আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে উপদেশ দিচ্ছি

সসকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

আজ যারা স্কৃপ্ট লিখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছো।

বা নিজেকে একজন ভালো মানের মিডিয়া কর্মী মনে করছো। বা প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পথে। তুমি একটি স্কৃপ্ট লিখতে এতো এতো ভাবছো যে আসল গল্পই হারিয়ে যাচ্ছে। গল্পের জন্ম হয় কোথায় জানো বন্ধু? নিজের মনের পরম সত্য থেকে। তোমাকে তুমি যদি গুরুত্ব না দেও তাহলে অন্যের কাছ থেকে তোমার গুরুত্ব অনুধাবনের আশা করো কিভাবে? শুধু মাত্র এসি রুমে বসে নিজেকে একজন চাকুরিজিবি ভেবে সময় পাড় করাকে মিডিয়া কর্মি বলছো? এই অল্পসময়ে আমি তোমাদের যে পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি, তাতে তুমি অবাক হয়ে যাচ্ছো? মনে রাখবা একজন ভালোমানের মিডিয়াকর্মীকে কখনও চাকুরী নামের অফিস ও টাকা দিয়ে বেধে রাখা যায় না।

বাংলাদেশী মেধা বিশ্বের সেরা মেধা। বাংলাদেশ বিশ্বের সেরা দেশ। আর সেই হিরের দেশে বসে তুমি মোমের পুতুল হয়ে যাচ্ছো? মিডিয়ার মালিকঃ তোমরা ব্যবসায়ী। ব্যবসা করা ভালো। ব্যবসার নাম করে বিক্রি হওয়া ভালো না।

তোমরা সবসময় তোমার কর্মীদের স্বাধীনতার শুনিয়ে যাও। তাহলে ওরা অনেক বেশী উৎসাহ পাবে। নিজে স্বাধীনচেতা না হলে কর্মিদের উজ্জিবিত করা যায় না। বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে বিক্রি না হয়ে তোমার কর্মীদের তাদের মতো করে কাজ করে দাও দেখবে। তোমার বিজ্ঞাপন তুমি নিজেই হবে।

তোমার কর্মীদের বেতন ভাতা বাড়িয়ে দাও। মনে রাখবা মিডিয়া একটি সেবার নাম। দূর্ণীতিবাজদের সাথে নিয়ে দূর্ণীতি করো না। তুমি যদি কোনো কিছুতে দোষি হও তাহলে সেই দোষ জাতীর সামনে তোমার মিডিয়ায় প্রচার করো। দূর্ণীর কাছে আর নিজের সম্ভাবনাকে বিক্রি করো না।

নির্বহী কর্মকর্তাঃ মিডিয়ার ভিতরে বি.এন.পি, আওয়ামিলীগ বা জামাত কে কোনো শ্রেণী ভেবে গুরুত্ব না দিয়ে সবাইকে বাঙালী ভেবে সমান গুরুত্ব দাও। তোমার ব্যাক্তিগত রুচি জোড় করে তোমার অধিনস্থদের ভিতরে প্রবেশ করিও না। তোমার যে গবেট বন্ধু তাকে বার বার না দেখিয়ে ব্রেন খাটিয়ে সত্যিকারের বাঙালীকে মিডিয়ায় নিয়ে আসো। সবার আগে তোমাকে জানতে হবে বাংঙালী কাকে বলে? সত্য কাকে বলে? অনেক নিয়ম ভাঙ্গার পর যে নিয়ম আসে সেটাই যে আসল ণীতিবোধ। ক্রিপ্টরাইটারঃ তুমি যদি ভালো মানের গল্প তৈরি করতে পারো তাহলেই ভালো স্কৃপ্ট তৈরি করতে পারবে।

এই আত্নবিশ্বাস নিয়ে তোমাকে এগোতে হবে। তুমি যে কাহিনীর আশায় নিজের মেধাকে নিয়মিত ঘষামাজা করছো। ঐ মেধার মাঝে লুকিয়ে আছে এক সত্যিকারের গল্প। আর তা হলো এই জায়গায় প্রতিষ্ঠা পেতে তুমি যা যা করেছো। তুমি যাদের কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছো তাদের নিয়েই শুধু স্কৃট তৈরী করে গেলে? তোমার জীবনের যে ঘটনা তাকে তুলে ধর।

