আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুহিতের প্রশংসায় ডিএসই

দরপতনের সময় তা ঠেকাতে অর্থমন্ত্রীর বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে ডিএসইর একজন জ্যেষ্ঠ পরিচালক বলেছেন, তার কাজ ‘স্বর্ণাক্ষরে’ লেখা থাকবে।
ডিএসই সভাপতি, সহ-সভাপতি, পরিচালক ও কর্মকর্তাসহ ১২ জনের একটি প্রতিনিধিদল বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ডিএসই সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, “আগের সরকারের সময় এ বাজার থেকে ৩-৪ হাজার কোটি টাকার পুঁজি সংগ্রহ করা হয়েছিল। আপনার সময় সেটা ১০ হাজার কোটি টাকা হয়েছে। আগামী দিনে এ বাজার আরো কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।


পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতা ও ছাড়ের জন্য সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করে ডিএসইর সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক আহমেদ রশীদ লালী অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, “আপনি যে সাপোর্ট ও ছাড় দিয়েছেন তা আমরা সবসময়ই বলি। … ডিমিউচুয়ালাইজেশন, পুঁজিবাজারের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং আইপিওর বিষয়ে আপনাদের কাজ স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ”
বর্তমান সরকার দ্বায়িত্ব নেওয়ার ২ বছরের মধ্যে ডিএসই সাধারণ সূচক আড়াই হাজার পয়েন্ট থেকে প্রায় ১০ হাজার পয়েন্টে পৌঁছায়। এরপর ২০১০ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় পতন।


পতন ঠেকাতে শুরুতে অর্থমন্ত্রী নানা ধরনের ভূমিকা নেন। বাজার বন্ধ রেখে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। পুঁজিবাজারের ধসের কারণ খুঁজতে তদন্ত কমিটি গঠন এবং স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচুয়ালাইজেশন থেকে শুরু করে নানা ধরনের আইন-কানুনের সংস্কার-সংযোজন করা হয়।
বাজারকে টেনে তুলতে ক্ষুদ্র, প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রণোদনাসহ নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়।
পতনের মধ্যেই ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা রাজপথে বিক্ষোভে নামলে তাদেরকে ‘ফাকটাবাজ’ বলে রোষানলে পড়েন অর্থসন্ত্রী মুহিত।

সে সময় ডিএসইর সামনে অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে শ্লোগানও দেয় বিনিয়োগকারীরা।
তবে ওই সময় সরকারের নেয়া নানা ধরনের পদক্ষেপের কারণে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরছে বলে ডিএসই নেতা ও সরকারের কর্মকর্তারা মনে করছেন।
লালী বলেন, “পুঁজিবাজারকে আপনারা সাজিয়ে দিয়েছেন। এটা একটা অবস্থায় এসে গেছে, এখন সামনের দিকে ধাবিত হবে। ”
ডিএসই সভাপতি ও পরিচালকের বক্তব্যের পর অর্থমন্ত্রী সংক্ষেপে তার বক্তব্য দেন।

তবে বাজার নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
“আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। ডিমিউচুয়ালাইজেশনের আগে অনেক দেশের স্টক এক্সচেঞ্জে সংঘাতমূলক পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল। কিন্তু আপনারা যেভাবে ডিমিউচুয়ালাইজেশন করেছেন তা ধন্যবাদ পাওয়ারই যোগ্য। ”
মুহিত বলেন, বাজারের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কোনো কোনো আইনের বত্যয় ঘটেছে।

এর লক্ষ্য ছিল বাজারকে ‘মেজর সোর্স অব ইনভেস্টমেন্ট’ হিসেবে দাঁড় করানো।
“কিছু কিছু সুযোগ সুবিধা হয়তো বেশি দিয়েছিলাম। এ সময় বাজার অতিমূল্যায়িত হয়ে পড়েছিল। যথাসময়ে রাশ টেনে ধরা সম্ভব হয়নি। এজন্য সবাই দায়ী।


বৈঠকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসলামুল হক বলেন, “আমরা টারময়েল দেখেছি। আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করা। সেটা সম্ভব হয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য পুঁজিবাজারকে প্রবৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়া। ”
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে পুঁজিবাজারের উন্নতির জন্য কর সংক্রান্ত কয়েকটি সুবিধা চান ডিএসই সভাপতি।


এর মধ্যে ডিমিউচুয়ালাইজেশনের প্রক্রিয়া পুরো সম্পন্ন হওয়ার পর স্টক এক্সচেঞ্জকে কর রেয়াত দেয়া, সদস্যদের শেয়ার হস্তান্তরের সময় স্ট্যাম্প ডিউটি থেকে অব্যাহতি দেয়া এবং স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার অফলোডের সময় কর অব্যাহতি দেয়ার দাবিও রয়েছে।
এসব কর অব্যাহতির বিষয় বিবেচনা করা হবে বলে অর্থমন্ত্রী তাদের আশ্বস্ত করেন।
ফাইল ছবি ডিএসই সভাপতি আহসানুল ইসলাম বলেন, “বর্তমানে আমাদের বাজার কেবল ইক্যুইটিনির্ভর। এ কারণে সমস্ত স্পেকুলেশন ইক্যুইটির ওপর পড়ে। তাই এখানে বন্ডকে জনপ্রিয় করা এবং ডেরিভেটিভস চালু করার ব্যবস্থা করতে হবে।


ফাইল ছবি
এছাড়া ২০১০ সাল থেকে বন্ধ থাকা ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে ‘সীমিত’ আকারে শাখা খোলার অনুমতি দেয়া এবং ব্যাংকের প্রভিশনিংয়ের বিষয়ে অর্থমন্ত্রীকে বিবেচনা করার সুপারিশ জানান আহসানুল ইসলাম।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.