আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাইয়্যিদুল মুরসালিন,ইমামুল মুরসালিন,হাবীবুল্লাহ্‌ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অন্য কারো মতো নন ।(৩)

আমার মরণ চান্নি পসর রাইতে যেন হয়

সাইয়্যিদুল মুরসালিন,ইমামুল মুরসালিন,হাবীবুল্লাহ্‌ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি এই যমীনে মানুষের সুরত মোবারকে আগমন করলেও প্রকৃত অর্থে উনার সমস্ত কিছুই ছিলো একক , সুমহান এবং অনন্য বৈশিষ্ট্য মন্ডিত (সুবহানাল্লাহ্‌)। বর্তমান যামানায় এমন কিছু বাতিল ফিরক্বা বদ মাযহাব ভুক্ত লোক রয়েছে যারা বলে থাকে যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালিন,ইমামুল মুরসালিন,হাবীবুল্লাহ্‌ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের মতো(নাউযুবিল্লাহ্‌)।
এই কথাটি সম্পুর্ন ভুল। সম্পুর্ন কুফরী।
নিম্নে উনার অসংখ্য ও অগনিত একক এবং অনন্য বৈশিষ্ট্য , শ্রেস্ঠত্ব-বুযুর্গি সন্মান সমুহ হতে অল্প কয়েকটি আলোচনা করা হলো।


তিন.হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হওয়ার কারণেই উনার আহলিয়া আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে বিবাহ করা হারাম

“তাফসীরে মাযহারী” উনার ৭ম খণ্ডের ৩৭৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
اى ذنبا عظيما قلت وجاز ان يكون ذلك لاجل ان النبى صلى الله عليه وسلم حى فى قبره ولذلك لـم يورث ولـم يتئم ازواجه عن ابى هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من صلى على عند قبرى سمعته ومن صلى على نائبا ابلغته
অর্থ : “(হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম) উনাদেরকে বিবাহ করা বড় গুনাহ। আমি বলি : নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে বিবাহ করা হারাম এজন্যই যে, যেহেতু তিনি উনার রওযা শরীফ উনার মধ্যে জীবিত আছেন, তিনি হায়াতুন নবী। সে কারণে উনার সম্পত্তির কোন ওয়ারিছ নেই এবং উনার আহলিয়া আলাইহিন্নাস সালামগণও বিধবা নন। ”
হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি আমার রওযা শরীফ উনার নিকটে এসে ছলাত ও সালাম দিবে আমি তা সরাসরি শুনি।

আর যে আমার নিকট দূরদেশ থেকে ছলাত ও সালাম পাঠাবে তা আমার কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। ” (বাইহাক্বী ফী শুয়াবিল ঈমান)

হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কারণেই মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে উনাদেরকে নিয়ামত প্রদান

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার পবিত্র কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
ومن يقنت منكن لله ورسوله وتعمل صالـحا نؤتها اجرها مرتين واعتدنا لـها رزقا كريما.
অর্থ : “আপনাদের মধ্যে যে কেউ খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি অনুগত হবেন ও সৎকার্য করবেন উনাকে আমি পুরস্কার দিবো দুইবার এবং উনার জন্য আমি প্রস্তুত রেখেছি সম্মানজনক রিযিক। ” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩১)
“তাফসীরে মাযহারী” উনার ৭ম খ-ের ৩৩৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, দ্বিগুণ পুরস্কারের অর্থ হচ্ছে-
প্রথমত : উনারা দ্বিগুণ পুরস্কার লাভ করবেন খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের ইতায়াত বা আনুগত্যতার জন্য।
দ্বিতীয়ত : হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি-রেযামন্দী মুবারক অর্জনের জন্য। উনার উপর সন্তুষ্ট হয়ে উত্তম জীবনযাপনের জন্য।


হযরত মুক্বাতিল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, উনাদের প্রতিটি পুণ্যের প্রতিদান দেয়া হবে দশগুণ করে। এটা হচ্ছে আম বদলা। আর খাছ বদলা হচ্ছে অসংখ্য, অগণিত। কারণ দাতা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি হচ্ছেন অসীম আর উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন উনার কুদরত মুবারক উনার অধীন। সুবহানাল্লাহ!
“তাফসীরে মাযহারী” উনার ৭ম খ-ের ৩৩৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
اى جليل القدر وهو الجنة زيادة على اجرها قلت وذالك لانهن يرزقن بمتابعة النبى صلى الله عليه وسلم مايرزق النبى صلى الله عليه وسلم.
অর্থ : “(নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া আলাইহিন্নাস সালামগণ) উনাদেরকে সম্মানজনক রিযিক প্রদান করা হবে।

তা হচ্ছে জান্নাত। যা সবচেয়ে বড় প্রতিদান। আমি বলি : উনারা উত্তম রিযিক পাবেন হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া হওয়ার কারণেই। তাই হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য যে রিযিক, উনাদের জন্যও সে রিযিক ধার্য হবে। ” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে ইবনে কাছীর, কুরতুবী, আহকামুল কুরআন, খাযিন, বাগবী, মাদারিক ইত্যাদি তাফসীরগুলোতে আরও বিশদভাবে আলোচনা রয়েছে।

)
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, তাফসীর শরীফ ইত্যাদি কিতাব উনাদের উপরোক্ত আলোচনা থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে-
(১) আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া হওয়ার কারণেই হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মর্যাদা অন্যান্য সকল নারীর উপরে। সুবহানাল্লাহ!
(২) হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা যেমন ইহকালে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া; তদ্রƒপ বেহেশতেও উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া হিসেবেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ!
(৩) হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা আহলে বাইত শরীফ উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
(৪) অন্যান্য মানুষের থেকে উনাদের আমলের প্রতিদান দ্বিগুণ-বহুগুণে প্রদান করা হবে। সুবহানাল্লাহ!
(৫) পৃথিবী সৃষ্টির পূর্বে-পরে, যে কোন কালে যাঁরাই অনেক মর্যাদাশালী হয়েছেন; তাঁরাই আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কারণেই মর্যাদাময় হয়েছেন।

এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ!
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি, রেযামন্দী মুবারক অর্জনের মূল মাধ্যম হচ্ছে ছোহবত মুবারক। এজন্য হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনারা ওলীআল্লাহ উনাদের ছোহবত অর্জন করাকে ফরযে আইন ফতওয়া দিয়েছেন। তাই বর্তমান যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, আওলাদুর রসূল, গাউছুল আ’যম, মুজাদ্দিদ আ’ম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার হাক্বীক্বী ছোহবত অর্জনের মাধ্যমে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে উনার এবং উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম এবং সমস্ত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের প্রতি যথাযথ সম্মান-মর্যাদা, তা’যীম-তাকরীম ও সুধারণা রাখার তাওফীক দান করুন। (আমীন)






সম্পাদক: আল্লামা মুহম্মদ মাহবুব আলম


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.