আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিলীনের পথে পাবনার ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প

কয়েক পুরুষের পেশায় টিকে থাকতে পারছেন না পাবনার সহস াধিক তাঁতি। উৎপাদিত তাঁতপণ্যের চাহিদা কমে যাওয়া ও দাম না পাওয়ায় বছরের পর বছর লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের। অনেকে লোকসান সামলাতে ভিটেমাটি, এমনকি সহায়-সম্বল বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। অব্যাহত লোকসান জীবিকার টানে পূর্ব পুরুষদের পেশা ছেড়ে বেছে নিতে হচ্ছে অন্য পেশা।

সাঁথিয়া পৌরসভাসহ উপজেলার সোনাতলা, দাড়ামুদা, ছেঁচানিয়া, নাড়িয়াগদাই, ধোপাদহ, তেঁতুলিয়া, পিয়াদহ, সাটিয়াকোলা, মামুথপুর, কাশিনাথপুর, দোগাছি নতুনপাড়া এক সময় তাঁতবস্ত্রের জন্য সুখ্যাতি অর্জন করেছিল।

এ সব এলাকায় বসবাস ছিল ২৫/৩০ হাজার তাঁতি পরিবারের। প্রচলন ছিল তিন ধরনের তাঁতের। তাঁতের লুঙ্গি, গামচা, শাড়ি সবই তৈরি করতেন তাঁতিরা। তখন উৎপাদিত পণ্যের বাজার ছিল। তাঁতিরা পরিবার-পরিজন নিয়ে দুমুঠো খেয়ে ভালোভাবেই দিন পার করতেন।

কিন্তু বর্তমানে হস্তচালিত তাঁত পণ্যের বাজার পড়ে গেছে। তাঁতিদের উৎপাদন খরচই উঠে আসে না। কয়েকজন তাঁতি জানান, বাপ-দাদার আমলের সেই ব্যবসা আর নেই। কারণ রং সুতাসহ অন্যান্য উপকরণের চরা মূল্যে হলেও উৎপাদিত লুঙ্গি, গামচা ও শাড়ির বাজার মূল্যে তুলনামূলকভাবে অনেক কম। ফলে লোকসান দিয়ে পথে বসতে হচ্ছে আমাদের মতো গরিব তাঁতিদের।

সাঁথিয়া গ্রামের জহুরুল ইসলাম বলেন 'তাঁতব্যবসা ভলো নয় বলে তিনি বাড়ির পাশে টঙ ঘরে মুদির দোকান দিয়েছেন। তার মতো অনেকেই পুরোনো পেশা ছেড়ে, দিন-মজুর রিকশা ভ্যান চালক অথবা ফেরিওয়ালার জীবন বেঁচে নিচ্ছেন। নিজের পুঁজি শেষ হয়ে যাওয়ার পরও মহাজনদের কাছ থেকে পুঁজি এনে শুধু মজুরির বিনিময়ে তাঁত চালিয়ে রাখছেন অনেক তাঁতি। দিনের পর দিন ঋণের বোঝা বাড়ছে। পরিবর্তন হচ্ছে না তাদের ভাগ্যের।

একটি সূত্র জানায়, সরকারি সাহায্য সহায়তা প্রকৃত তাঁতিরা পান না। এক শ্রেণীর অসাধু নেতা ও সংশ্লিষ্টরা ভুয়া তাঁতি সেজে নিয়ম ভঙ্গ করে নিজেদের মধ্যেই ভাগবাটোয়ারা করে নিচ্ছেন সবকিছু। যদিও কেউ বিশেষ ঋণ সহায়তা পান, বিনিময়ে তাদের দিতে হয় নির্দিষ্ট পরিমাণ উৎকোচ।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/index.php     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।