আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বহুমাত্রিক সংকট- উত্তরণের পথ

এক. বাংলাদেশে এখন যে রাজনৈতিক সংকট চলছে, তা স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের সবচেয়ে গভীর ও ভয়াবহ। এই সংকট বহুমাত্রিক। জামায়াতের সন্ত্রাস ও সেই সঙ্গে বিএনপি রাজনীতির দেউলিয়াত্ব আর ঠিক তার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী তামাশা ও গণতন্ত্রকে বিসর্জন দেওয়া_ দুটো দিক একই সঙ্গে বর্তমান রয়েছে, যা সংকটকে গভীরতর করেছে এবং বহুমাত্রিক চরিত্র দান করেছে। এর সঙ্গে বিদেশি শক্তিসমূহের প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে জড়িয়ে পড়া এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ সংকটকে আরও জটিল করে তুলেছে। অনেক সময় মনে হয় আমাদের বড় বড় নেতানেত্রী, রাজনীতিবিদ ও দলগুলো যেন অন্য কারও হয়ে প্রঙ্ িলড়াই করছে।

আসল ভাগ্যবিধাতারা দূরে বসে অবলোকন করছেন, কখনোবা একটু একটু মুচকি হাসি হাসছেন। আমাদের সার্বভৌমত্ব কোথায় তা ভাবতেও নিজের প্রতি ধিক্কার জাগে।

দুই. জামায়াতের সঙ্গে পাকিস্তানের শাসকশ্রেণীর এখনো যে সম্পর্ক রয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া গেল কাদের মোল্লার ফাঁসির পর। আরও বোঝা গেল পাকিস্তানের বর্বর চরিত্রের সামান্যতম পরিবর্তন হয়নি। ১৯৭১ সালের পরাজয়ের শিক্ষার পরও।

নিজ দেশে তালেবানদের দৌরাত্দ্য ও মার্কিন ড্রোনের নৈমিত্তিক আঘাতের পরও দেশটির কোনো বোধোদয় হলো না। নিশ্চয় সেই দেশে গণতান্ত্রিক ও শুভবুদ্ধির মানুষ এখনো আছেন। কিন্তু সংখ্যায় তারা খুবই কম।

পাকিস্তানের কথা আপাতত থাক। জামায়াত নিয়েও অত বেশি আলোচনার দরকার নেই।

কারণ দলটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন ছাড়া আর কিছুই নয়। যে দল হানাদার বাহিনীর সহযোগী হয়ে খুন-ধর্ষণের কাজে মেতে উঠতে পারে তাদের তো রাজনীতি করার অধিকারই থাকার কথা ছিল না। জিয়াউর রহমান সবচেয়ে বড় অপরাধ যেটা করেছিলেন তা হলো জামায়াতকে এবং যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতির সুযোগ করে দেওয়া। এর পর শেখ হাসিনাই জামায়াতকে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা দিয়েছিলেন ১৯৯৬ সালে, যখন তিনি 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার'-এর দাবিতে জামায়াতকে সহযোগী করে আন্দোলনে নেমেছিলেন। সে কারণে শেখ হাসিনার প্রথম প্রধানমন্ত্রিত্বের আমলে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের বিষয়টি স্থগিত ছিল।

তারপর খালেদা জিয়া আরেক ধাপ এগিয়ে গিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী খুনিদের উপহার দিলেন বাংলাদেশের পতাকা। একসঙ্গে নির্বাচন ও মন্ত্রিসভা গঠন। সেই অশুভ মৈত্রী এখনো বলবৎ রয়েছে।

এখন অবরোধের নামে যে ধরনের জঘন্য নৃশংসতা চলছে, তার নব্বই ভাগ করছে জামায়াত। কিন্তু তার দায়ভার তো নিতে হবে বিএনপিকে।

