আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিজেপির দৃষ্টি লোকসভার দিকে

ভারতে আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন হতে যাচ্ছে। তার আগে দিল্লিসহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচনের ফলাফল লোকসভা নির্বাচনের ফলের পূর্বাভাস বলে ভাবা হচ্ছিল। ইতিমধ্যে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। জাতীয় নির্বাচনে এই ফলাফলের প্রতিফলন দেখা গেলে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও হারছে এই দল। সে ক্ষেত্রে দিল্লির মসনদে বসছে বর্তমান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।

স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির দৃষ্টি এখন লোকসভা নির্বাচনের দিকে।
কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা (ইউপিএ) টানা দুই মেয়াদে ভারতের শাসন ক্ষমতায় রয়েছে। এ সময় সরকারের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ভালোই বিপাকে পড়ে কংগ্রেস। এর মধ্যে রয়েছে কমনওয়েলথ গেমস, থ্রিজির লাইসেন্স বরাদ্দ ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে কয়লার খনি বরাদ্দে দুর্নীতি। এর সঙ্গে ছিল সুশাসনের অভাব।

এসব বিষয় ভালোভাবে সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস। বিধানসভা নির্বাচনে হয়তো তারই ফল পেয়েছে দলটি।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে মাত্র নয় মাস আগে আম আদমি পার্টি (এএপি) নামের দল গঠন করেন অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই দলই দিল্লি বিধানসভার ৭০ আসনের মধ্যে ২৮টিতে জয়ী হয়। আর কেজরিওয়াল ২২ হাজার ভোটে হারিয়ে দেন কংগ্রেসদলীয় নেত্রী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে।

এখানে কংগ্রেস মাত্র আটটি আসন পেয়েছে। বিজেপি পেয়েছে ৩১টি আসন। অন্য চারটি বিধানসভার মধ্যে শুধু মিজোরামে জিতেছে কংগ্রেস। হেরেছে রাজস্থান, ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের উত্থানকে কংগ্রেস ও বিজেপির প্রতি একটি বার্তা বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।

কেজরিওয়াল নিজেও তেমনটাই মনে করেন। জয়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, কংগ্রেস ও বিজেপি নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন না আনলে জনগণ বিকল্প ভাববে। যারা দুর্নীতি নির্মূল করা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবে জনগণ তাদেরই ভোট দেবে।
বিজেপির আগামী নির্বাচনে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ও বিতর্কিত নেতা নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়েছিল। তাঁকে মানতে পারছিলেন না এল কে আদভানিসহ দলের জ্যেষ্ঠ অনেক নেতা।

অবশ্য শেষ পর্যন্ত মোদি-আদভানিকে এক মঞ্চে তুলে দলীয় বিভেদ মুছে ফেলার দাবি করে বিজেপি।
২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মোদির ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক ওঠায় প্রগতিশীল অংশও বিজেপির এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে।
তবে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে চারটিতেই জয়ে উজ্জীবিত বিজেপির দলীয় বিভেদে এখন ঐক্যের সুবাতাস বইতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তাই এখন বিজেপির লক্ষ্য হবে ২০১৪ সাল; লোকসভা নির্বাচন। দ্য হিন্দু।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.