আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাহারি প্লাস্টিক পণ্যের বিক্রি বেশ

অনুতাপ নিপীড়িত ব্যাথিত জনের শক্তিধরে অস্ত্রধারী শত সিপাহের

ঢা কা আ ন্ত র্জা তি ক বা ণি জ্য মে লা
বাহারি প্লাস্টিক পণ্যের বিক্রি বেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: ০০:০৯, জানুয়ারি ৩১, ২০১৪ | প্রিন্ট সংস্করণ শুধু প্লাস্টিকের বাটি, মগ, জগ, চেয়ার, টেবিল, র্যাকই নয়, বিভিন্ন ধরনের চেয়ার-টেবিল, স্কুলের বেঞ্চ, খাবার টেবিল, খাটের বিক্রিও ভালোবাণিজ্য মেলায় প্লাস্টিকের বাহারি পণ্যের বেচাকেনা বেশ ভালো। অন্য দোকানগুলোর তুলনায় প্লাস্টিক পণ্যের দোকানে সারা দিনই বেশ ভিড়। আবার দেশি প্লাস্টিক পণ্যের দিকেই বেশি আগ্রহ ক্রেতাদের। এই চাহিদাকে বিবেচনা করে নামকরা দেশি প্লাস্টিক পণ্যের প্রতিষ্ঠানগুলো প্যাভিলিয়ন ও স্টল দিয়েছে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধাতব পণ্যের পরিবর্তে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার বাড়ছে।

এ জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পণ্য বাণিজ্যিকভাবে উত্পাদন শুরু করেছে। দামও তুলনামূলক নাগালের মধ্যেই রয়েছে বলে জানান ক্রেতারা।
বাণিজ্য মেলায় প্লাস্টিক পণ্যের প্রধান ক্রেতা নারীরা। এবারের বাণিজ্য মেলায় প্লাস্টিকের বাটি, মগ, জগ, চেয়ার, টেবিল, র্যাক, টুল—সবই পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি প্লাস্টিকের সোফাসেট পর্যন্ত মিলছে বাণিজ্য মেলায়।

প্লাস্টিকের খাট আর ওয়ার্ডরোব তো আছেই। এ ছাড়া শিশুদের খেলনা অহরহই পাওয়া যাচ্ছে।
বিদেশের চেয়ে দেশি পণ্যের দিকেই বেশি আগ্রহ ক্রেতাদেরগতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে প্লাস্টিক পণ্যের বিকিকিনির এই চিত্র প্রত্যক্ষ করা যায়। দুুপুরে কথা হয় সরকারি কর্মকর্তা মেহের নিগারের সঙ্গে। তিনি জানান, ছুটির দিনের ভিড় এড়াতে তিনি কার্যদিবসে মেলায় এসেছেন।

প্লাস্টিকের কিছু তৈজসপত্র কিনতে বিভিন্ন দোকানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি।
নামকরা ব্র্যান্ডের প্লাস্টিক পণ্যের চাহিদা তুলনামূলক বেশি। মেলায় আরএফএল, বেঙ্গল, তানিন ও হ্যামকো ব্র্যান্ডের বিশাল প্যাভিলিয়ন রয়েছে। এ ছাড়া অন্য নিত্যপণ্যের সঙ্গে মেলায় আসা প্রতিষ্ঠানগুলো প্লাস্টিক পণ্যও বিক্রি করছে।
আরএফএলের দোকানে গিয়ে দেখা গেছে, দ্বিতল এই প্যাভিলিয়নের মূল আকর্ষণ হচ্ছে প্লাস্টিকের সোফাসেট, ওয়ার্ডরোব, ছোট আলমিরাসহ আসবাব।

একসেট সোফার দাম সাড়ে ১০ হাজার টাকা। ওয়ার্ডরোবের দাম চার থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকা। জুতার র্যাকের দাম আড়াই হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা। আর চেয়ারের দাম ৪০০ থেকে শুরু হয়ে ৭৫০ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া প্লাস্টিকের বালতি, থালাবাটি, জগ, টুল, পানির বোতল, টিফিন বক্স ইত্যাদি বিক্রি হচ্ছে।

