আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মার্চ ফর ডেমোক্রেসি : উম্মুক্ত হোক গনতন্ত্রের নতুন দিগন্ত



মার্চ ফর ডেমোক্রেসি : উম্মুক্ত হোক গনতন্ত্রের নতুন দিগন্ত

গত কয়েকদিন থেকেই আওয়ামীলীগের কিছু অতি উৎসাহী নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ তাদের দলীয় প্রতীক নৌকার সাথে হযরত নূহ (আ এর নৌকার তুলনা করেছেন । সে কারনে এই সকল লোকদেরকে ইসলাম ধর্মবেত্তারা সময়ের শ্রেষ্ট ‘আহম্মক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন । কথায় বলে “কোথায় শেখ সাদী আর কোথায় ছাগলের লাদি” । যে সকল নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগন নূহ (আঃ) এর নৌকার সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকাকে তুলনা করেছেন তারা মূলত “শুনিয়া (হুইন্না) মুসলমান” টাইপের । ধর্মের সামান্যতম জ্ঞানও তাদের নেই ।

তারা কি জানে না যে , হযরত নূহ (আঃ) এর নৌকায় তার স্বীয় পুত্র কেনানও আশ্রয় পায় নি । কেনান স্রষ্টার একত্ববাদের প্রতি অবিশ্বাসী থাকার কারনে হযরত নূহ (আঃ) স্বীয় কলিজার টুকরাকেও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারেন নি । তৎকালীন সময়ের কোন খোদাবিদ্বেষী লোকও হযরত নূহ নবীর নৌকায় আশ্রয় পায় নি । মানুষ আশ্রয় না পেলেও সকল প্রজাতির এক জোড়া করে জানোয়ার সে নৌকায় স্থান পেয়েছিল । আওয়ামীলীগের নৌকায় কিছু ভাল মানুষ আশ্রয় নিলেও অধিকাংশ মদ-গাঁজাখোর , জুয়াকার , খোদাদ্রোহী , যেনাকার , দূর্নীতিবাজ , টেন্ডারবাজ , চাঁদাবাজ, খূনী , সন্ত্রাসী , অর্থ-আত্মসাকারী , অর্থ-পাচারকারী এবং মানুষ পাচারকারী দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ স্থান পেয়েছেন ।

হযরত নূহ (আঃ) এর কিস্তির সাথে আওয়ামীলীগের প্রতীকের তুলনা করতে হলে অবশ্যই আওয়ামীলীগের নেতাদের খোদাভীরু হতে হবে । তবে সেরকাম কাউকে দেখা যায় না । সুযোগ পেলেই তার ইসলাম ধর্মকে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে । অবশ্য দু’একজন যে খোদাভীরু নাই সেকথা বলা চলে না । কিন্তু অন্যরা সকলেই যে মারাত্মক দোষে দুষ্ট ।

সে দোষী ব্যক্তিরা তো এত মর্যাদাবান নৌকায় স্থান পেতে পারে না । তবে কি তারা নূহ (আঃ) এর নৌকায় আশ্রিত জন্তু-জানোয়ারের স্বরুপ ? নূহ (আঃ) এর নৌকায় মানুষের জন্য ক্ষতিকর , মানবতার জন্য হানিকর সকল শ্রেণীর জানোয়ারেরাই স্থান পেয়েছিল । তবে কি , যে সকল অন্যায়ের সমর্থক ও সংগঠনকারী মানুষেরা আওয়ামীলীগের নৌকায় স্থান পেয়েছে তারা জানোয়ার তুল্য ? নৌকার মাঝি হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার নৌকায় আশ্রিত যাত্রীদের মধ্যে কে ভালো আর কে কোন শ্রেণীর জানোয়ার সেটা জনগনের সামনে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে । এটা করতে পারলে নূহ (আ এর নৌকা এবং আওয়ামীলীগের প্রতীক নৌকার মধ্যে কোন পার্থক্য থাকবে না !



