আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আর কত ঘুমিয়ে থাকবি হিন্দুরা, আর কত যাতনা পেলে তোরা প্রতিরোধে নামবি বল।



লাকসামে হিন্দু পরিবারগুলো এখনো আতংকে রাত জেগে পাহারা লাকসাম (কুমিল্লা) সংবাদদাতা জামায়াত নেতা কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দেয়ার পর থেকে কুমিল্লার লাকসামে হিন্দু পরিবারগুলো এখনো আতংকের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে। জানা যায়, কাদের মোল্লার ফাঁসি দেয়ার পর লাকসাম পৌর এলাকার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ধামৈচা গ্রামের ৩টি বাড়িতে দফায় দফায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ঐ গ্রামের ৮০টি পরিবার আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। বাড়িঘর ও জানমাল রক্ষায় গ্রামের লোকজন পালাক্রমে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে। এছাড়া পৌর এলাকার হিন্দু অধ্যুষিত উত্তর লাকসাম জেলে পাড়া, পেয়ারাপুর, পশ্চিমগাঁও, ঠাকুরপাড়া, সাহাপাড়া, দক্ষিণ লাকসাম, পূর্ব লাকসাম, জগন্নাথ বাড়ী, মিশ্রি প্রভৃতি এলাকার হিন্দু পরিবারগুলোও আতংকে রয়েছে। গত ১২ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ধামৈচা গ্রামের পরিমল দাস ও স্বর্ণ কমল দাসের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।

এ সময় টের পেয়ে বাড়ি ও আশেপাশের লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে। পরের রাতে সাবেক পৌর কমিশনার ডা. সচীন্দ্র কুমার দাসের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ঐদিন পাশের বাড়িতে বিয়ে আয়োজন চলায় বিয়ে বাড়ির লোকজনসহ গ্রামবাসী আগুন নিভিয়ে ফেলে। পর পর অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সংখ্যালঘুরা আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় গ্রামবাসী মাষ্টার দেবাশীষ ভৌমিকের বাড়িতে পরামর্শ সভায় মিলিত হয়।

ডা. সচীন্দ্র কুমার দাসের সভাপতিত্বে ঐ সভায় গ্রামবাসীর বিশেষত সংখ্যালঘু সমপ্রদায়ের জানমাল রক্ষায় কমিটি গঠন করা হয়। ৯৬ সদস্যের ঐ কমিটির চার গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রতিরাতে পালাক্রমে রাত জেগে পাহারা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। প্রত্যেক গ্রুপের হাতে লাঠি, টর্চলাইট ও বাঁশি দেয়া হয়। রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত চলে এ পাহারা । এ ঘটনার পর লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের গিয়ে গ্রামবাসীদেরকে আশ্বস্ত করেন যাবতীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।