বিএনপি নেত্রী তো একবারও দলীয় কর্মীদের প্রতি জোরালো নির্দেশ দেননি মানুষ পোড়ানোর মতো সহিংস কাজ থেকে বিরত থাকতে। নৃশংস কর্মকাণ্ডকে তিনি তো নিন্দাও জানাননি।

গত ১৫ ডিসেম্বর 'বাংলাদেশ প্রতিদিন'-এর প্রথম পাতায় সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান মন্তব্য প্রতিবেদনে লিখেছেন (শিরোনাম_ 'বিএনপিকে জামায়াত ছেড়ে আসতেই হবে'), 'বিএনপিকে মানুষ একটি মধ্যপন্থি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বার বার ক্ষমতায় অভিষিক্ত করেছে। পছন্দ করেছে। (এখন) নিজের অজান্তেই বিএনপি এক অন্ধকার সময়ের মধ্যে ডুবে যাচ্ছে।

... একটি মধ্যপন্থি উদার গণতান্ত্রিক দলের চরিত্র নিয়ে বিএনপিকে নিজস্ব ভাবমূর্তি নিয়ে গণমানুষের আস্থার ওপর দাঁড়ানোর বিকল্প নেই। ... সন্ত্রাসবাদী জামায়াত-শিবিরের সঙ্গ এ মুহূর্তে ছাড়তেই হবে। ছেড়ে দিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার ও খোলাসা করতে হবে। ... বিএনপি নেতৃত্বকে ভাবতেই হবে জনগণের ওপর নির্ভর করবেন, নাকি জামায়াত-শিবিরের ওপর নির্ভর করেই অন্ধকার পথে হাঁটবেন। ' বস্তুত বিএনপিও একদা মুক্তিযোদ্ধাদের দল বলে দাবি করত।

কারণ দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডার। (তারা মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক বলেও দাবি করেন)। অন্যান্য দিক দিয়ে দলটি ছিল মধ্যপন্থি ধনিক শ্রেণীর দল। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে আপসহীন ভূমিকা রেখে দলের নেত্রী খালেদা জিয়া একদা 'আপসহীন নেত্রী' খেতাব পেয়েছিলেন। কিন্তু এখন বিএনপি পাকিস্তান আমলের মুসলিম লীগের মতো দলের স্তরে অধঃপতিত হয়েছে।

বর্তমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের জন্য সিপিবি অনেক আগে থেকেই দুটি কথা বলে এসেছে। এক. বিএনপিকে ছাড়তে হবে জামায়াত, যে কথা এখন পীর হাবিবুর রহমানও বলছেন। দুই. তত্ত্বাবধায়ক প্রশ্নে আওয়ামী লীগকে ছাড় দিতে হবে। এ দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের কেউই এসব শর্ত পূরণ করেনি। বিএনপি জামায়াতকে ছাড়েনি।

আওয়ামী লীগও অনৈতিকভাবে ক্ষমতা অাঁকড়ে থাকার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির প্রশ্নে কোনো ছাড় দিতে রাজি নয়। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। সংকট প্রায় সমাধানহীন ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে।

তিন. বিএনপি নেতারা বলছেন, সহিংসতা করছে সরকার। অথবা তারা যেভাবে বিএনপিকে গণতান্ত্রিক পথ থেকে সরিয়ে দিচ্ছে তাতে বিএনপির জন্য এ ছাড়া আর উপায়ইবা কী আছে? একান্তে অগোচরে যেটা বলেন তা হলো, জামায়াতের স্ট্রাইকিং পাওয়ার অর্থাৎ আঘাত করার ক্ষমতা আছে।

আওয়ামী লীগের মতো ফ্যাসিস্ট শক্তিকে শায়েস্তা করার জন্য জামায়াতকে দরকার আছে।

আওয়ামী লীগ যে নিজেও সন্ত্রাসী পথ নেয়, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। যখন খবরের কাগজে ছাপা ছবিতে অথবা টিভির পর্দায় দেখি, আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের খুনি ক্যাডাররা পুলিশের পাশে দাঁড়িয়ে গুলি ছুড়ছে, তখন তো আর সন্ত্রাস সৃষ্টির জন্য আওয়ামী লীগ ও সরকারকেও দায়ী করতে হয়। উপরন্তু আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিকে শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ করতেই দেয় না। নেতা-কর্মীদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে।

