আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাইয়্যিদুল মুরসালিন,ইমামুল মুরসালিন,হাবীবুল্লাহ্‌ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া তিনি অন্য কারো মতো নন ।(১)

আমার মরণ চান্নি পসর রাইতে যেন হয়

সাইয়্যিদুল মুরসালিন,ইমামুল মুরসালিন,হবীবুললাহ্‌ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া উনি এই যমীনে মানুষের সুরত মোবারকে আগমন করলেও প্রকৃত অর্থে উনার সমস্ত কিছুই ছিলো একক , সুমহান এবং অনন্য বৈশিষ্ট্য মন্ডিত (সুবহানাল্লাহ্‌)। বর্তমান যামানায় এমন কিছু বাতিল ফিরক্বা বদ মাযহাব ভুক্ত লোক রয়েছে যারা বলে থাকে যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালিন,ইমামুল মুরসালিন,হাবীবুল্লাহ্‌ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের মতো(নাউযুবিল্লাহ্‌)।
এই কথাটি সম্পুর্ন ভুল। সম্পুর্ন কুফরী।
নিম্নে উনার অসংখ্যও অগনিত একক এবং অনন্য বৈশিষ্ট্য , শ্রেস্ঠত্ব-বুযুর্গি সন্মান সমুহ হতে অল্প কয়েকটি আলোচনা করা হলো।


এক.খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ্‌পাক উনার পবিত্র শান মুবারকে নাযিল করেন "আমি আপনার যিকিরকে,সন্মানকে বুলন্দ করেছি"। সুবহানাল্লাহ্‌। । (সুরা আলাম নাশরাহ্/৪)
মহান আল্লাহ্‌পাক উনার শান-মর্যাদা কতটুকু উচ্চে স্হান দিয়েছেন সেটা বোঝার ক্ষমতা কোন জ্বীন-ইনসান-ফিরিশতা এবং কোন মখলুকাতের নাই। আমরা শুধু এতোটুকুই বলতে পারি উনার সন্মান বুলন্দ করতে করতে এতোটুকু করা হয়েছে যে,কলেমা শরীফে আল্লাহ্‌ পাকের নাম মুবারকের সাথে উনার নাম মুবারক সংযুক্ত করা হয়েছে ।

কিয়ামত পর্যন্ত কেউ শুধু "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্‌"পাঠ করলেও সে ইমানদার সাব্যস্ত হবে না ,যতক্ষন না ঐ ব্যক্তি উনার উপর ইমান এনে পাঠ করবে "মুহ্‌ম্মদুর রসুলুল্লাহ্‌" (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। অর্থ্যাৎ উনার উপর ইমান স্হাপন করাকে ঈমানদার হওয়ার জন্য শর্ত করা হয়েছে।
সুতারাং যাঁর উপর ইমান স্হাপন করবে উনি আর যে ব্যক্তি ইমান স্হাপন করবে সে কি করে হাক্বিকতে একরকম হতে পারেন।
তাই মুলত: সাইয়্যিদুল মুরসালিন,ইমামুল মুরসালিন,হবীবুললাহ্‌ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া তিনি অন্য কারো মতো নন । অন্য কেউ উনার মতোন নয়।


এই প্রসংগে পবিত্র কুরআন শরীফের সুরা ইউনসু-এ ৫৮ নং আয়াত শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
قُلْ بِفَضْلِ اللَّـهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ

অর্থাৎঃ(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলুন, মহান আল্লাহ পাক উনার ফযল ও রহমত (স্বয়ং হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে) পাওয়ার কারণে তোমাদের উচিত ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা। এই খুশি প্রকাশ করাটা সেসব কিছু থেকে উত্তম, যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে। ”
অর্থাৎ আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে তাশরীফ মুবারক উপলক্ষে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা।
অর্থাৎ যেদিন মহাসম্মানিত, মহামর্যাদাবান, সুমহান, অশেষ বরকতময় ও বেমেছাল ফযীলতপূর্ণ পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ,সেদিন পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ' আর সেদিনই হচ্ছেন প্রত্যেক ইমানদারদের সবচেয়ে সেরা খুশীর দিন ।
যা আর মাত্র ২ দিন বাকি।


Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.