আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অরবিন্দই হচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী

কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে এএপির সরকার গঠন করা উচিত কিনা এ ব্যাপারে এক সপ্তাহ ধরে চলা জনমতে সিংহভাগ মতামত সরকার গঠনের পক্ষেই গিয়েছে। এ ব্যাপারে অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) কে বলেন, “যদিও আমাদের জনসমাবেশগুলোতে এলাকার সিংহভাগ মানুষ অংশগ্রহণ করেছে এবং ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষ মনে করে আমাদের সরকার গঠন করা উচিত। তারপরও পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। “ অতপর সোমবার সকালে সাংবাদিক সম্মেলনে অরবিন্দ জানান দিল্লিতে তারাই সরকার গঠন করছেন এবং মুখ্যমন্ত্রীও তিনিই হতে যাচ্ছেন। এনডিটিভি ও আনন্দবাজার অনলাইনের বরাতে জানা যায়, বেলা সাড়ে বারোটার দিকে দিল্লির লেফ্টেন্যান্ট গভর্নর নাজিম জং-এর সঙ্গে দেখা করে এএপি’র পক্ষ থেকে এক চিঠিতে জানানো হয়, বেশির ভাগ মানুষের রায় মেনে তারা দিল্লিতে সরকার গঠনে প্রস্তুত।

এ দিন সকালে এএপি’র রাজনীতি বিষয়ক কমিটির বৈঠক বসে। আলোচনা শেষে আম আদমি পার্টির নেতা মণীশ সিসোদিয়া সাংবাদিকদের জানান, ইন্টারনেটের মাধ্যমে গোটা দেশ থেকে প্রায় ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৮৪ জন তাদের মতামত জানিয়েছেন। এর মধ্যে ২ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬৬ জন দিল্লিবাসী। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের ৭৪ শতাংশই মনে করেন এএপি’র সরকার গঠন করা উচিত। সংখ্যাটা প্রায় ১ লাখ ৫৭ হাজার।

এ ছাড়া দিল্লিতে রবিবার রাত পর্যন্ত যে ২৮০টি সভা করেছে এএপি, তার মধ্যে ২৫৭টি সভাতেই মানুষের রায়, সরকার গঠনের পক্ষে। মণীশ সিসোদিয়া আরো জানান, সর্ব সম্মতিক্রমে এএপি’র ২৮ বিধায়কই অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তাদের নেতা হিসাবে নির্বাচিত করেছেন। নতুন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দই হচ্ছেন বলে তিনি জানান। তারা তাদের নির্বাচনী ইশতেহার পূরণ করতে সক্ষম হবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কেজরিওয়াল জানান, দল শক্তিশালী নির্বাচনী ইশতেহার যেটা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রস্তুত করা হয়েছিলো সেটা পরিপূর্ণ রূপে পূরণ করবে। এএপি নেতা আরো বলেন, তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে এমন কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো সরকার গঠনের ‘কয়েক ঘণ্টার’ মধ্যে বাস্তবায়িত করা সম্ভব হবে এবং এটা করা হবে।

গত ৮ ডিসেম্বর দিল্লির রাজ্যসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে সরকার গঠন নিয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিধান সভার ৭০টি আসনের মধ্যে এএপি পেয়েছে ২৮টি আসন। আর তাদের সমর্থন করা কংগ্রেস পেয়েছে ৮টি আসন। সবচেয়ে বেশি ৩১টি আসন পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনের জন্য তাদের আরো ৫টি আসন প্রয়োজন ছিল।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.