আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী, এরশাদ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেছেন, যার নেতৃত্বে তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন জাতীয় পার্টির নেতা রওশন এরশাদ, যাকে ইতোমধ্যে বিরোধী দলীয় নেতা ঘোষণা করে গেজেট জারি করা হয়েছে।

নির্বাচন নিয়ে বহু নাটকের জন্ম দেয়া জাতীয় পার্টির প্রধান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদও বঙ্গভবনে এসেছেন। বসেছেন, প্রথম সারিতে রওশনের পাশেই।

তিনি দরবার হলে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত সবাই করতালি দিয়ে ওঠেন, কাউকে কাউকে উচ্চ স্বরে হেসে উঠতেও দেখা যায়।

     

রোববার বিকাল সাড়ে ৩টায় মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান শুরু হবে, শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে প্রধানমন্ত্রী এবং পর্যায়ক্রমে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীরা শপথ নেবেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভার সদস্যদের দপ্তর বণ্টন রোববারই হবে।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাদের দায়িত্বও এদিনই বণ্টন করবেন সরকারপ্রধান।

নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিলেই গত নভেম্বরে গঠিত ২৯ সদস্যের নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার দায়িত্ব শেষ হবে।

যারা মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় উপদেষ্টা ছিলেন, মন্ত্রিসভার শপথের আগেই তাদের অব্যাহতি দেয়া হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী নতুন করে উপদেষ্টা নিয়োগ দেবেন।

শপথ অনুষ্ঠানের জন্য এবার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এক হাজারের মতো অতিথিকে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা ইতোমধ্যে বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন।

নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য ও অতিথিদের জন্য দরবার হলে সাজানো হয়েছে আটশর বেশি চেয়ার।

সামনের সারির চেয়ারগুলোতে যারা বসবেন তাদের নামের ট্যাগ ইতোমধ্যে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।

শপথ শেষে অতিথি ও নতুন মন্ত্রীদের জন্য থাকছে চা চক্রের ব্যবস্থা । তার আয়োজন পাশের মাঠে হবে।

আগের সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও সামনের সারিতে কোনো চেয়ারে তার নাম দেখা যায়নি বলে এক কর্মকর্তা জানান।

জাতীয় পার্টি এ সংসদের বিরোধী দল হলেও মন্ত্রিসভায় থাকছেন এ সরকারের কয়েকজন নেতা।

ঠিক কতোজনকে নিয়ে নতুন সরকার হচ্ছে জানা না গেলেও তাদের মধ্যে অন্তত ২৭ জন আগের সরকারে ছিলেন না বলে জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়োগ দেন। শনিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি সেই তালিকা অনুমোদন করেন। মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথের আমন্ত্রণ জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ফোন করা হয় শনিবার থেকেই।

২০০৮ সালের নির্বাচনে জিতে প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী নিয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।

ওই সরকারে না থাকলেও শেখ হাসিনার ১৯৯৬ সালের সরকারে উপমন্ত্রী ছিলেন।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ক্ষমতার বাইরে থাকা আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সপ্তম সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় ফেরে। ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করেন হাসিনা।

বিএনপি ও তাদের শরিকদের বর্জনের মধ্যে গত ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের ভোট হয়, যাতে ২৩১টি আসনে জয়ী হয়ে  আবারো নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় আওয়ামী লীগ।

দশম সংসদ নির্বাচনে ৩০০ সংসদীয় আসনে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

আর গত ৫ জানুয়ারি ভোটে নির্বাচিত হন ১৩৯ জন। বাকি আটটি আসনে পুনর্ভোট হবে ১৬ জানুয়ারি।

২৯০ আসনের গেজেট প্রকাশের পর গত বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণ করেন দশম সংসদের সদস্যরা।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।