এ অবস্থায় গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকতে পারে না। এর জন্য দায়ী সরকারই। বস্তুত সংকট সৃষ্টি করেছে সরকার নিজেই।

কিন্তু তা সত্ত্বেও বিএনপির জামায়াতপ্রীতি বা জামায়াত সঙ্গ এবং হেফাজতের মতো মধ্যযুগীয় চিন্তাযুক্ত বর্বর সংগঠনের প্রতি সমর্থন, চরম প্রতিক্রিয়াশীলের মতো অযথা আস্তিক-নাস্তিক প্রশ্ন তুলে অথবা যুদ্ধাপরাধীদের রাজবন্দী বলে দাবি করে তাদের মুক্তি দাবি করা_ কোনোটাই সমর্থনযোগ্য নয়। সরকার চেয়েছে, যাতে বিএনপি শান্তিপূর্ণ সভা না করতে পারে এবং নির্বাচনেও না যেতে পারে।

আমি সরকারের এ আচরণের তীব্র নিন্দা করি। কিন্তু বিএনপির প্রতি বিন্দুমাত্র সহানুভূতি দেখতে পারছি না। কারণ তারা জামায়াতের সহযোগী এবং কার্যত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধিতা করছে। একটি আধুনিক দল হয়েও তারা ধর্মান্ধ, ধর্ম ব্যবসায়ী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে প্রায় একাকার হয়ে গেছে।

চার. সংকট সমাধানকল্পে দ্বিতীয় পয়েন্টটি হলো, আওয়ামী লীগকে ছাড় দিতে হবে তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুর প্রশ্নে।

আওয়ামী লীগ সবসময় সংবিধানের দোহাই দেয়। বলে, সংবিধানের বাইরে তারা এক চুলও নড়বেন না। আমরাও সংবিধানের বাইরে যেতে আবদার করব না। কিন্তু যে সংবিধান তারাই সংশোধন করেছেন (১৫তম সংশোধনী) সেটা আরেকবার সংশোধনী করলেই তো মিটে গেল। যে তত্ত্বাবধায়ক সংবিধানের জন্য তারাই একদা আন্দোলন করেছিলেন, সেটা তারা কেন বাতিল করলেন? তারা এবার হাইকোর্টের দোহাই দেবেন।

কিন্তু হাইকোর্টের রায়ে যে আগামী দুটি জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়ার জন্য আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করা হয়েছিল, সেটা তারা বেমালুম ভুলে বসে আছেন। মনে করিয়ে দিলে তারা উত্তরে বলেন, হাইকোর্টের রায়ে একটি শর্ত জুড়ে দেওয়া ছিল এইভাবে- 'যদি পার্লামেন্ট মনে করে'। এটাকে অজুহাত করাও এক ধরনের চালাকি ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ এটা স্বতঃসিদ্ধ যে, কোনো ধরনের আইন বা সংবিধানের সংশোধনী পার্লামেন্ট কর্তৃক পাস হতে হবে। পার্লামেন্টে তো সরকারি দলের প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে।

উপরন্তু নেত্রীর ইচ্ছা থাকলে তাই-ই হবে পার্টির সিদ্ধান্ত। আর সেই সিদ্ধান্ত অমান্য করার ও বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার আইনগত অধিকারই নেই দলীয় সংসদ সদস্যদের।

আসলে এসবই হচ্ছে বাজে অজুহাত। আসল কথা হলো, বুদ্ধিমতী প্রধানমন্ত্রী আগেই টের পেয়েছিলেন যে, দলের জনপ্রিয়তা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। অতএব, তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকলে পরাজয় নিশ্চিত।