তোমার সেই স্কুলে ঝরে পড়া বন্ধুটিকে তুচ্ছ না করে তার কাছে ফিরে যাও। দেখবে এই সব সুন্দর সুন্দর পোষাকধারীদের থেকে তোমার বন্ধু আরও নতুন গল্প উপহার দিতে পারবে। আরে ক্রিপ্টের জন্য তুমি যে হাউস, শিফট, ইনডোর, আউটডোর, আর্টিস্ট বিবেচনা করতে গিয়ে ভালো কিছু দেখাতে পারছো না। কিছু না পারলে অন্তত তুমি নিজে অভিনয় করে তোমার জীবনের ঘটে যাওয়া কঠিন বাস্তবতা মানুষের সামনে তুলে নিয়ে আসো। দেখবে তার মধ্যে সবসময়কার নতুন কিছু থাকে।

নতুন নতুন আইডিয়ার নামে তোমরা তোমাদের জীবনের অনেক মুল্যবান সময় নষ্ট করেছো সেই সাথে যে আইডিয়াও তো নষ্ট হয়ে গেছে। অন্যের কথায় নয় নিজেকে একজন প্রকৃত বাঙালী ভেবে স্কৃপ্ট লেখো দেখবে কতো সুন্দর সেই কাহিনী। ভিডিও এডিটরঃ আমি কোনো নাটক, মুভি দেখলে তার কাহিনী তেমন খেয়াল থাকে না। কারণ একজন সত্যিকারের ভিডিও এডিটর কখনও কাহিনী দেখতে জানে না। সে যে চোখ দিয়ে দেখে তা হলো মেইন শর্ট, ব্লুস্কৃন, ট্রানজিশন, ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড, ইত্যাদি ইত্যাদি।

যে শর্টটি তুমি ফেলে দিচ্ছো মনে রাখবে ঐ শর্টটিও একদিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। কাজকে অবহেলা করলে সামনে এগোবে কিকরে। নতুনদের যতো মন দিয়ে শিখাবে তোমার লোড ততো কমবে। আজ প্রতিজ্ঞা করো একজন ক্যামেরাম্যানকে তুমি ভিডিও এডিটিং শিখাবে। দেখো একই সাথে ক্যামেরা চালানো আর ভিডিও এডিটিং জানলে কাজ করতে সময়ও কম লাগে।

উপস্থাপনও ভালো হয়। প্রচুর বিদেশী মুভি দেখবে। যতো বেশী বিদেশী অনুষ্ঠান দেখবে ততো নিজে নতুন কৌশলের জন্ম দিতে পারবে। প্রকৃতিকে গুরুত্ব দাও। অন্যকে নকল করলে নিজের মেধা লোপ পায়।

ক্যামেরা ম্যানঃ তুমি সারা জীবন যাদের ক্যামেরার সামনে ফুটিয়ে তুলেছো তারা কারা? যারা তোমাকে নিয়মিতো অর্ডার করে যাচ্ছে? তোমরা সাধারণ মধ্যবিত্ত্ব ঘরের ছেলেপান। ওদের থেকে নিজেকে আলাদা ভাবো কেনো। তুমি আজ নিজে ক্যামেরার সামনে চলে আসো। তুমি ক্যামেরা চালাতে চালাতে ভুলে গেছো তোমার মতো একজন বাঙালীই এই বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছো। তুমি নিজেই নায়ক হবার যোগ্য।

তুমি ওদের থেকে ভালো অভিনয় জানো। তোমরা জাতির চোখ। তোমরা যা দেখবে অন্যরা তা দেখবে না। নিউজঃ সায়মন ডিং কে আমিও ব্যাক্তিগত ভাবে পছন্দ করি। তিনি সর্বপ্রথম একুশে টিভির মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি রিপোটিং এর নতুন বলয় সৃষ্টি করে গেছেন।

তিনি না থাকলে সুপন রায়, মুন্নী সাহা, জ-ই-মামুন প্রমুখকে পেতাম না। হাসিম রেজাও বেশ দক্ষএকজন। মুন্নী তুমি তো আজ স্টার। অনেক টাকা পয়সা তোমার। কিন্তু যে মুন্নী সাহা প্রথম মিডিয়ায় তার নিজের মুখ দেখতে পেয়েছিলো সে কোথায়? স্টাইল পরিবর্তন করো।

