেল আলীকে অনেকেই ব্যক্কেল বলে। কিন্তু কেন যে তাকে ব্যাক্কেল বলে।

তার একজন শিষ্য আছে যে তারে মহাজ্ঞানী ভাবে। তার চাচাত ভাই রনি একজন বুয়েট থেকে পাশ করা বিসিএস কর্মকর্তা। রনির একটা প্রশ্নের জবাব কেউ দিবার পারে নাই। তেজগাওয়ের মধ্যে ফার্মগেট আসলো কেমনে?কত মানুষকে জিজ্ঞাসা করলো সবাই ব্যর্থ। শেষমেষ আক্কেল আলী ভাইকে প্রশ্ন করার সাথে সাথেই উত্তর মিলল।

গুলিস্তান থেকে কাওরান বাজার পার হয়ে খামার বাড়ি আছে ওটার ইংলিশ হলো ফার্ম হাউস। ফার্ম হাউসে ঢুকতে হলে অবশ্যই একটা দরজা লাগবে গেট লাগবে। তো ফার্ম হাউজের দরজা বা গেটের নাম তো ফার্মগেইটই হবে তাইনা?এইজন্য এর নাম হয়ে গেল ফার্মগেট। ফার্ম হাউজ নাম যেমন বেখাপ্যা শুনায় তেমনি খামার ফটকও। তাই শ্রুতি মধুর করার জণ্য ওইটার ইংলিশ আর এটার বাংলা।

খামার বাড়ি আর ফার্মগেইট। ফার্ম হাউজে ঢোকার জন্য যে গেট= ফার্মগেইট। এটা মধ্যপদলোপি বহুব্রীহি সমাস। কারণ এইটা ফার্ম বা গেইট কোনটাই না বুঝিয়ে তৃতীয় কিছু বুঝাচ্ছে । এইটা খুব সুস্বাদু সমাস্।

এই জবাব পাওয়ার পর থেকে আক্কেল আলীকে রনি সবজান্তা হিসেবেই বিশেষ মান্য করে। তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে হরতাল ডাকলো বিরুধী দল...এ্ই কথা কয়জনে জানে। জনস্বার্থে হরতাল। ওয়েলডান বিরুধীদল । কিন্তু হরতাল কেন?আর কোন কর্মসূচী নাই।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুতে কর্মসূচি দেয় বিরূধীদল মাননীয় বুবুজান বলেন যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য বিরুধীদল আন্দোলনে । প্রথম আলোতে ঐ অংশই হেডিং আসে। যুদ্ধ অপরাধীদের বিচারের দাবীতে সচেতন মহল যখন ফেটে পড়েছে তখন বিচারকদের স্কাইপ কেলেংকারী । এরা প্রধান মন্ত্রীর লোক। বুবুজান আর আওয়ামীলীগের শত্রু যারা তারাই যুদ্ধ অপরাধী??? বুবুজান নিজেই ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন দিবেন এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করলে সেটা যুদ্ধ অপরাধীদের বাঁচানো হয়।

বাংলাদেশের মানুষ সুখ চায়,যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় আর সুষ্ঠু নির্বাচন ও চায়। বুবুজানের চামচারা সুষ্ঠু নির্বচনও হতে দেবে না আর সুষ্ঠু বিচার করবে না। যুদ্ধপরাধীর বিচার শেষ হলে তো আর তাহাদের রাজনীতি থাকে না। অর্ক সাব ভাবে এই টার্মে বিচার না হইলে ক্ষমতায় ভাবী সাহেবান আসলে। বুবুজানেরা এই ইস্যুতে আন্দোলন করে পরের টার্মে ক্ষমতায় আসলে তখন রাজাকারদের কেউ কি জীবিত থাকবে? আর ভাবী সাহেবান বিচার করলে বুবুজানের বেয়াই যদি যুদ্ধঅপরাধীর বিচারে ফাঁসিতে ঝুলে তাহলে কেমন হবে?বুবুজানের যুদ্ধাপরাধী আর ভাবী সাহেবানের যুদ্ধাপরাধী তো আলাদা।

