আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

“মানবতা” , “সত্যজ্ঞান” এবং “শান্তি” বিশ্বাসী সকল মানুষের জন্য! কথাগুলো শোনা বাধ্যতামুলক

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

প্রিয় বন্ধু! দয়া করে পুরো লেখাটি পড়ুন।

অল্প বা অর্ধেক বা একটি দুটি লাইন পাঠের ইচ্ছে থাকলে। লেখাগুলো না পাঠ করার জন্য বিনীত ভাবে অনুরোধ জ্ঞাপন করছি।

"আমারো আমরো বলে
দিশেহারা হয়ে রই। ।
যাহা কিছু সবই তুমি
তুমি বিনা আমি নই।


শাহ পীর চিশতী রচিত একটি গানের লাইন। একদম সহজ কথার মধ্যে সত্যের কঠিন উপলব্ধি!!!

রসায়নে পড়েছিলাম হিলিয়াম, নিয়ন, আর্গন, কৃপ্টন ইত্যাদি ইত্যাদি নাকি নিষ্কৃয় গ্যাস। পড়ে যা বুঝেছি তা হল নিষ্কৃয় গ্যাস নাকি সবচেয়ে হালকা!

জীব বিজ্ঞানে পড়েছি এ্যামিবা নাকি এককোষী প্রাণী। পড়ে যা বুঝেছি তা হল একটি কোষ দিয়ে নাকি সব প্রাণের আবির্ভাব!

পদার্থ বিজ্ঞানে পড়েছি ভর ও ওজন না থাকলে কোনো বস্তুর কি হবে?

পৃথিবীতে মানুষের তৈরী করা যত সাবজেক্ট আছে।

সব সাবজেক্টের কাছে আমার প্রশ্ন??? পৃথিবীতে সবচেয়ে হালকা কি এমন আছে? পৃথিবীতে কোষ বা খোলস বিহীন কি এমন আছে? পৃথিবিতে ভর কিংবা ওজন বিহীন কি এমন আছে?

নিজের নাম ধরে একবার নিজের মনের কাছে জিজ্ঞেস করে দেখুন তো আপনার মন থেকে কি উত্তর আসে? একটু চেষ্টা করুন পারবেন? মানব জীবনে অবশ্যই এই প্রশ্নের উত্তর জানতেই হবে?

এই প্রশ্নের উত্তর একটু পরে দেই। তার আগে একটি ব্যাপার খেয়াল করুন, আমার কাছে যে বিষযটি খুব বেশী কঠিন মনে হবে মনে করতে হবে উক্ত বিষয় আমি অনেক বেশী অজ্ঞ। তার মানে খুব কঠিন বিষয কে অর্জন করতে হলে কঠিন ধ্যান, সাধনা, বিদ্যা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে কঠিন বিষয়কে জয় করার নামই হলো জ্ঞান।

আবার যে বিষযটিকে অল্প খানিকটা বা মোটামুট কঠিন মনে হচ্ছে মনে করতে হবে উক্ত বিষয়ে আমি সামান্য অজ্ঞ। অল্প প্রচেষ্টা করলেই বিষয়টি রপ্ত হয়ে যখন নিজের মধ্যের অজ্ঞতাকে জয় করার নামই হল জ্ঞান।

তার মানে কি দাঁড়ালো? মানুষ তার সাধনার বলে যা অর্জন করে তারই নাম জ্ঞান। জ্ঞান অর্জন করার প্রচেষ্টার নামও যে জ্ঞান তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

ধরুন আমি একটি বিষয সম্পর্কে জানি না। এই অজানার ব্যাপারটিকে জানা দরকার এই বোধটা যখন তৈরী হয় শুধু মাত্র তখনই জ্ঞানের পথের যাত্রী হওয়া যায়। জ্ঞানের পথে অভিযাত্রী হবার নাম জ্ঞান শুণ্যতা নয়।

