আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংলাপ উড়িয়ে দিলেন তোফায়েল

দশম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় পাঁচ বছরের আগে ক্ষমতা ছাড়বেন না বলেও জানিয়ে দিলেন এই মন্ত্রী।

তোফায়েল বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কোনো সম্ভাবনা নেই।

“সংলাপের কথা আমাদের না। এটা বিদেশিরা বলছে। ”

তিনি আরো বলেন, “একটি সরকার পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়।

এই সরকারও পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় এসেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আগামী পাঁচ বছর ঘোষিত কার্যকলাপ চালিয়ে যাব। ”

গত ৫ জানুয়ারি বিএনপিবিহীন নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

নির্দলীয় সরকারের দাবিতে হরতাল-অবরোধের পর থাকা বিএনপি ভোট বর্জন করে এখন সংলাপের মধ্যদিয়ে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে।

ভোটের আগে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বিএনপি না এলেও সাংবিধানিক ধারা বজায় রাখতে এই নির্বাচন করতে হচ্ছে।

ভোটের পর শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি যদি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ও সহিংসতার পথ ছাড়ে, তবে সংলাপে সমঝোতা হলে মধ্যবর্তী নির্বাচন হতে পারে।

এরপর খালেদা জিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে সংলাপের উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। অবরোধ প্রত্যাহার করলেও জামায়াতের বিষয়ে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এক্ষেত্রে কারো পরামর্শ চান না তিনি।

বর্তমান সরকার পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত- একথা এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বললেও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল  সংলাপের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিলেন।

ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিশন প্রধান ইউলিয়াম হানার সঙ্গে বৈঠকের পর ওই কথা বলেন তোফায়েল।

ইইউর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যও সংলাপের মধ্য দিয়ে সবার অংশগ্রহণে নির্বাচনের প্রত্যাশা জানিয়ে আসছেন।  

সরকারের ওপর বিদেশি কোনো ধরনের ‘চাপ’ নেই জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা সরকারকে সমর্থন ও অভিনন্দন জানাচ্ছেন। বিভিন্ন দেশও অভিনন্দন জানিয়েছে।

“আগামী পাঁচ বছরও কোনো চাপের মধ্যে থাকব না। ”

ইইউ’র মিশন প্রধানের আগে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।

গিবসনও তার সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে দেয়া সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন বলে তোফায়েল জানান।

রাজপথে বিএনপির হানাহানি ‘বন্ধ’ করাকে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য তোফায়েল বলেন, “তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে।

“নির্বাচনের পরে তারা টানা কর্মসূচি কেন বন্ধ করেছে? দেশে এবং দেশের বাইরে হত্যাযজ্ঞের প্রতি সমর্থন নেই বলেই তারা এগুলো বন্ধ করেছে। আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ালে লাভ হয় না বলেই তারা এসব স্থগিত করেছে। ”

উইলিয়াম হানার সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “জোটগতভাবে আমাদের সবচেয়ে বড় বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

আমাদের সঙ্গে তাদের অনেক বাণিজ্য চুক্তি আছে।

“কীভাবে তা বাড়াতে পারি, গতিশীল করা যায় এ নিয়ে আলোচনা করেছি। নির্বাচন তারা গ্রহণ করেছে। ”

ইউরোপের বাজারে জিএসপি সুবিধা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তোফায়েল।




সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।