আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরকের ব্যবহার

রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে সারা দেশে অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরকের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। কথায় কথায় ঘটছে গুলির ঘটনা। মুড়িমুড়কির মতো ফুটছে ককটেল। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কেড়ে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরকের ব্যবহার কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না। সাধারণ সময়ের চেয়ে অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরকের ব্যবহার কয়েকগুণ বেড়ে গেলেও এ সময় অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার চলছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও ধীরলয়ে। ডিএমপি সূত্রের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে_ গত নভেম্বর মাসে ঢাকা মহানগর পুলিশ মাত্র পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে। গত তিন মাসে সারা দেশে মাত্র ১৫৮টি অস্ত্র উদ্ধার করেছে র্যাব। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সহিংসতার সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসীরা আবার নতুন করে মাথাচাড়া দিতে পারে। বেড়ে যেতে পারে সামাজিক অপরাধ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা জানেন দেশের কোন সীমান্তের কোন স্পট দিয়ে অস্ত্রের চালান ঢোকে। রুট চিহ্নিত হওয়ার পরও ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ। বেশির ভাগ সময়ই অস্ত্রের উৎস খুঁজতে গিয়ে মাঝপথেই থেমে যায় তদন্ত। অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে অবৈধভাবে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রের সিংহাভাগই সীমান্ত ডিঙিয়ে বাংলাদেশে আসে। বিস্ফোরক দ্রব্য সংগ্রহ করা হয় স্থানীয়ভাবে। অন্য কাজের জন্য আনা বিস্ফোরক দ্রব্য চলে যাচ্ছে দুর্বৃত্তদের হাতে। এ অবস্থার প্রতিরোধে সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করতে হবে। বিস্ফোরক তৈরি করা যায় এমন কাঁচামালের আমদানিকারক ও বিক্রেতাদের ওপর কড়া নজর রাখতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে দেখতে হবে। অপরাধের সঙ্গে প্রভাবশালীরা জড়িত থাকলে তাদের স্পর্শ করা যাবে না এই আত্দঘাতী প্রবণতার অবসান ঘটাতে হবে। স্মর্তব্য, বর্তমানে রাজধানীতেই রাসায়নিক ও বিস্ফোরক দ্রব্যের আমদানিকারক ৯৯৪ জন। বৈধ লাইসেন্সধারীর চেয়ে লাইসেন্সহীন আমদানিকারক ও বিক্রেতার সংখ্যা বেশি হওয়ায় নজরদারির সুযোগও নষ্ট হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে ম্যানেজ করে অনেকেই বিস্ফোরক মজুদ করে ব্যবসা করছে। তাদের কাছ থেকে গানপাউডার, সালফার ও পটাশের মতো বিস্ফোরক দ্রব্য সংগ্রহ করে দুর্র্বৃত্তরা জনজীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এ অবস্থার অবসানে বিস্ফোরক পণ্য আমদানি ও বিক্রির ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/index.php     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.