বাংলাদেশের যে সকল মানুষেরা স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বুক চিতিয়ে লড়াই করেছিল , তাদের আত্মত্যাগী যুদ্ধের মূল লক্ষ্যই ছিল গনতন্ত্রের ধারাকে সমুন্নত করা । ১৯৭১ সালে দেশের ভৌগলিক বিজয় অর্জিত হলেও গনতন্ত্র লাভের ক্ষেত্রে বাঙালীরা আজও পরাধীন ।

বার বার গনতন্ত্রের উপর আঘাত আসার কারনে গনতন্ত্র কখনোই তার আপন মহিমায় শির উঁচিয়ে দাঁড়াতে পারে নি । কখনও বাকশাল , কখনও স্বৈর-শাসন আবার কখনও ক্ষমতার লিপ্সা গনতন্ত্রকে যুগে যুগে পিষে মেরেছে । গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কম মানুষকে তাদের মূল্যবান জীবন উৎসর্গ করতে হয় নি । শহীদ নূর হোসেন , ডাক্তার মিলন সহ হাজারও মানুষ তাদের অমূল্য জীবন দিয়ে প্রমান করে গেছে গনতন্ত্রের দাম । স্বাধীনতার পরে দুই দশক বাংলাদেশেকে অনেক চড়াই-উৎড়াই পোহাতে হয়েছে ।

স্বৈর-শাসক হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের পতনের পর জাতি আশায় বুক বেধেছিল , এখন বুঝি প্রকৃত গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে । আসলে তা হয়নি । প্রতিটি নির্বাচিত সরকার তাদের শাসন আমলের শুরুতে কিছুটা গনতন্ত্রের পূজা করলেও শাসন আমলের শেষ দিকে , যখন ক্ষমতা ফুরিয়ে আসে তখন গনতন্ত্রকে পদাঘাত করতে শুরু করে । ভূলে যায় সকল ওয়াদা । পরবর্তী নির্বাচনে কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে সেই ফন্দি ফিকির নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরে ।

তাতে গনতন্ত্র থাকল কি গেল তাতে কিছুই যায়-আসে না । ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া গনতন্ত্রকে পদাঘাত করে যে রাস্তায় হেঁটেছিল ২০১৩ সালের শেষ দিকে এসে সেই একই রাস্তায় হাটতে শুরু করেছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা । গনতন্ত্রের মানস কন্যা হিসেবে খ্যাত নবম জাতীয় সংসদের প্রধানমন্ত্রী তার ক্ষমতাকে স্থায়ী করার জন্য গনতন্ত্রকে ইতোমধ্যে দেশ থেকে নির্বাসিত করেছেন বলে মনে করছেন দেশে বিশিষ্টজনেরা ।

গোটা দেশের জনমতকে উপেক্ষা করে মাননীয় শেখ হাসিনা মাত্র কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে এখন উল্টা পথে হাঁটছেন । এরকম করে কতক্ষন হাটারমত শক্তি থাকবে তা কেবল তিনি এবং তার সঙ্গীরা জানেন ।

দেশের বুদ্ধিজীবিদের মতকে উপেক্ষা করে তিনি যখন তার অবস্থানে স্থির ভাবে অবস্থান করছেন তখন বাংলাদেশের প্রধান বিরেধী দল হরতাল এবং অবরোধ দিয়েই চলছেন । কোন কিছুতেই যখন শেখ হাসিনা তার অবস্থান থেকে নড়ছিলেন না তখন বিরোধীদল ৩৫১ ঘন্টা অবরোধ শেষে ১৮ দলীয় জোটের নেত্রী গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘোষনা দিলেন “ মার্চ ফর ডেমোক্রেসির” । সারা দেশ থেকে সকল শ্রেণী , পেশার মানুষকে ২৯ শে ডিসেম্বর ঢাকাস্থ বি এন পির কেন্দ্রীয় কার্যালায়ের সামনে উপস্থিত হওয়ার জন্য আহ্বান করেছেন । সকল মানুষকে দেশের পতাকা সাথে নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেছেন । তার এ ঘোষনায় দেশের পতাকার সাথে গনতন্ত্রের যোগসূত্রিতা আছে সেটা আবারও প্রমান হল ।

স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা কেবল স্বতন্ত্র পতাকা পাওয়ার জন্য লড়াই করি নি । গনতন্ত্রের ভিত্তিকে সুদৃঢ় এবং শক্তিশালী করা জন্যও লড়াই করেছিলাম ।

মার্চ ফর ডেমোক্রেসিকে কেন্দ্র করে যখন সারা দেশে উৎসাহের উৎসব পড়ে গেছে তখন সরকার যৌথবাহীনি দিয়ে গনগ্রেফতার শুরু করেছে । সরকারের কয়েকজন শীর্ষ-স্থানীয়মন্ত্রী বাসমালিক সমিতি এবং অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমের মালিকদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন যাতে ২৮ এবং ২৯শে ডিসেম্বর কোন যান চলাচল না করানো হয় । এছাড়াও ঢাকাস্থ সকল আবাসিক হোটেলের উপর অঘোষিত কার্ফিও দেয়া হয়েছে তারা যাতে নতুন করে এ দুই দিন কোন সিট বুকিং না দেয় ।

