আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিবাহপূর্ব শারীরিক সম্পর্কের জটিলতা

দৈহিক সম্পর্ক ভালোবাসার এক প্রতিচ্ছবি। সকলেই এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কম-বেশি সচেতন। নারী ও পুরুষকে একত্রিত করার এটা একটা ঐশ্বরিক পরিকল্পনা। কিন্তু বিবাহপূর্ব যৌনসম্পর্ক বরাবরই প্রশ্নবিদ্ধ। পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র ধর্মীয়, সামাজিক, সর্বোপরি রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে বিয়ের আগের যৌন সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না।

বিবাহপূর্ব যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে বেশি সমস্যা পোহাতে হয় নারীকে। জেনে নেয়া যাক সেইসব সমস্যা:

 

অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ

অপরিকল্পিত যৌনমিলনের ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়তে পারেন একজন নারী। সমাজে যেহেতু কুমারী মায়ের কোনো স্বীকৃতি নেই, তাই নারীকে গর্ভপাতের ঝুঁকি নিতে হয় যা অনেক ক্ষেত্রেই শরীরের জন্য বিপদজনক। যেমন: গর্ভপাতের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, পরবর্তীতে গর্ভধারণে সমস্যা হওয়া বা গর্ভধারণ করতে না পারা, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া ইত্যাদি। তাছাড়া এজন্য পরিবার ও সমাজের কাছে অপরাধী হতে হয় নারীকে।

 

 

জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল ও অন্যান্য ঝুঁকি

অনবরত জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল খাওয়া অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ রোধ করলেও ডেকে আনতে পারে মারাত্মক কিছু সমস্যা। এর মধ্যে অন্যতম হলো সন্তানধারণের ক্ষমতা হারানো। প্রথম সন্তান জন্মের আগেই দীর্ঘদিন পিল গ্রহণের ফলে পরবর্তীতে গর্ভধারণে ঝুঁকি হতে পারে, হতে পারে বারবার গর্ভপাতের সমস্যা। এছাড়া হরমোনের সমস্যা, মুটিয়ে যাওয়া, খাবারে অনীহা,সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যাও দেখা দিতে পারে।  

 

অপরিণত বয়সে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর ঝুঁকিঅপরিণত বয়সে শারীরিক সম্পর্কের পরিণতি হতে পারে মারাত্মক।

এর ফলে হতে পারে যৌনসংক্রমণ, ক্যানসারের মতো ভয়াবহ সব রোগ। জরায়ুমুখ সংক্রমণ ও জরায়ুমুখ ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে সবচে বেশি।

 

মানসিক ভীতি

অনেক ক্ষেত্রেই প্রেমিকেরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক প্রেমিকাকে চাপ প্রয়োগ করে যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে সম্পর্কটি ভেঙে গেলে বেশিরভাগ মেয়েই একধরনের মানসিক চাপের শিকার হয় যা ক্রমশ বিকারে রূপ নেয়। যেমন: শারীরিক সম্পর্কে অনীহা বা ভীতি, বিবাহভীতি, পুরুষদের প্রতি ঘৃণা বা ভয় ইত্যাদি।

 

 

বিবাহ পরবর্তী জীবনে প্রভাব

বিয়ের আগের যৌন সম্পর্ক থাকার পর ওই জুটি যখন দাম্পত্য জীবনে প্রবেশ করেন তখন কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায় পারস্পরিক আকর্ষণ কমে যায়। একসময় বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় কিংবা নির্লিপ্ত এক সম্পর্কের মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত হয়। আর যদি প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে না হয়ে অন্য কোন পুরুষের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে হয়ে , তাহলে সেক্ষেত্রে শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি জানার পর অনেক সময়ই স্বামীটি স্ত্রীকে অবিশ্বাস করতে শুরু করেন। এতে মানোমালিন্য, ঝগড়া লেগেই থাকে।  

 

সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়া

বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কের কথা জানাজানি হলে নারী সামাজিকভাবে অসম্মানিত হন।

সমাজ তাকে অপরাধীর দৃষ্টিতে দেখে। পারিবারিকভাবেও তাকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়।  

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।