আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভবিষ্যতে ক্রিকেটকে ধংস্ব করার যা যা করা যেতে পারে।

"" যে দুর্বিনীত, সে ভালো কথা বলতে পারে না" কনফুসিয়াস ।

সম্প্রতি ক্রিকেট ধংস করার জন্য শীর্ষস্থানীয় তিন দেশ মিলে সুন্দর এবং অদ্ভুদ একটা পরিকল্পনা করেছে।
পরিকল্পনাগুলো হল-
১) আইসিসি-র আয় থেকে ভারতকে আরও বেশি ভাগ দিতে হবে।
২) আইসিসি প্রেসিডেন্ট পদের পাশাপাশি চেয়ারম্যানের পদ তৈরি করতে হবে।
৩) তিন বছর অন্তর ভারতে কোনও আইসিসি টুর্নামেন্ট দিতে হবে।


৪) ভারত-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডকে অনেক বেশি ক্ষমতা দিতে হবে ।

সবচেয়ে মারাত্মক পরিকল্পনা হল - ২০১৫ইং সাল থেকে ২০২৩ইং সাল পর্যন্ত টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের ৯ ও ১০ নম্বর দলকে খেলতে হবে আইসিসি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে। আইসিসির শীর্ষ সহযোগী দেশগুলোর অংশগ্রহণে প্রথম শ্রেণীর ম্যাচের টুর্নামেন্ট এই ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ। বর্তমান টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে ৩৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ৯ নম্বরে আছে জিম্বাবুয়ে, ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দশে বাংলাদেশ। র‌্যাঙ্কিংয়ের আটে থাকা নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট ৮২, সাতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৮৭।

বছর শেষেও যে জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশ নয় ও দশ নম্বরে থাকবে, সেটি নিশ্চিতই। টেস্ট ক্রিকেটের বদলে এই দুই দেশকেই তাই চার দিনের ম্যাচ খেলতে হবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে। ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের চ্যাম্পিয়ন খেলবে আটে থাকা দলের বিপক্ষে একটি চ্যালেঞ্জ সিরিজ। এ সিরিজে জয়ী দল পাবে ৮ নম্বর দল হিসেবে টেস্ট খেলার সুযোগ।
তাই ভবিষ্যতে ক্রিকেট ধংস্ব করার জন্য ভারত আরও যে যে ব্যবস্থা নিতে পারে তা নিচে দেয়া হল-

১. ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যান ব্যাট করলে কোন বাউন্সার দেয়া যাবে না ।

দিলে নো বল হবে । বলের গতি ১৪০ এর বেশি হলে নো বল ।

২. ডি/এল মেথড ইন্ডিয়ার যখন ইচ্ছা হবে তখন নেবে ।

৩. ইন্ডিয়ার প্রত্যেক ব্যাটসম্যান কে ২ বার করে ব্যাটিং দিতে হবে ।

৪. তাদের সেরা বোলারকে ১৫ ওভার বল করতে দিতে হবে ।

বাকিরা বল করলে ৪ বলেই ওভার দিতে হবে । অন্য দলের সেরা বোলার কয় ওভার বল করবে সেটা ইন্ডিয়া ঠিক করবে এবং কে কখন বল করতে আসবে সেটাও ইন্ডিয়া ঠিক করে দেবে ।

৫. ইন্ডিয়ার বিপক্ষে যে দল খেলবে তাদের দল ইন্ডিয়া নির্বাচন করে দেবে ।

৬. একাদশে দুইজনের বেশি পেসার নেয়া নিষিদ্ধ ।

৭. ইন্ডিয়া ব্যাটিং আর বোলিং এর সময় আলাদা আলাদা একাদশ নিয়ে খেলবে ।

ব্যাটিং এর সময় ১১ জন ব্যাটসম্যান, বোলিং এ ১১ জন বোলার ।

৮. র্যাঙ্কিং এর প্রতিটা ক্ষেত্রে শীর্ষ স্থান গুলো ইন্ডিয়ান প্লেয়ার দের জন্য চিরস্থায়ী ভাবে বন্দোবস্ত করা থাকবে ।

৯. কোনো টস হবে না । ইন্ডিয়া তার ইচ্ছা মত আগে বল বা ব্যাট করবে ।

১০. টেস্ট ম্যাচে অন্য দলের ইনিংস ইন্ডিয়া ডিক্লেয়ার করে দেবে ।



১১. ফিল্ডিং এর সময় ইন্ডিয়া ২০ জন ফিল্ডার নিয়ে খেলবে ।

১২. যে দেশের যে প্লেয়ারকে ইন্ডিয়ার পছন্দ হবে তাকে ইন্ডিয়ার জাতীয় দলে খেলতে দিতে অন্য দল বাধ্য থাকবে ।

১৩. আইপিএল এর সময় কোন দল তাদের আইপিএল খেলা প্লেয়ারকে জাতীয় দলের জন্য নিতে পারবে না ।

১৪. ইন্ডিয়া বল করার সময় ওয়াইড এর সীমানা ১ ফুট করে বাড়বে আর বাউন্ডারীও ১০ মিটার করে বাড়বে ।

১৫. ইন্ডিয়া ব্যাট করলে ব্যাটে বল না লাগলেই ওয়াইড হবে আর বাউন্ডারি ১০ মিটার করে ছোট করা হবে ।



১৬. সমস্ত আম্পায়ার আর রেফারী বিসিসিআই সিলেক্ট করবে ।

১৭. ইন্ডিয়া ব্যাট করার সময় পাওয়ার প্লে হবে ১০ ওভার বেশি । ইন্ডিয়ার বোলিং এর সময় কোন পাওয়ার প্লে থাকবে না ।

১৮. প্রতি নো বলের জন্য ইন্ডিয়া দুইটা করে ফ্রি হিট পাবে ।

১৯. প্রতিটা আবেদনের জন্য ইন্ডিয়া ইচ্ছামত রিভিউ করতে পারবে ।

কিন্তু তাদের বিপক্ষে কেউ রিভিউ করতে পারবে না ।

২০. প্রতিটা ধারাভাষ্যকারকে বাধ্যতামূলক ভাবে ইন্ডিয়ার গুণগান করতে হবে ।

কি অসম্ভব লাগছে ??
হ্যাঁ জনাব, আইসিসির অদ্ভুত প্রস্তাবটাও এমনই অসম্ভব ছিল ।
শালা ভারত, অস্টেলিয়া ও ইল্যান্ড । কিক্রেটের তিন মিত্র শক্তি।

তোদের পরাজয় ঘটবেই।

পোস্টে অনেক ভূলভ্রান্ত্রি থাকতে পারে এজন্য ক্ষমাপ্রার্থি। আমি একজন নতুন ব্লগার। নিয়মিতই ব্লগ পড়ি। কিন্তু ব্লগ লিখতে পারিনা।

লিখতে গেলে ক আমার মাথায় কোন আইডিয়া আসেনা। কিন্তু কালকে নেটে ঘুরতে ঘুরতে এ লেখাটি পেয়ে গেলাম আর পছন্দও হল । তারপর কপি করে নিয়ে কিছু সংযোজন করে তারপর এ ব্লগটি দাড় করালাম।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.