এ সকল কাজ করেও সরকার নিশ্চিত হতে পারে নি । এবার তারা তাদের আসল পোশাকে রুপান্তরিত হয়েছে । আওয়ামীলাগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন মটর শ্রমিক লীগ দিয়ে আহ্বান করিয়েছে টানা ৭১ ঘন্টার হরতাল । এতদিন লক্ষ করেছি , বিরোধীদল তাদের দাবী পূরনের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করতে হরতাল আহ্বান করে কিন্তু এখন দেখছি তার ব্যতিক্রম । সরকারী দল কাদের বিরুদ্ধে হরতাল ডেকেছে সেটা পরিষ্কার নয় ।

তাহলে কি বিরোধী দল শক্তির ক্ষেত্রে সরকারী দলের সমান এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিরোধীদলের ক্ষমতা বেশী ! ২০০৪ সালে বি এন পির শাসনে অতিষ্ট হয়ে আওয়ামীলীগ টেকনাফ থেকে তেতুঁলিয়া পর্যন্ত মানবপ্রাচীর দিয়ে মানববন্ধন করেছিল । বর্তমান আওয়ামীলীগের শাসন আমলে অতিষ্ঠ হয়ে সেরকম কোন আন্দোলন বি এন পি করতে পারবে না কেন ? যে মোটর শ্রমিকরা এতদিন বিরোধীদলের ডাকা অবরোধ এবং হরতালের জন্য বিরোধীদলের বিরুদ্ধে স্লোগন দিয়েছে এবং তাদের গালাগালি করেছে , হরতাল অবরোধে গাড়ি চালাতে না পারলে তাদেরকে পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকতে হয় বলে দাবী করেছে , তারা আগামী ৭১ ঘন্টার হরতাল দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘরে বসে পেট পূরে খেতে পারবেন ! সকলেই যে যার রাজনৈতিক অবস্থান থেকে দেশের চলমান পরিস্থিতির বিচার করছেন । দেশটা যে অর্থনৈতিকসহ সব দিক দিয়ে পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে সে দিকে কারও কোন ভ্রক্ষেপ নাই ।

হরতাল , অবরোধ বা দেশকে অচল করে দেয়ার হুমকি নিজেদের স্বার্থেই গ্রহনযোগ্য না । এসময়ে দেশের যেমন আর্থিক ক্ষতি হয় তেমনি জীবনও হুমকির মুখে পড়ে ।

গত দুমাসের হরতাল ও অবরোধের কারনে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লোকসানের সাথে প্রায় দুই শতাধিক মানুষকে অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে । দুই নেত্রীর কেউ এ সকল মৃত্যের দায়ভার নেবেন না । একজন আরেক জনকে দোষারোপ করেই খালাশ । একজন এ দেশটাকে তার বাবার আরেকজন স্বামীর সম্পত্তি মনে করেন । তাইতো তাদের দু’জনের মধ্যে যে ক্ষমতা পায় সেই দাবী করে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় একজনের বাবার আরেক জনের স্বামীর ভূমিকাই সব ।

তাদের এ চুল ছেড়া-ছেড়ীর কারনে বর্তমান প্রজন্ম স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস ভূলতে বসেছে । একদলের শাসনামলের পাঁচ বছর স্বাধীনতার যে ইতিহাস পড়ানো হয় পরবর্তী অন্য দলের পাঁচ বছর পড়ানো হয় ঠিক তার উল্টো ইতিহাস । যে কারনে স্বাধীনতার তাৎপর্য আজ হুমকির সম্মুখীন ।

বি এন পি বা আওয়ামীলীগের পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান করে নয় , দেশের বিশিষ্টজনদের মতের প্রতি একাত্মতা ঘোষনা করে ২৯শে ডিসেম্বরের “গনতন্ত্র রক্ষার অভিযাত্রার” পক্ষে অবস্থান নিতে হয় । বঙ্গবন্ধু যাকে ছেলের চেয়ে বেশি ভালবাসতেন সেই বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকিও আজ ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসির’ পক্ষে ।