পরিবর্তনের নামে উপহাস করো না। সাধারণ মানুষ বোঝে। তোমরা যেখান থেকে উঠে এসেছো সেখানের খবর বেশী প্রচার করো। যে সুপন রায় রামপুরায় আমার চাচতো মামা সরদার শামসুল ইসলামের মায়ের হাতে খাবার খেতে যেতো সেই সুপনকে দেখো? ও যে আজও বিশ্বজিতের মতো কোপ খেয়ে মারা যাচ্ছে। কিন্তু যে বিশ্বজিতদের মানুষের সামনে তুলে ধরতে লজ্জাবোধ করো বা টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যাও সেই বিশ্বজিতকে মানুষের কাছে তুলে নিয়ে এসো।

ঐ সব লিমনদের বার বার সময় দিয়ে তোমরা যে আরও অনেক নিরিহ লিমন কে মেরে ফেলছো। সেই সাথে আমার দেশের সোনার ছেলে RAB কে বিশ্বদরবারে অপমান করছো। “শোনো সত্য প্রকাশে আপোষহীন” তকমা লাগিযে সত্যকে প্রকাশ করতে হয় না। সত্য প্রকাশ করতে হয় নিজের যোগ্যতা দিয়ে। নিজেকে মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে।

আজ চীপ এডিটর হয়ে তুমি তোমার পিছনে ফেলে আসা সময়কে ভুলে গেলে। আজ সময় এসেছে নিজেকে নিয়ে রিপোর্ট করার। যে মিথ্যে মানুষগুলোর জন্য এতো বৃথা পরিশ্রম যখন করতে পারলে আজ বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য কর। দেখবে সাধারণ মানুষ তোমাকে হয়তো অনেক টাকা পয়সা দিতে পারবে না। কিন্তু বাংলাদেশের প্রজন্মের পর প্রজন্ম তোমাকে সম্মান করবে।

আমার ছোটবেলার একটি কথা মনে পড়ছে। এরশাদ সাহেবের মা মারা গেছে। বিটিভির খবরে দেখানো হলো। মদুদ আহমেদ এর সে কি কান্না। আজ দেখো সেই তোষামোদকারী মদুদকে মিডিয়াকর্মীরা ঠিকই চিহ্নিত করতে পেরেছে।

তোমাদের বাংলাদেশী চেতনা কাজে লাগাতে পারলে বিশ্ব মিডিয়া তোমাদের সত্যের কাছে থর থর করে কাঁদবে। তোমাদের একটি অনুষ্ঠানে আমি দেখেছি দেবাশীষ বিশ্বাস কে বানিয়েছো মির ভাই? বরং দেবাশীষ বিশ্বাস যে পথের প্যাচালী করতো সেটাই ভালো ছিলো। আরে বাংলাদেশে মীর ভাইয়ের চেয়েও বড় বড় মেধা আছে তাকে তুলে নিয়ে আসার দায়িত্ব তোমার। একজন মীর মুনসুর আলী (মিরাক্কেল এর এংকর) যদি একলা একটি অনুষ্ঠানকে জনপ্রিয় করতে পারে তোমরা এতগুলো মানুষ কিসের জন্য আছো? কে তোমাদের উপদেশ দিচ্ছে সেটা বড় কথা নয়। কি বুঝাতে চাইছে তা বোঝার চেষ্টা করো।

আগে নিজে ঠিক হও দেখবে আমার বাংলাদেশ ঠিক হয়ে গেছে। যে ক্যামেরা ম্যানরা জীবনের ঝুকি নিয়ে স্যুট করে আর তার বাবা মা গ্রামে বসে সন্তানের টাকার আশায় ও কবে সন্তান বাড়ী আসবে এই সংঙ্কায় থাকে, সেই ক্যামেরা ম্যানকে তোমরা দয়া করে বকা দিও না। ও যে সত্যকে তুলে নিয়ে এসে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়। বিঃদ্রঃ অন্য কোনো সময়ে সেট সাজানো ও মেকাপ নিয়ে কথা বলব।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.