আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিনি ফুড রিভিউ পর্ব ২> (নুডুলস, চা এবং শরবত)

সামুতে সেফ হবার জন্য সংগ্রাম করছি! দোয়া করবেন! নুডুলস : বিকালের নাস্তা হিসাবে আমার এক নম্বর চয়েস হইলো নুডুলস। সাধারণত দুই স্থানে খাই। শহিদুল্লাহ হলের পুকুর পাড় আর পলাশীর মোড়। দুই জায়গার মধ্যে কিছু মিল-অমিল আসে। যেমনঃ মিলঃ ১) এই দুই জায়গাতেই অনেক ভিড় থাকে।

অর্ডার দেয়ার অনেক পরে আপনি নুডুলস পাবেন। অনেকটা চাইনিজ রেস্টুরেন্ট টাইপ ব্যাপার সেপার। ২)দুই টাইপ নুডুলস পাওয়া যায়। ডিম ছাড়া ১০টাকা। ডিম থাকলে ২২ টাকা।

৩) বাসায় আমার ফেভারিট হইলো ম্যাগি নুডুলস। তবে শহিদুল্লাহ এবং পলাশীর মামারা মনে হয় কোকলা নুডুলস ব্যাবহার করে। অমিলঃ ১) শহিদুল্লাহতে নুডুলসের সাথে উপরে শসা-গাজর-পেঁয়াজ দিবে। পলাশীতে দিবে সস। ২)শহিদুল্লাহতে একটু আরাম কইরা বইসা খাওয়া যায়।

সাথে আছে পুকুর পাড়ের বাতাস। পলাশীতে দাঁড়ায় দাঁড়ায় খাইতে হইবে। ৩)পলাশীতে সবাই খাইতে পারে। মানে ভাইয়া-আপু একসাথে খাইতে পারে। শহিদুল্লাহতে আপুরা বেশি একটা আসে না।

সামারিঃ ২২ টাকায় বিকালের নাস্তা হিসাবে বেস্ট জিনিস হইলো শহিদুল্লাহ আর পলাশীর নুডুলস। চা : আর কিছু খাই না খাই, প্রতিদিন চা খাবোই। ১০-১২ কাপ প্রায় ডেইলি রুটিন আমার। বিরিখোররা যেমন আর কি,আমিও চা-অ্যাডিক্টেড। চা খাইতে ভালো লাগে, তবে বেশি ভালো লাগে চা খাবার নিয়তে এদিক সেদিক ঘুরতেঘারতে টং দোকানে চা খাইতে।

আজকে, এক টং দোকানে প্রথম বারের মতো অন্য টাইপের চা খাইলাম। কমলার চা। কমলা দিয়া চা বানানো যায়, ক্যামনে কি! যাই হউক, কমলার চা বানাইতে বললাম। খাওয়ার জন্য না, ক্যামনে কমলা দিয়া চা বানায় সেটা দেখার জন্য। রেসিপি সহজঃ কাপের মধ্যে প্রথমে লিকার দেয়া হয়।

এরপর যেমনে রঙ চায়ে লেবু চিপরায় দেয়, ওইরাম কইরে কমলার একটা কোয়া দেয়া হয়, ব্যাস হয়ে গেলো কমলার চা। স্বাদের দিক থেকে কোন পার্থক্য নাই, নরমাল লেবু-আদা চায়ের মতোই। টং দোকানের মামা, সাইফুল নাম, তাকে বললাম, মামা এই রেসিপি কই পাইসেন? সে হাসে, এবং বলে, এই তো পাঁচ দিন ধইরা কমলার চা বিক্রি করতেছি। আমি বলি, মামা এক কাজ করেন, শুধু কমলা ক্যান? আরো কিছু নতুন চা বানান। এই ধরেন, রঙ চায়ে যেমনে কইরা আদা কুটিকুটি কাইটা দেয়, তেমনি কইরা আপনি আপেল কাইটা দিবেন,নাম দিবেন আপেল চা।

যাই হউক, সামারি হইতেছে,এই টং দোকানের কমলার চা তেমন একটা ভালু না। তবে আদা আর লেবু চা ফাস্ট ক্লাস টাইপের। আমি আর আমার দোস্তরা প্রায়ই যাই। দোকানটার সামনে মোটামুটি ফাঁকা জায়গা আছে। সেখানে দাঁড়ায়ে, চা খাইতে খাইতে দেশ-বিদেশ-রাজনীতি এবং সাবেক প্রেমিকা- সম্ভাব্য প্রেমিকা-হবু বউ ইত্যাদি বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করি।

লোকেশনঃ পূর্ব রাজাবাজারের আইবিএ হোস্টেলের সামনে দাঁড়ায়ে কাউকে জিজ্ঞেস করতে হবে, ভাই, এখানে নাজনিন স্কুলটা কই? সে একটা গলি দেখায় দিবে আপনাকে। গলি ধরে দুই তিন মিনিট হাঁটতে হবে, চোখ রাখতে হবে রাস্তার বাম দিকে। তাইলেই পৌঁছে যাবেন ওই টং দোকানে। শরবত : ৬০/এ, কাজি আলাউদ্দিন রোড, পুরান ঢাকা। দোকানের নাম বিউটি।

বিউটি বললে প্রথমেই মনে পড়ে বিউটি পার্লারের কথা। তবে এই বিউটি হইলো খাবারের দোকান। এই দোকানের আমার সব থেইকা ফেভারিট জিনিস হইলো শরবত। লেবুর শরবত। ১২ টাকা দাম।

অর্ডার দিলে বানায় দেয়, উপরে কুচি কুচি কইরা বরফ দেয়া,আর এক পিস লেবু। এইটা একটা ব্যাপক জিনিস। দুপুর ১২টার দিকে কিছুই ভালো লাগে না। তবে এইটা খাওয়ার পর মনে মনে ফিলিংস হয়ঃ ধুস শালা, জীবন এইরাম সুন্দর ক্যান? সতর্কতাঃ আলাউদ্দিন রোডে আপনি যেদিক দিয়াই যান না কেন, অনেক ক্ষণ জ্যামে বইসা থাকতে হবে। ব্যাপার না, এক গ্লাস লেবুর শরবত খাওয়ার জন্য এইটা কোন ব্যাপার না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।