আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শফিউল আলম প্রধানের ব্যাপারে ইত্তেফাকের সেই সময়ের উপসম্পাদকীয়

আমার বন্ধু হাসনাত শাহরিয়ার প্রান্ত আমাকে একটি বই দিয়েছে। এখানে ৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত ইত্তেফাক, সোনার বাংলা, জনপদ, গণকণ্ঠ এসব পত্রিকার ক্লিপিংস দেয়া আছে। বইটির নাম হল বাংলাদেশ বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তর। এর সম্পাদক হলেন মুনির উদ্দীন আহমদ। ঠিকানা হিসেবে দেয়া হয়েছে লন্ডনের একটি ঠিকানা।

মাঝে মাঝে আমি বইটি উল্টে দেখি। অল্প কথায় বইটির সারমর্ম যদি বলতে হয় তা হল ৭২ থেকে ৭৫ এ দেশের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। তার পুরো দোষ আওয়ামী লীগের। বিরোধী দলের কোন দায় বা দায়িত্ব ছিল কিনা এই ব্যাপারে কোন প্রশ্ন তোলা যাবে না। সব দোষ, আবারও, আওয়ামী লীগের।

পড়তে পড়তে হঠাৎ শফিউল আলম প্রধান ব্রাশফায়ারে যে সাত জন ছাত্রকে মেরে ফেললেন সেটির প্রতিক্রিয়া হিসেবে একটি উপসম্পাদকীয় পেলাম। এখানে তুলে দেয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না।
তবে আমার কিছুটা খটকা লেগেছে। উপসম্পাদকীয়তে তারিখ দেয়া হয়েছে বাংলা ক্যালেন্ডার ধরে ১৩৮০ সালের ২৫শে চৈত্র। গুগল করলে অনলাইনে একটি ব্লগে ঘটনাটির যে ইংরেজী তারিখ পাওয়া যায় সেটি হল ১৯৭৪ সালের ৪ঠা এপ্রিল যেটিকে আমি একটি কনভার্টার ব্যবহার করে পেয়েছি ২১শে চৈত্র।

একই ব্লগ পোস্টে বলা হয় দুদিন পরেই এর প্রধান হোতা শফিউল আলম প্রধান গ্রেপ্তার হয় (যাকে খুনের অপরাধে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয় এবং পরে জিয়াউর রহমান ছেড়ে দেয়)। তাহলে ২৩শে চৈত্রের মধ্যে সবাই জানত সন্দেহভাজন কে এবং সরকার কাকে গ্রেপ্তার করেছে। আমার প্রশ্ন হল ইত্তেফাকের এই উপসম্পাদকীয়তে খুনের ব্যাপারে অনেক ত্যানা পেঁচানো হলেও কে খুন করেছে সেই ব্যাপারে কিছু বলল না কেন কিংবা সরকার যে গ্রেপ্তার করল সেই খবরও প্রকাশ করল না কেন? পরেও আর কোন উপসম্পাদকীয় পেলাম না যাতে এই গ্রেপ্তার বা মৃত্যুদণ্ডের কথা বলা হয়েছে।
আমি নিশ্চিতভাবেই কিছু একটা মিস করেছি, সেই জিনিসটি কি?








সোর্স: http://www.sachalayatan.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.