এটা বুঝেই তিনি আগেই বিধানটি তুলে দিয়েছিলেন।

কিন্তু নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে তা গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। এমনটি হতে পারে অনুমান করেই সিপিবি-বাসদও নির্বাচনে যায়নি। এই নির্বাচনকে তারা পাতানো নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। কথাটা যে কত সত্য তা এখন আরও পরিষ্কার হয়ে গেছে।

নির্বাচন সমাপ্ত হওয়ার আগেই অর্ধেকের বেশি আসনে সরকারি দল ও জোট বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৪টি আসনে নির্বাচনই হয়নি।

অথর্ব ও অনুগত নির্বাচন কমিশন এ ক্ষেত্রে বেশ সাহায্য করেছে বলে জানা গেছে। নির্ধারিত সময়ের পরে কারও মনোনয়ন প্রত্যাহারের সুযোগ দেওয়া অথবা উপরতলার কারও ইচ্ছায় কারও মনোনয়নপত্র বাতিলের যে অভিযোগ জমা হয়েছে তার পরিমাণ কম নয়।

আর এরশাদের দল নিয়ে যে খেলা দেখলাম তাও নজিরবিহীন।

সব মিলিয়ে এই নির্বাচন যেটা হতে যাচ্ছে তা একটি ঐতিহাসিক তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।

প্রধানমন্ত্রী অবশ্য একটা মজার যুক্তি দিয়েছেন। বলেছেন, যেহেতু আমরা আপসে ভাগাভাগি করে নিয়েছি, তাই এতগুলো আসনে একজনের বেশি প্রার্থী ছিল না। তিনি আরও বলেছেন, বিএনপি এলে তাকেও ভাগ দেওয়া যেত। এ যেন টেন্ডার ভাগাভাগির মতো।

অবশ্য বিএনপির ভাগে কত পড়ত সেটা তিনি বলেননি। ১৯৯১ সাল থেকে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ পালা করে ক্ষমতায় আসে। সেই হিসেবে এবার বিএনপির পালা। শেখ হাসিনা কি বিএনপিকে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন ছেড়ে দেবেন?

মোট কথা, গোটা নির্বাচনের বিষয়টিকে একটি হাস্যকর বিষয়ে পরিণত করা হয়েছে। কিন্তু আমরা হাসতে পারছি না।

যেখানে আগুনে পুড়ে সাধারণ মানুষ মরছে, যেখানে পাকিস্তানি প্রেতাত্দাদের নৃশংসতা বিভীষিকা সৃষ্টি করছে এবং যেখানে দুটি বড় দল মিলে গণতন্ত্রের সর্বনাশ করেছে এবং যেখানে অর্থনীতি বিপর্যস্ত, গরিব শ্রমজীবী মানুষের দুর্দশায় অন্ত নেই, সেখানে আমরা শাসক দলের ক্যারিকেচাল দেখে হাসতে পারি না।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুটি বড় দলের প্রতি জনগণ অনেক ভরসা করেছিল। পালাক্রমে তাদেরই ক্ষমতায় পাঠিয়েছিল। কিন্তু দুই দলই জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে এসেছে। দুই দলই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গেও বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।

বিএনপি জামায়াতকে সঙ্গী করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে। আর আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অন্যতম ভিত্তি গণতন্ত্রকে বিসর্জন দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূলে কুঠারাঘাত করেছে। আর সমাজতন্ত্রের কথা তো উচ্চারণই হয় না। মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও আকাঙ্ক্ষাকে ধরে রাখতে হলে জনগণকে এ দুই দলের বাইরে বিকল্পের সন্ধান করতে হবে। সেই বিকল্পকে গড়ে তুলতে হবে তাদেরই, যারা সংবিধানে বর্ণিত চার মূলনীতি গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্ম নিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের মহান আদর্শকে ঊধের্্ব তুলে ধরতে পারবেন।

লেখক : রাজনীতিক।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.