আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আইসিসির বর্ষসেরা মনোনয়নে তামিম-শফিউল

অতীত এবং বর্তমানকে সাথে নিয়ে আগামীর সপ্ন দেখি । সময়ের সাথে আগামীর পথে -সদা নির্ভীক..

বপ্নটা অনেকদিন ধরে লালন করছেন তামিম ইকবাল। ঘরের শোকেসে ম্যাচসেরার অনেক ট্রফি সাজানো আছে। কিন্তু তাতে অতৃপ্তি মিটছে না। আইসিসির সেরা বিবেচিত হওয়ার একটা ট্রফি চাই! সেই অপেক্ষা পূরণের একটা উপায় তৈরি হয়েছে তামিমের।

২০১০ সালের এলজি আইসিসি পুরস্কারে বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছেন বাংলাদেশের এই ওপেনার। এই ক্যাটাগরিতে মনোনয়নের বাধা টপকে সেরা হওয়ার লড়াইয়ে তাকে লড়তে হচ্ছে বিশ্বের সেরা ১৫ জন টেস্ট ক্রিকেটারের সঙ্গে। এই তালিকায় ভারতের শচীন টেন্ডুলকার, বীরেন্দ্র শেবাগ, মহেন্দ্র সিং ধোনি, শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনে, কুমার সাঙ্গাকারা, দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিসের মতো আরও অনেক তারকা ক্রিকেটার আছেন। এই ১৫ জনকে চূড়ান্ত বিচারে তামিম ইকবাল হারিয়ে দিতে পারবেন কিনা—সেটা জানা যাবে সামনের ৬ অক্টোবর। ভারতের বেঙ্গালুরু শহরে সেদিনই আইসিসির এই পুরস্কারের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হবে।

আইসিসির সাংবার্ষিক এই পুরস্কারের মনোনয়নের তালিকায় বাংলাদেশের বোলার শফিউল ইসলামের নামও রয়েছে। আইসিসির উদীয়মান ক্রিকেটারের মনোনয়নের ১৬ জনের যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে সেখানে শফিউল ইসলামের নাম রয়েছে। আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের পুরস্কারের তালিকায় নিজের নাম আছে জেনে তামিম ইকবালও ভীষণ উচ্ছ্বসিত, ‘আমি আগেই বলেছিলাম আইসিসির সেরা কোনো পুরস্কার জিততে চাই। স্বপ্নটার কথা আগেও জানিয়েছিলাম। এবার সেটা পেলে আমার স্বপ্নটা সত্যি হবে।

তবে আইসিসির এই পুরস্কারের মনোনয়ন তালিকায় আমার নাম উঠেছে এটাও কম কথা নয়। আমার জন্য এই মনোনয়নও অনেক বড় পুরস্কার। ’ বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটারদের সংগঠন ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ফিকা) সহযোগিতায় আইসিসি প্রতি বছর ক্রিকেটারদের পারফরমেন্স বিবেচনা করে এই বর্ষসেরাদের পুরস্কৃত করে। এই নিয়ে সপ্তমবারের মতো এই পুরস্কারের আয়োজন করা হচ্ছে। আগের ছয়টির আসর বসেছিল লন্ডন (২০০৪), সিডনি (২০০৫), মুম্বাই (২০০৬), জোয়ানেন্সবার্গ (২০০৭ ও ২০০৯) এবং দুবাইয়ে (২০০৮)।

গত বছরের ২৪ আগস্ট থেকে চলতি বছরের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ক্রিকেটারদের পারফরমেন্সের ভিত্তিতে এই মনোনয়নের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আইসিসির অনুমোদিত টুর্নামেন্ট, দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ইত্যাদি মানের ক্রিকেটে পারফরমেন্সটাই বিবেচনায় আনা হয়। আইসিসির বেঁধে দেয়া এই এক বছর সময়ে বাংলাদেশের হয়ে তামিম ইকবাল মাত্র ৭টি টেস্ট খেলেছিলেন। রান করেছিলেন ৮৩৭। সেঞ্চুরি ৩টি।

রানগড় ৫৯.৭৮। সর্বোচ্চ ইনিংস, ভারতের বিপক্ষে মিরপুরে ১৫১ রান। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হওয়া তামিম ইকবাল এখন পর্যন্ত খেলেছেন ১৯টি টেস্ট। রান করেছেন ১৪৪৫। বাঁহাতি এই ওপেনারের রানগড় ৪০-এর ওপরে।

ওয়ানডে ক্রিকেটেও সমান দক্ষ তামিম ইকবাল। ৮৫টি ওয়ানডে ম্যাচে করেছেন ২৪৭৮ রান। সেঞ্চুরি ৩টি। রান গড় ২৯.১৫ । কপি পেষ্ট আমার দেশ


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.