আমি একটি জিনিস সম্পর্কে জানি না এই বোধটা প্রকাশ করা আমার ব্যাক্তিত্ব বিশর্জন দেয়া নয়। বরং আমি একটি বিষয জানি না ঐ বিষযটিকে জানি বলে সবার মাঝে নিজেকে এই খোলসে ঢেকে প্রকাশ করাই হল মিথ্যেবাদিতা ও নিজের সাথে বেঈমানী কিংবা নিজেকে সঠিক জ্ঞানের রাস্তা থেকে দূরে সরিয়ে রাখা। যারা এই নিজের দুর্বলতাকে মেনে নিতে না পেরে ভুল পথে হাঁটে তারাই হলো প্রকৃত বোকা। বোকা বোকা কথা বলা অনেক বড় কোনো অপরাধ না। কিন্তু মিথ্যে জ্ঞানকে প্রকাশের চেষ্টাই হলো সবচেয়ে বড় অপরাধ।

আমি যদি আমার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কেই না জানি তাহলে আমার চেয়ে দূর্ভাগা আর কে আছে বলুন। আমি যদি আমার সীমাব্ধতা জেনেও সেই সীমাবদ্ধতার সাথে সারা জীবন আপোষ করে যাই, তা হয়তো বেঁচে থাকা হতে পারে কিন্ত জীবন না। জীবনের সঠিক ব্যবহারের নামই হলো জ্ঞান। জীবনে সফলতা লাভের সহয উপায় হলো জ্ঞান অর্জন করা। জীবনের এক মাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো জ্ঞান অর্জন করা।



আশাকরি এতক্ষণ আমার আলোচনা থেকেই প্রশ্নটির উত্তর পেয়ে গেছেন।
সবচেয়ে হালকা হল জ্ঞান। যার জ্ঞান যতো বেশী সে ততো তারাতারি একটি কঠিন বিষয় কে সহযে বুঝতে পারবেন। যার জ্ঞান যতো বেশী হবে সে নিজের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতাকে আরও বেশী উপলব্ধি করতে পারবেন।

তাই জ্ঞানই হলো মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি।

আজ আমি যদি ভুল করি তা হয়তো কাল আমার কাছে ভুল ছিলো বলে প্রতিয়মান হবে। কিন্তু আজ যখন আমি ভুল কে সঠিক ভেবে যা করলাম তা কি অন্যায় ও অন্যায্য কিনা বলুন? যখন আমি সঠিক বিষয়টিকে নিজ জ্ঞানের উপর ভর করে উপলব্ধি পূর্বক নিজের পিছনের বেঠিকটি নিজের কাছে তুলে ধরলাম। তখন কি ঐ বেঠিক কাজের জন্য আমার মধ্যে অনুশোচনা বা অপরাধবোধ জন্মাবে কিনা বলুন?

তার মানে আমি বুঝে বা না বুঝে যে বেঠিক ও অন্যায় করি তারই নাম পাপ। আর পাপকে দূর করার উপায় জ্ঞান অর্জন। আবার পাপকে উপলব্ধি করে তা মোচনের নামই হলো নিজের মধ্যে সত্যের আবির্ভাবের প্রমাণ।

জীবনে যখন আমার মধ্যে যে অপরাধবোধ বা অনুসূচনা জন্মাবে ঠিক তখনই কষ্টের মাধ্যমে কষ্টকে দূর করার একটি রাস্তা পাওয়া যাবে আর এই রাস্তার নামই হল সত্যের রাস্তা।

সত্যের রাস্তা এমনি এমনি পাওয়া যায় না। সত্যের রাস্তা নিজ থেকে তৈরি করে নিতে হয়। আর এই নিজেকে তৈরি করার প্রক্রিয়ার নামই হলো জ্ঞান।