আক্কেল আলী যখন নীলক্ষেতের দিকে যাচ্ছে হঠাৎ করে দেখলো একটা গাড়ীতে দাও দাও করে আগুন জ্বলছে। এইটা আগামীকাল হরতালের পূর্বাভাস? কিন্তুতে গাড়ীতে জালানীতেল ঢেলে আগুন কেন?জ্বালানীতেলের দাম বাড়াতে জ্বালানীতেলের গায়ে আগুন জ্বালীয়ে জ্বালানী তেলের প্রতিশোধ নেয়া। এই ব্যাটা তোর দাম বড়লো কেন?তোরে জ্বালীয়ে মারব্ । গাড়ীতে আগুন এই জন্য যে জ্বালানীতেলের দাম বাড়লে গাড়ী ভাড়া বাড়বে তা্ই আগেই গাড়ীর গায়ে আগুন ধরিয়ে সতর্ক করে দেয়া ভাড়া বাড়লে খবর আছে। এখন একটা জ্বালাইলাম।

ভাড়া বাড়লে সব পোইড়া শেষ। মন্ত্রী এমপিদের গাড়ী পোড়ার ঘটনা অর্ক সাহেব দেখে নাই বললেই চলে । ইহা একটা রহস্য পাবলিক বাসই পোড়ত । পর্দার আড়ালে রাজনীতিবিদেরা হলো শাল-দুলভা্ই। বজ্জাতের হাড্ডি।

তোমার দেশ আর শেষ আলো সবারে ব্যাক্কেল বানাইলো। হাছা কতার বালাই নাই নির্ভেজাল অর্ধসত্য খবর পত্রিকা। দিন শেষে আক্কেল আলীর বাড়ী ফেরা পাবলিক বাসে যেহেতু আইজ হরতাল। পাশের যাত্রী অর্ক সাহেবকে জিজ্ঞাসা করে আজ কিসের জন্য হরতাল। অর্ক সাহেব উত্তর দেয় তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে।

এ্ই বার প্রশ্ন তাহলে এরা গাড়ী চালায় কেন?এই হরতালে । অর্ক সাহেবের বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর তেলের দাম বাড়লে গাড়ীওয়ালার কি?এরা গাড়ী ভাড়া বাড়িযে দিবে?তেলের দাম পাঁচ টাকা বাড়লে ভাড়া বাড়বে ১০ টাকা। তাদের লাভ। টাকা যাবে পাবলিকের। খরচ বাড়বে পাবলিকের।

এতে সরকারের কি? আর পরিবহন মলিকেরই বা কি?দেশের মানুষ শাখের কড়াত দিয়ে পেষা ছাড়া সরকার আর কিই বা করতে পারে? উত্তর দিয়ে আক্কেল সাহেব ভয় পান। এই যাত্রী কেঠা?সরকারীদল,বিরুধীদল,নাকি জামাত নাকি র এর এজেন্ট ? যেই হোক ক্ষতি হওয়ার ব্যাপক চান্স। অর্ক সাহেব বোবাডি খেলতে জানে না বা পারেনা। এইটা খুব গুরুত্বপূর্ণ খেলা যে জানে সেই হইলো ইন আর ইয়ান জীবনে তার হারন নাই খালি জীতন্। এই খেলা দম বন্ধ করে খেলা লাগে।

কথা বন্ধ। কথা বলল তো হারলো। প্রতিপক্ষ যতই কথা বের করার চেষ্টা করবে কোন কথা কউন যাইতো ন । পাশের যাত্রী বারবার জিজ্ঞাসা করছে ভাই আপনে কই যাইবেন?এই গাড়ীটাই পোড়ানো উচিৎ। এরা গাড়ী বাইর করছে কেন?এইটা একটা জালেম সরকার।

আক্কেল আলী হপ। মুখ বন্ধ। মুখ খোললেই হা গলে বিবদ ঢুকে যাবে। বোবাডি খেলা জমেছে বেশ। এখন আক্কেল আলী ইন আর ইয়ান।

অপরাজেয়। হা হা হা। কে বেশি বুদ্ধিমান মিসির আলী ন হিমু ন আক্কেল আলী?  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।