আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মর্যাদার লড়াইয়ে আবাহনীর জয়

পেশাদার ফুটবল লিগে সর্বোচ্চ চারবার শিরোপা জেতার রেকর্ড রয়েছে ঢাকা আবাহনীর। মোহামেডানের মতো করুণ দশা তাদের নেই। তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী দল না গড়েও সাফল্যের রেকর্ড তাদের রয়েছে। এবারেও দলে তেমনভাবে তারকা ফুটবলার না থাকলেও আবাহনীকে কেউ তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার সাহস পাচ্ছিল না। ফেডারেশন কাপে সেমিফাইনাল পর্যন্ত উঠেছিল।

কিন্তু শুরুতেই বিদেশি কোচ পরিবর্তন হওয়াতে সমর্থকদের দুশ্চিন্তায় পেয়ে বসে। আগের ম্যাচে গতিময় খেলা খেলে মুক্তিযোদ্ধাকে হারালেও লিগের প্রথম দুই ম্যাচে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। ব্রাদার্সের সঙ্গে ভাগ্যক্রমে জয়, দ্বিতীয় ম্যাচেই ফেনী সকারের বিপক্ষে ড্র। সেদিন যদি আবাহনী হেরেও যেত তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকত না। ইরানি কোচ আলি আকবর পৌর মুসলিমি বলেছিলেন, এ নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই।

আমার ছেলেরা ঠিকই গুছিয়ে উঠবে। অভিজ্ঞরা যা বলেন, তাই করেন। হ্যাঁ, লিগের তৃতীয় ম্যাচ থেকেই আবাহনীকে দেখা যাচ্ছে আবাহনীরূপেই।

মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে আবাহনী যে খেলাটা খেলে তাকে মৌসুমের সেরা বললেও ভুল হবে না। শনিবার আলি আকবর দৃঢ়ভাবেই বলেছিলেন, আগের ম্যাচে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে মোহামেডানকে হারানো খুব কষ্টকর হবে না।

ফেডারেশন কাপে মর্যাদার লড়াইয়ে জয় পেয়েছিল আবাহনী। তাই একটু ভয়ে ছিল প্রতিশোধ নিতে মোহামেডান না জানি মরণ-কামড় দিতে মাঠে নামে। তাছাড়া সাদা-কালোরাও আগের ম্যাচে গতিময় খেলা খেলে পুরো পয়েন্ট সংগ্রহ করেছিল। না, আবাহনী আবাহনীই। ফেডারেশন কাপের পর লিগেও মর্যাদার লড়াইয়ে মোহামেডানকে ১-০ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

আর এই জয়ে শিরোপা লড়াইয়ে ভালোভাবে টিকে থাকল তারা। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে গত কয়েক বছর ধরে আবাহনীকে সামনে পেলেই মোহামেডান যেন বলে লাথি মারতেই ভুলে যায়। যদিও বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে কাল এমিলিরা একেবারে নিষ্ক্রিয় ছিলেন না। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয় পাওয়ার মতো খেলা খেলতে পারেনি। বরং কৌশল খাটিয়ে অধিকাংশ সময়ে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে রাখেন সুজনরা।

বিশেষ করে দুই বিদেশি মরিসন ও ইব্রাহিম আইডু শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগকে চাপে রাখতে সমর্থ হয়। ১৭ মিনিটে এগিয়ে যায় আবাহনী। ডি-বঙ্রে ডানপ্রান্ত থেকে ক্রশ করেন মিশু। বঙ্ েদাঁড়ানো মোহামেডানের ডিফেন্ডার মিন্টু শেখ বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে সামনে দাঁড়ানো ঘানার ফরোয়ার্ড ওসাই মরিসন দুর্দান্ত শটে জালে বল পাঠান। ২২ মিনিটে সমতা ফেরাতে ব্যর্থ হন এমিলি।

প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক আক্রমণ চালালেও গোলে দেখা পায়নি মোহামেডান। অথচ আবাহনী ব্যবধান ২-০ করতে পারত। ৮৮ মিনিটে পেনাল্টি পায় তারা। ইয়াকো স্যামানিক শট নিলে গোলরক্ষক মামুন খান দৃঢ়তার সঙ্গে রুখে দেন।

এ জয়ে চার খেলায় আবাহনী ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করল। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে শীর্ষে রয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.