লেখালেখি করার ইচ্ছা আমার দীর্ঘ দিনের
আমি যতদুর জানি, জামায়াত-শিবির একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল ক্যাডারভিত্তিক ইসলামী দল। এ দলের উপর যত বাধা-বিপত্তি, জুলুম-নির্যাতন আসুক না কেন এ দল এদেশের মাটিতে টিকে থাকবেই এবং আন্দোলনও করে যাবে। ইনশাহ্ আল্লাহ।
বর্তমান সরকার যৌথ বাহিনী দিয়ে যেভাবে চিরুনী অভিযান চালিয়ে নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করছে তা নজিরবিহীন। জামায়াতের কোন নেতা-কর্মীই আজ বাড়িতে থাকতে পারছে না।
জামায়াতের জায়গায় অন্যকোন দল হলে এতদিনে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত এটা প্রমাণিত । বি.এন.পির প্রথম সারির কিছু নেতা গ্রেফতার করায় তাদের অস্তিত্বই বিলীন হতে বসে, মাঠে কোন নেতা-কমী খুজে পাওয়া যায়নি আন্দোলনতো দুরের কথা। । কিন্তু জামায়াত-শিবিরের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এভাবে ৪/৫ স্তরের হাজার হাজার নেতা-কর্মী আজ কারাগারে বন্দী থাকার পরও তারা তাদের স্বাভাবিক সাংগাঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আলোচনা চক্র, পাঠচক্র, কৃতি ছাত্র-ছাত্রী সংবর্ধনা, শীতবস্ত্র বিতরণ এবং সরকার বিরোধী আন্দোলনসহ সকল প্রোগ্রাম সফলভাবে করে যাচ্ছে।
যেহেতু জামায়াত-শিবির একটি সুসংগঠিত গনআন্দোলমুখী একটি সংগঠন তাই বর্তমানে জামায়াতের উচিত জোট থেকে বের হয়ে এসে একক ভাবে আন্দোলন করা। কারন গত পাঁচ বছরে জোটে থেকে জামায়াতের কোন লাভ হয়নি। জামায়াতের প্রতিটি ইস্যুতে জামায়াত-শিবিরকে এককভাবে মাঠে আন্দোলন করতে হয়েছে বি.এন.পি কখনও এগিয়ে আসেনি এমনকি জোট গত আন্দোলনেও জামায়াত-শিবিরই অধিকাংশ সময় মাঠে একাই ছিল। যেমন গত ২৯ ডিসেম্বর "মার্চ ফর ডেমোক্রেসি" এর ডাক দিয়ে বি.এন.পি উধাও হয়ে গিয়েছিল আর জামায়াত-শিবির এককভাবে মিছিল করতে গিয়ে শিবিরের সাথী মনসুর ভাইকে শহীদ হতে হয়েছে।
আর এখন বিগত আন্দোলনের সকল দায়-দায়িত্ব জামায়াত-শিবিরের উপর চাপাচ্ছে সরকার ও হলুদ মিডিয়াগুলো।
এমনকি বি.এন.পিরও অনেক নেতা পরোক্ষভাবে জামায়াত-শিবিরের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছে।
আমি হলফ করে বলতে পারি জামায়াত-শিবির যদি জোট থেকে বের হয়ে আসে তাহলে বি.এন.পি সারা জীবন চেষ্টা করেও সরকার বিরোধী আন্দোলন জমাতে পারবে না আর আওয়ামী লীগও তাদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে পারবে সহজেই। আওয়ামী লীগও এটা ভালো করেই জানে বিধায় তারা জামায়াতকে জোট থেকে আলাদা করার জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে উঠে পড়ে লেগেছে। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।