বন্ধু!!! বিশ্বাস করুন।

মানুষের জ্ঞান খুব বেশী সামান্য। কিন্তু এই সমান্য জ্ঞান দিয়েই অসামান্য সত্যের রাস্তা তৈরি করা সম্ভব। এই রাস্তার নাম হল সত্য পথ। এই সত্য পথে না গেলে অসীমের পথে যাওয়া যায় না। মানুষ ইচ্ছে করলে অসীমকেও জয় করে অসীম হয়ে যেতে পারে।

সেই অসীম শুধু মাত্র একটি দেহের মধ্যে স্থান লাভ করতে পারে না। কিন্তু প্রকাশ ঘটাতে পারে।

তাই তো আমাদের মানব জাতির কল্যানের রাস্তা বাতলে দেয়ার জন্য যুগে যুগে এতো মহাপুরুষ নামক মানুষের দেহ নিয়ে অসীম আত্নার প্রকাশ ঘটেছে।

আমরা নিজের কাছে যদি নিজে জানতে চাই “সময় কি? সময়ের শুরু হয়েছে কবে থেকে? সময়ের শেষ কবে?”। তাহলে ধাঁধাঁয় পড়ে যাই।

যে জ্ঞান দিয়ে সময়কেই বুঝতে পারি না সেই সামান্য জ্ঞান দিয়ে স্রষ্টাকে বুঝবো কি করে বলুন? কিন্তু যিনি সময়কে জয় করতে পেরেছেন তার কাছে যে সময় বলে কিছু নেই। আর এই সময়কে জয় করার জন্য আমি যদি যুক্তি, তর্ক, বই, রেফারেন্স, কৌশল প্রকাশ করতে চেষ্টা করি তাহলে ঐ সব বস্তুও যে সময়ের সাথে সাথে সামনে এগোতে থাববে। আর যে জিনিস গুলো নিয়ে সামনে এগোতে পারি তারা কি সময় থেকে বাহিরে থাকতে পারে বলুন? সময় কে জয় করতে হলে নিজের মনকে অসীম স্তরে নিয়ে যেতে হবে।

অসীমে না গিয়ে কোনো আত্না অসীমের প্রকাশ ঘটাতে পারে নি। আজ আমি যে কম্পিউটারে বসে আপনাদের সামনে এই লেখা গুলো কথা আকারে আপনাদের মগজে ঢুকানোর চেষ্টা করছি।

সেই কম্পিউটার কি অসীম? অবশ্যই না। কারন কম্পিউটার যারা আবিষ্কার করেছেন তারা যে মানুষ। মানুষের কোনো আবিষ্কারই সময়কে জয় করতে পারে নি। হয়তো কিছু ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছে মাত্র।

আপনারা স্টিফেন হকিং সাহেকে চেনেন।

দেখুন এ স্টিফেন হকিং শারীরীক ভাবে কত অক্ষম একজন মানুষ। তিনি তার অঙ্গকে নাড়াবার মতো শক্তি পান না। আর পৃথিবীর সমস্ত মানুষের মেধা এক করেও তার এই অক্ষমতাকে আজ অবধী কেনো কোনো কালেই জয় করা সম্ভব না। এর মূল কারন স্টিফেন হকিং সাহেবের মন হযতো জ্ঞানে ভরপুর কিন্তু সে জ্ঞান যে অসীমকে ধরার মতো এতো শক্তি শালী নয়। যদি তিনি অনেক বেশী শক্তিশালী হতেন তাহলে সবার আগে নিজের নিস্তেজ দেহের সমাধান করে ঐ হুইল চেয়ার থেকে দাড়িয়ে একদম তরুন হয়ে সব মানুষ কে দেখাতে পারতেন।



কিন্তু এ যে হকিং সাহেবের জন্য অসম্ভব। আর অসম্ভবকে শুধু মাত্র জয় করতে পারে সত্য ও সুন্দর জ্ঞানের বাস্তা দিয়ে অসীম সম্ভবকে নিজের মধ্যে ধারন করা দিয়ে।

