আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আয়রে পিশাচ, জড়ে আয়

বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি। । পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি। ।

চোখ তো মাত্র দুইটা, সেখান থেকে ঘুম উবে যেতে বেশি সময় লাগেনি।

অনেক. অনেক বেশি সময় লেগেছিল আত্মাদের উড়ে যেতে। চায়নি, জোর করে টেনে টেনে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছিল। একটা কোষও বাকী রাখেনি- যেখানে কোন ফাঁকফোঁকড়ে আল্লা আল্লা করে লুকিয়ে থাকা যায়। থেঁতলানো শরীর থেকেও বেরিয়েছিল আত্মা। ইনট্যাক্ট।

চকমকে। আত্মাদের বসার কোন জায়গা নাই। দাঁড়িয়েই ছিল। যুগ-যুগান্তর। কচি, ছোট্ট আত্মা বেরিয়েই সে কী ভয়! আত্মারা তারস্বরে চিৎকার করে, পিশাচ, পিশাচ, ডাকপাড়ি! বিয়াল্লিশ বছরের অভুক্ত পিশাচ- কাগজের পিছে লুকায়।

আরবি কাগজ, ইংলিশ কাগজ, উর্দু কাগজ, বাংলা কাগজ। আত্মাদের দীর্ঘশ্বাসে কাগজেরা হলদে হয়ে যায়। তামাটে হয়ে যায়। পাপী, ভঙ্গুর, ন্যাতন্যাতে হয়ে যায়। বিয়াল্লিশ বছরের সেক্স-স্টার্ভড পিশাচ শরীর খোঁজে- আশ্রয় খোঁজে।

কিন্তু পিশাচের জন্য অবশিষ্ট কোন লাশ নাই। লাশেরা গলে গেছে। লাশেদের আত্মা তবু চিৎকার করে, পিশাচ, পিশাচ, ডাকপাড়ি। পিশাচ যেতে চায় না। পিশাচ যাবে না।

পিশাচ মাংস খাবে। পিশাচ যাবে না। মাংস খাবে। আরো এত্তোগুলো মাংস খাবে। এবার পোড়া পোড়া মাংসেরাই ডাকপাড়ে, পিশাচ, পিশাচ, ডাকপাড়ি।

পিশাচ তারের ভিতরে লুকায়। তারপোড়া গন্ধছোটে দিগ্বিদিকে। পিশাচ হাইকমোডের পিছে লুকায়। কমোডে থরের হাতুড়ির বাড়ি পড়ে। হেইয়া হো! হেইয়া হো! পিশাচ কথার আড়ে থুতু ছিটায়।

আঙুলে ফুটিয়ে তোলে যোনীর চিহ্ন। চিহ্নের ফাঁকা দিয়েও চেয়ে দেখে, আত্মারা ঘুরপাক খায় আজরাইল হয়ে- পিশাচ, পিশাচ, ডাকপাড়ি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।