দেশের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসির’ বিপক্ষে অবস্থান করার প্রশ্নই ওঠে না । আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে প্রহসন শুরু হয়েছে তা রুখতে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রাসি’ এখন সময়ের দাবি । হাতে গোনা কয়েকটি দেশ ছাড়া গোটা বিশ্ব বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন । বিভিন্ন গনমাধ্যমের জরিপ অনুযায়ী দেশের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ নিরপেক্ষ নির্দলীয় নির্বাচন কালীন সরকার দাবী করলেও আওয়ামীলীগ জনতার সে দাবীকে প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন দিতে যাচ্ছে । লক্ষ লক্ষ ভোটার-যারা জীবনে প্রথমবার ভোট দেয়ার স্বপ্ন দেখেছিল তাদের ভোট ব্যতীত অনেক আসনের জনপ্রতিনিধি মনোনীত হয়ে গেছেন ।

জনতা ছাড়া জনপ্রতিনিধি ! যা বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে আরও একবার হাসালো । সরকারের তৎপরতা দেখে অনুমিত হচ্ছে ২৯শি ডিসেম্বরের ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ বহ্যিক ভাবে সফল হবে না । শত শত মাইল ‍দুরত্বের গন্তব্যে যদি পৌঁছানোর বাহন না থাকে তাহলে সেখানে পৌঁছানে সত্যিকারেই অসাধ্য ।


শুরুতে হযরত নূহ (আঃ) এর কথা বলার কারনে শেষও করতে চাই একজন রাসূলের কথা দিয়ে । হযরত মূসা (আঃ) এর নবুয়তী জীবনে ফেরাউন দ্বিতীয় কাবশা এর সাথে কোন অবস্থায় পেরে উঠছিলেন না ।

বারবার ফেরাউনকে সত্যের দাওয়াত দিলেও ফেরাউনের উপদেষ্টারা সেটার ভূল ব্যাখ্যা করে ফেরাউনকে সত্যের পথ থেকে ফিরিয়ে রেখেছিল । মূসা এবং হারুন (আঃ) সত্য ধর্মের দাওয়াত দিতে দিতে এক সময় কিছু লোক তাদের অনুসরণ করতে লাগল । ফেরাউনের উপদেষ্টারা এসকল অবস্থা দেখে মনে ভাবলেন সর্বনাশ । এরকম আরও কিছু দিন চলতে থাকলে মূসা (আঃ) এর শক্তি ফেরাউনের চেয়ে বেশি হয়ে যাবে । তাই ফেরাউনের উপদেষ্টারা ফেরাউনকে পরামর্শ দিল মূসা (আঃ) এবং তার বাহিনীর উপর আক্রমন করতে ।

যেই ভাবা সেই কাজ । ফেরাউন মুসা (আঃ) এর বাহিনীর উপর আক্রমন করল । মূসা (আঃ) এর বাহীনির শক্তি কম থাকায় তারা পিছু হটতে বাধ্য হল । ফেরাউনের বাহীনি মূসা (আ এর বাহীনিকে ধাওয়া করতে করতে নীল নদের তীরে নিয়ে গেল । মূসা (আঃ) এর সাময়িক পিছু হটা দেখে ফেরাউন তো মহাখুশি ।

ফেরআউন ভেবেছিল তাদের বিজয় নিশ্চিত । এই বুঝি মূসা (আঃ) ফেরআউনের বাহীনির কাছে ধরা পড়ে গেল ! তাহলেই ফেরাউনের খোদায়ী দাবীর পিছনে আর কোন বাধা থাকবেনা । ফেরআউনের কেউ বিরোধিতা করবে না । সকল পরিকল্পনার ফল যে অনূকুলে আসে না সেটা বুঝতে ফেরআউনের বেশি সময় লাগে নি । হযরত মূসা (আঃ) এবং তার বাহিনী আল্লাহর সাহায্যে নীলনদ পার হয়ে গেলেও ফেরআউন এবং তার বাহিনীকে আল্লাহ তায়ালা চরম শাস্তি দিয়ে মেরেছেন ।

পানি খেতে খেতে এক-একজনের পেট ঢোলের সাইজ হয়ে গিয়েছিল । সকল সহজ কথা তো আর সহজে বলা যায় না । আমাদের যত দ্রুত সহজবুদ্ধির উদয় হবে আমাদের মঙ্গলের জন্য সেটা ততোটাই ফলপ্রসূ হবে ।

লেখক : রাজু আহমেদ । শিক্ষার্থী , কলামিষ্ট ও প্রাবন্ধিক ।


সরকারী বি এম কলেজ , বরিশাল ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.