মানুষ নিয়ম তৈরী করার চেষ্টা করে। নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করে। কিন্তু প্রাণীকুলের মধ্যে একমাত্র মানুষই নিয়মকে ভাঙতে পারে।

মানুষের তৈরী করা নিয়ম, আইন, কানুন, মায়া, লোভ, ত্যাগ, ইচ্ছা সহ নিয়মকে মানুষই ভেঙে দিতে সক্ষম।

আমরা যে প্রকৃতিকে নীয়মের মধ্য চলতে দেখি তাকে মানুষ কিভাবে ভাঙবে বলুন? তাহলে তো সূর্য পশ্চিম দিক দিয়ে উঠতো। চাঁদকে নিজেদের কাছে টেনে এনে আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যে বসিয়ে পৃথিবীর স্থল পথ আরও বর্ধিত করা যেতো। মানব শরীরের সব রোগকে চিকিৎসাযোগ্য করে মানুষ অমর হওয়ার প্রযুক্তি সবার আগে আবিস্কার করতে পারতো। যার মনে ভালোবাসার জ্ঞানই অর্জন হয়নি তিনি কি করে ভালোবাসতে জানবেন বলুন।

যিনি মানবতা কাকে বলে সে বিষয়েই এখনও অজ্ঞ তিনি কি করে মানবতা রক্ষা করবেন বলুন?

আরে মানবতা ও নিয়মের রক্ষক যে মানুষ না? মমতা, ভালোবাসা, প্রেম, ঈমান, উপলব্ধি, শরীর, মন, জীবন, মৃত্যু, মা, বাবা, পরিবার, এবাদাত, বস্তু, ব্যবস্থা, সময়, মহাবিশ্ব, নিয়ম, কানুন, শৃঙ্লল সব মাখলুকাত যে আল্লাহ্ (লা ইলাহা) তৈরী করেছেন তিনিই এর একমাত্র রক্ষক। আল্লার কোনো শরিক নেই।

যারা তাওহিদে বিশ্বাস করেন মূলত তারাই শান্তির ধর্মের প্রকৃত অনুসারী। যদি আল্লাহকে না বুঝে, না শুনে, না জেনে, কোন যুক্তি তর্কের মধ্যে আল্লাকে টানা হেচরা না করে সরাসরি আল্লাহ্ এর উপর ঈমান আনে তারাও শান্তির ধর্মের অনুসারী।
কিন্তু যারা আল্লাহ্, ঈশ্বর, ভগবান, খোদা, মাবুদ, নবী, রসুল, ইমান, আমল, মাখলুকত ও মানবতা কে নিয়ে অহেতুক তর্ক করে সময় নষ্ট করেন কিন্তু আল্লার উপর নিজেকে সমর্পন করতে জানেন না, আল্লাহ্‌র ক্ষমতাকে অস্বীকার করে তারাই নাস্তিক।

যারা শান্তির ধর্ম প্রতিষ্ঠার নাম করে নিরিহ সাধারণ মানুষকে হত্যা করে তারাও নাস্তিক।

যে সকল মানুষ মানবতার চরম বিপর্যয়ের সময়ও নীরব হয়ে বসে থাকে তারা কাফের। আজ এই মূহুর্তে যে সব মানুষ সাধারণ মানুষের মারা যাওয়াকে প্রতিরোধ করার জন্য এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়াকে ফরজ (একান্ত ভাবে করনীয় বা সর্বচ্চ গুরুত্ব সহকারে পালন করতেই হবে) বলে মনে করেন না বরং নিজেদের দলাদলীর মধ্যে বন্দি করে রেখেছে তারাও স্পষ্ট ভাবে কাফের।

যিনি শান্তি, সত্য ও মানবতা কে তৈরী করেছেন তিনিই তা রক্ষা করতে সক্ষম এটা একদম ঝকঝকে চিরসত্য কথা।

বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সব হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে বলছি- আমার সনাতন ধর্মালম্বী ভাই বোনেরা গতকাল বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নামের মানবতার শত্রু যে কথা বলেছেন তা কি ভালভাবে শুনেছেন? খেয়াল করে শুনেছেন? কি বুঝেছেন? হৃদয় দিয়ে অনুভব করুন কি শুনেছেন বা বুঝেছেন?

