আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হিগস কনার পরিচয় এবং পদার্থের ভরপ্রাপ্তির সাদা কথা।

সবসময়ই চাই একটু অসাধারণ হতে কিন্তু তার পরও সাধারন সীমানা পেরুতে পারি না ।

গড পার্টিকেল বা ঈশ্বর কণা সম্পর্কে বিস্তারিত না জানলেও একটু আধটু সবাই জানে। কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানের মতে এই মহাবিশ্বে দুই ধরনের মৌলিক কনা আছে। একটা হল বোসন কনা । আরেকটি হল ফার্মিয়ন কনা।

যেসব কনার ভর নেই তারা বোসন শ্রেণীর আর বাকিরা মানে যাদের ভর আছে তারা ফার্মিয়ন শ্রেণীর। ভরযুক্ত কনার সম্পর্কে আমরা সবাই জানি, যেমন ইলেকট্রন, প্রোটন ইত্যাদি। কিন্তু ভরহীন কনার কথা শুনে কেউ কেউ চিন্তায় পড়ে যেতে পারেন। কনা আবার ভরহীন কিভাবে হয় ? এতদিনতো যেনে এসেছি কনার ভর থাকে ! কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানের মতে ভরহীন কনার অস্তিত্ব ও বিদ্যমান। একটা উদাহরন দিলেই স্পষ্ট হবে, যেমন আলোর কনা ফোটন, মহাকর্ষ বলের জন্য দায়ী গ্রাভিটন ইত্যাদি কনা।

এসব কনার ভর নেই কিন্তু কনা ধর্ম থাকায় এদের কনা বলা হয়। বস্তুর প্রত্যেকটি ধর্মের সাথে সংশ্লিষ্ট কনা রয়েছে। যেমন মহাকর্ষীয় আকর্ষনের সাথে সংশ্লিষ্ট কনা গ্রাভিটন। ঠিক তেমনি বস্তুর ভরের জন্যও গত শতাব্দির সত্তরের দশকে একটি কনার প্রস্তাব করেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী পিটার হিগস সহ আরো কয়েকজন বিজ্ঞানী। তবে একাজে হিগস সবচেয়ে বেশি পারদর্শিতা দেখান ।

তার তত্ত্ব মতে বস্তু জগৎ সম্পর্কে নতুন তথ্য বেরিয়ে আসে। তাত্ত্বিকভাবে প্রমানিত হয় মহাবিশ্ব সৃষ্টির শুরুতে কোন কনারই ভরছিল না। ভর প্রাপ্ত সকল কনাই একটি ক্ষেত্র দিয়ে যাবার পর তারা ভর প্রাপ্ত হয়। হিগসের নামানুসারে ভরদানকারি ক্ষেত্রটির নামকরণ করা হয় হিগসক্ষেত্র বা । এবং ভরের জন্য দায়ী কনাটিকেও তার নামানুসারেই হিগস কনা নামে ডাকা হয়।

তা এতোদিন হিগসের এই আবিস্কার কেবল তাত্ত্বিকভাবেই প্রমানিত ছিল। কিন্তু প্রায় চার দশকেরও বেশি সময় আগে শুরু হওয়া এই তত্ত্ব প্রমানের প্রকল্প সম্প্রতি প্রমানিত হয়েছে। সার্নের লার্জ হ্যাড্রন কলাইডারে অবশেষে তথাকথিত গড পার্টিকেলের সন্ধান মিলেছে। এবং এই আবিস্কারের জন্য পিটার হিগস গত বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ও পেয়েছেন। বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লিংকগুলো দেখতে পারেন।



http://en.wikipedia.org/wiki/Peter_Higgs পিটার হিগস সম্পর্কে
www​.lhc .ac.uk/ লার্জ হ্যাড্রন কলাইডার সম্পর্কে
Click This Link লার্জ হ্যাড্রন কলাইডার সম্পর্কে
Click This Link মৌলিক কনা সম্পর্কে
এছাড়াও ইন্টারনেটে এসব বিষয় প্রচুর তথ্য পাওয়া যায়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.