ভিড় সামলাতে আরএফএলের প্যাভিলিয়নে একাধিক কাউন্টার খোলা হয়েছে।
ধাতব পণ্যের পরিবর্তে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার বাড়ছেতানিন বেস্টওয়্যারের প্যাভিলিয়নের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। এখানে তৈজসপত্রের পরিবর্তে চেয়ার-টেবিল, স্কুল-কলেজের বেঞ্চ, বাচ্চাদের চেয়ার-টেবিল, খাবার টেবিল, খাট, বাচ্চাদের দ্বিতল খাট, ময়লার ফেলার পাত্র বিক্রি বেশি হচ্ছে। এই দোকানে আসা আল সাবাহ একাডেমির শিক্ষক খায়রুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, তিনি তাঁর স্কুলের জন্য চেয়ার-টেবিল ও বেঞ্চ কিনতে এসেছেন। একটু যাচাই-বাছাই করার জন্য তানিনের প্যাভিলিয়নে এসেছেন।

দামে পোষালে ক্রয়াদেশ দেবেন তিনি।
বেঙ্গলের প্লাস্টিকের প্যাভিলিয়নেরও বেশ ভিড় দেখা গেছে। নারী-পুরুষনির্বিশেষে ক্রেতারা এই প্রতিষ্ঠানের পণ্য দেখছেন ও কিনছেন। একটি জগ ১০০ থেকে ৩০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আর মগ, থালাবাটি, টিফিন বক্স, বিভিন্ন আকারের বক্স মিলছে ১০০ টাকার মধ্যেই।


আর হ্যামকো নামের একটি প্লাস্টিক পণ্যের প্যাভিলিয়নে মাঝারি আকারের র্যাকের দাম ৪৫০ টাকা। আর ১৮০ থেকে ২৮০ টাকার মধ্যে ঝুড়ি পাওয়া যাচ্ছে। তবে চেয়ারের দাম ৫০০ থেকে ৭৫০ টাকা। এ ছাড়া মগ, থালাবাটি, বক্স তো রয়েছেই।
তবে মেলায় একটু ব্যতিক্রমী প্লাস্টিক পণ্য নিয়ে এসেছে গাজী টয়স।

শিশুদের বিভিন্ন ধরনের খেলনা ও সরঞ্জাম বিক্রি করছে এই প্রতিষ্ঠানটি। এসব খেলনার নামও বাহারি। হামটিডামটি, রকিং হাঁস, জিরাফ, হরিণ, ঘোড়া রয়েছে। এগুলোর দাম এক হাজার ৩৫০ থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা।
আর ‘সি স’ নামের খেলনার দাম এক হাজার ৪৫০ থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা।

‘রক্সি টু ইন ওয়ানের’ দাম এক হাজার ৫০০ টাকা। আর বিভিন্ন আকারের স্লাইডস মিলবে দুই হাজার ১০০ টাকা থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায়। শিশুদের প্লাস্টিকের দোলনা পাওয়া যাচ্ছে ৭৫০ টাকায়। বিক্রয়কর্মী জেরিন প্রথম আলোকে জানান, মূলত ছোট শিশুদের জন্য স্কুলে এসব খেলনা ব্যবহার করা হয়। তবে বাসাবাড়িতেও এখন এসব খেলনা নিয়ে যাচ্ছেন অভিভাবকেরা।


ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়াও বিভিন্ন দোকানে অন্য পণ্যের পাশাপাশি প্লাস্টিকের মগ, জগ, থালাবাটি, পানির পাত্র বিক্রি হচ্ছে। এসব দোকানে মূল্যছাড় রয়েছে। থাইল্যান্ড, ভারত, মালয়েশিয়ার দোকানগুলোতেও সীমিত পরিসরে প্লাস্টিক পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
এবারের মেলায় ৯৬টি প্যাভিলিয়ন, ৪৯টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ৩১৬টি স্টল, ১০টি রেস্তোরাঁর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
মেলায় এশিয়া, উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপ মহাদেশের ১২টি দেশ অংশ নিচ্ছে।

দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, ভারত, চীন, মালয়েশিয়া, হংকং, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, তুরস্ক ও সিঙ্গাপুর। মেলায় ২৮টি বিদেশি স্টল ও প্যাভিলিয়ন আছে। মেলা শেষ হবে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।