গোপাল, গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তন এর হুমকি দিয়েছেন! এটা হুমকী না এটা গোপাল এর শক্তির ইশারা।

হে সনাতন ধর্মালম্বী প্রিয় ভাই ও বোনেরা আজ বলুন গোপাল কে? গোপাল কার নাম? কি ভুলে গেছেন?

গোপাল যখন বড় হয়ে কৃষ্ণ হয়েছে। আর শ্রী কৃষ্ণযে কংসের মতো দম্ভ, অহঙকার ও মিথ্যে শক্তিকে ধুলোর সাথে মিশিয়ে দিয়েছিলেন তা কি আপনারা ভুলে গেছেন? আপনারা ভুললেও আমি ভুলি নি। কৃষ্ণ বাঁশী বাজিয়ে আজো আপনাদের ডাকছেন। মন দিয়ে শুনে দেখুন সেই বিঁশের বংশী কি ইঙ্গীত করছে।

একজন সত্যিকারের ঈমান আনা মুসলিম কখনও অন্যায়কে মেনে নেয় না।

আজ সকল মুসলিম বন্ধুদের কে এই অসহায় সনাতন ধর্মালম্বী মানুষের ঈশ্বর বিশ্বাসের উপর যিনি আঘাত করেছেন। তিনি এক হাজার বার মাফ চাইলেও এই ধরনের অন্যায়ের মাফ নাই। মানুষ মারা যাচ্ছে আর আপনি ভগবানের নাম পাল্টে ফেলার হুমকী দিচ্ছেন? এর নাম যদি রাজণীতি হয় সে অসভ্য, অন্যায়, অনিয়ম, মিথ্যে রাজণীতিকে আমি মানি না।
বিশ্বের অনেক মুসলিম বুজুর্গ ব্যাক্তি আছেন। সব মুসলিমের উপর সম্মান সম্মান রেখে আমি মুসলিম মানবতার দাওয়ায় নিবেদিত প্রাণ যে ডাক্তার জাকির নায়েক সাহেব (জন্মঃ ১৮ অক্টোবর) কে দেখি তাকে আমি একজন মানুষ হিসেবে স্পষ্ট অক্ষরে প্রশ্নের মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ করে বলছি আপনার সারাজীবনের বিদ্যা বুদ্ধি দিয়ে আমাকে একবার প্রমাণ করে দেখান যে,
“কৃষ্ণ কোনো আল্লাহ্ প্ররিত দূত হতে পারেন না?”



বাংলাদেশ ও বিশ্বের সকল গণ মাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে আমার আকুল মিনতী, একবার বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের দিকে তাকিয়ে দেখুন। আজ যেখানে ইসলাম ধর্মের দোহাই দিয়ে প্রতিটা দিন রজণী জামাত-শিবির নামক জঙ্গী সংগঠন বাংলাদেশের নিরীহ মানুষ হত্যা করে বাংলার সবুজের মধ্যে লাল টকটকে তাজা খুন ঝড়াচ্ছে এবং এর সাথে সাথে মানবতার বিরুদ্ধেও জেহাদ নাম দিয়ে অপঘাত নামক তান্ডব ও হত্যাযগ্য চালাচ্ছে। কিন্তু দেখনু সেই দেশের সাংবাদিক সমাজ জামাত-বিএনপি বনাম আওয়ামিলীগ দলের নামে দুটো ভাগ হয়ে মিছিল মিটিং করা শুরু করেছেন। আর অন্যদিকে বিনা অপরাধে আমার সোনার বাংলাদেশের সাধারন খেটে খাওযা মানুষ মারা যাচ্ছে। ভাই একজন সত্য আদর্শ মানুষ উপলব্ধি করে যে কলমের শক্তি অনেক।

একজন সত্য আদর্শে বিশ্বাসী সাংবাদিক শুধু একটি লাইন লেখুন আর সে লাইন টি হলঃ

“মানবতাকে রক্ষা করা সাংবাদিক সহ সকল মানুষের প্রধান কর্তব্য”

তাহলেই সত্যকে অনুধাবন করতে পারবেন। আপনারা এতোদিন ধরে যাদের মিডিয়া সেল্টার দিয়েছেন। তারা যে মানবতার হত্যাকারী? সাংবাদিকতা যে অনেক মহান এক পেশা। এই পেশার মানুষগুলো যাদের জন্য জীবনে অনেক সত্যকে আড়ালে রেখেছিলেন। দেখুন সেই সব দলবাজদের রাজণীতির নামে লুটপাট-মিথ্যাণীতির জন্য আজ সাংবাদিকদের সত্যের সাথে মুখোমুখি হয়ে কয়েকটি আলাদা শিবিরে ভাগ হতে হয়েছে।


সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনাদের যদি এতো ভাগ বাটারা নিয়ে সমস্যা থাকে আমার কাছে চলে আসুন। দেখুন আমি এক অভাগা বাঙালী। আমার দেহটিকে আপনারা ভাগ করে নিয়ে নিন। দেখবেন আমার দেহ পাবেন কিন্তু প্রাণ থাকবে না। তাই আজ আমি আপনাদের পায়ে হাত দিয়ে মিনতি করছি আপনারা বাংলাদেশের প্রান বাঁচাতে দল নয় মানবতার সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে একযোগে সাধারন নিরিহ মানুষের হত্যা বন্ধ করতে সহয়তা করুন।

মনের মধ্যে আত্নবিশ্বাসের সাথে বলে উঠু “আমি ঠিক তো পৃথিবী ঠিক। আমি মানবতার মুক্তির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করলাম। ” কোনো দল বা গোষ্ঠীর জন্য না। মনে রাখবেন পৃথিবীর সর্বকালের সব সংবাদ পত্র এক করেও একটি অসহায় মানুষের জীবন ফিরিয়ে দেয়া যাবে না।

আল্লাহ্‌ এর উপর ইমান আনা সকল বন্ধুদের বলছিঃ মানুষ আইন এনেছে আইন মানুষকে আনে নি।

তার বড় প্রমান আজকের সুপ্রিম কোর্টের ভিতরের আইনের মাইর। এমন অন্যায় বেআইন ও কলঙ্ককে আইনের চোখ দিয়ে না দেখে মানবতার চোখে দেখে সকল পেশাজিবি মানবতার পক্ষে অবস্থান নিন। যে পঙ্গু বা শারিরীক শক্তিহীন তারা স্রষ্টার উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করুন যাতে বাংলাদেশের মানুষের সম্মিলিত শক্তি দিয়ে আমরা মানবতার বিপর্যয় রক্ষা করতে পারি।

বাংলাদেশের জনগন কি শেখ হাসিনা নামক ঐ মৃত প্রধানমন্ত্রীকে এই পরিস্থিতির জন্য দোষ দিচ্ছেন? শেখ হাসিনা কি বেঁচে আছে? আরে বোকা বাঙালি শেখ হাসিনা ১৯৭৫ইং সালের ১৫ইং আগষ্ট মারা গেছেন। যেদিন শেখ হাসিনা তার বাবা, মা, ভাই সহ দুষ্ট ছোট ভাই শেখ রাসেল (জন্ম তারিখ ১৮অক্টোবর) কে পর্যন্ত হারিয়েছে।

আজও একজন বাংলাদেশী মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের শরীরের রক্ত ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের শেখ হাসিনার শৈশব স্মৃতি বিজারিত বাড়ীর সিড়িতে লেগে আছে। যে মেয়ে বার বার তার বাবার রক্ত দেখে কান্না করেছেন তার আবার নতুন করে মৃত্যু কিসের? আমি চ্যালেঞ্জ রেখে বলতে চাই আজ যদি জামাত শিবির স্পষ্ট ভাবে শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করে বলেন যে শেখ হাসিনার রক্ত পেলে জামাত-শিবির কোনো রক্ত ঝড়াবে না তাহলে তিনি বুক পেতে দিয়ে জীবন দিতে প্রস্তুত আছেন। শেখ হাসিনা কোনো কাপুরুষের মেয়ে না বরং তিনি এক বাংলাদেশী মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ত্যাগী বাবার কন্যা।
আমাকে জামাত-শিবির হুমকি দিয়েছে। আমি একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রেস ক্লাবকে অবহিত করেছিলাম।

আমি সেই প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি এই মূহুর্তে প্রত্যাহার করছি। কারন যে সাংবাদিকরা দলের কাছে বিক্রি হয়ে গিয়ে মানবতার অবমাননাকে নিরবে মেনে নিচ্ছেন তাদের কাছে কিসের বিজ্ঞপ্তি-ফিজ্ঞপ্তি?

জামাত-শিবির কে আমি স্পষ্ট বলছি। আমি আসিফ (জন্ম ১৮ অক্টোবর) সত্যজ্ঞানে এই দুনিয়ায় নিজেকে প্রকাশ করেছি মানবতা, শান্তি ও প্রেমকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। আমার প্রাণের চেয়ে প্রিয় প্রিয়া ইফফাত জামান মুনমুন (জন্ম ১৮ অক্টোবর) ও আমি দু’জন দু’জনকে ভালোবাসী।

যে জাতির মনে বিশ্বপ্রেমীকের আসল অর্থকে বিকৃত করে তিলে তিলে রটানো বিশ্বপ্রেমিক মানে হল নষ্ট ও চরিত্রহীন কিছু বেহায়া পুরুষ এর একাধিক মেয়ের জীবন নষ্টকারী হিসেবে তারা বিশ্বপ্রেমিকের আসল অর্থ কি বুঝবে?

আমি আমার বাবা, মা, পরিবার ও প্রিয়তমা মুনমুন কে ভালবাসী বলে পুরো বিশ্বের শান্তি প্রতিষ্ঠার যোগ্যতা রাখি।

যে সবার আগে নিজের পরিবার, প্রিয়জন ও পাশের মানুষগুলো কে মানুষ ভেবে রক্ষা করার চেষ্টা করতে জানে না। তারা কি করে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা করে সত্যিকারের বিশ্ব মানবতার প্রেমিক হবে বলুন?

বাঙালীদের হাতে বৈঠা মানায় না। বাংলাদেশী মানুষ অস্ত্র দিয়ে নয়। মনের ভিতরে আমাদের অনেক দিনের ঐতিহ্য লালনের হাতের একতারার সুর ধ্বনিত হচ্ছে। একতারা যে একতার প্রতিক।

আজ বাংলাদেশীদের এক হবার প্রতিক সরূপ একতারা নিয়ে রাস্তায় নেমে আসুন। দেখবেন সেই একতারার মোটা সুরে সারা বিশ্ব কেঁপে উঠবে। জামাত শিবির কে আর নতুন করে নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন নাই। আমরা মুক্তযুদ্ধের চেতনায় এক্যবৈধ্য হয়ে সই ১৯৭১ সালের ১৬ইং ডিসেম্বর পাকিস্তানকেই নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলাম। তার সামনে জামাত শিবির কি?

আমার এই বক্তব্যকে ভাষায় প্রকাশ করে বিশ্বের সকল মিডিয়ায় প্রকাশের জন্য স্বত্বমুক্ত হিসেবে ঘোষনা করছি।





অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।