আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অরেগনের পথে – ৮ (উইন্সটন ওয়াইল্ড লাইফ সাফারি) - ছবি ব্লগ





পোর্টল্যান্ড থেকে প্রায় ২০০ মাইল দূরে অবস্থিত উইন্সটন সাফারি পার্কে যেতে সময় লাগে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা। সেই ব্রিটিশ কলাম্বিয়া থেকে শুরু হওয়া আই ফাইভ হাইওয়ের ব্যাপ্তি ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগো অতিক্রম করে সুদূর মেক্সিকো পর্যন্ত!
আমাদের গন্তব্যস্থল পোর্টল্যান্ড থেকে দক্ষিণ দিকে, যাত্রা পথে কিছুদূর গেলেই অরেগনের রাজধানী সালেম। আরও কিছুদূর এগিয়ে গেলেই দেখা মিলবে চোখ ধাঁধানো ফার্ম হাউজ ও ল্যান্ড স্কেইপ। মহাসড়কের দুপাশে গড়ে উঠা বিশাল আকৃতির ফার্ম হাউজের ব্যাপ্তি আমাদের প্রাথমিক গন্তব্যস্থল ইউজিন পর্যন্ত। ইউজিন অরেগনের তৃতীয় বৃহত্তম শহর, যাত্রা বিরতিতে গাড়ি থেকে নেমেই অসংখ্য অস্থায়ী তাঁবু ও ভ্রাম্যমান ভ্যান দৃষ্টি গোচর হলো।

পাহাড়ের পাদদেশে খোলা চারণ ভূমি বিধায় অনেকেই এই স্থান টিকে বেছে নিয়েছেন ক্যাম্পিং এর জন্য। পাশেই রয়েছে সশব্দে বয়ে চলা স্বচ্ছ ও উষ্ণ পানির পাহাড়ি নদ। রয়েছে মৎস শিকারিদের জন্য বিশেষ সুযোগ।

যাহোক ঘণ্টা খানেক বিরতির আবার রওনা হলাম আমাদের গন্তব্য স্থল উইন্সটন ওয়াইল্ড লাইফ সাফারি পার্কের উদ্দেশ্যে। দীর্ঘ ক্লান্তি নিয়ে যখন পৌঁছলাম, বেলা তখন প্রায় সাড়ে তিন টা।

দ্রুত চেক ইন শেষে ম্যাপ হাতে নিয়ে ঢুকলাম জীবন্ত চিড়িয়া দর্শনে। মেক্সিকান সহকর্মীর অনেক দিনের ইচ্ছা উলফ দেখবে! কিন্তু হায় আশেপাশে তো কোনো উলফের দেখা নাই। সাফারির ভেতরে গাড়ির ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৫ মাইল, ইতি মধ্যে সিংহ মশাইয়ের দেখা মিলেছে। হঠাৎ কিছুদূর যাওয়ার পর গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ালো দীর্ঘ শিং যুক্ত বন্য গরু! ভিতর থেকে শব্দ করা, হর্ন বাজানো (যদিও পার্কের ভিতরে হর্ন বাজানো সম্পূর্ণ রূপে নিষেধ), হাইবিম জ্বালানো সহ সব রকমের চেষ্টাই করা হয়েছে। তারপরও সে অবিচল! অবশেষে আমাদেকেই বিকল্প পন্থা অবলম্বন করে পিছু হটতে হয়েছে।

আরও কিছু দূর যাওয়ার পর দেখা মিললো আলাস্কান বিয়ারের ফাইট।
কিছুক্ষন পর আমাদের সবাইকে অবাক করে দিয়ে জিরাফ হাজির। ক্যাট ওয়াকও চললো বেশ কিছুক্ষন! চমৎকার ল্যান্ড স্কেপের মাঝে গড়ে উঠা এই পার্কে আরও দেখা মিললো পার্কেই জন্ম নেওয়া চিতা, স্থানীয় কুগার, উট (দেখতে কিছুটা কুৎসিত মধ্যপ্রাচ্যের গুলোর মতো না), আফ্রিকান হাতি, জেব্রা, বন্য মহিষ, আলাস্কান বাঘ ইত্যাদির। তবে বানরকে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে একঘরে করে রাখা হয়েছে। পার্ক থেকে বের হবার পথে আরেক বাঁধা! বন্য মহিষের দল।

কোনভাবেই গাড়ীর উইন্ডো খোলা যাবে না!

ঘণ্টা দুয়েক অবস্থানের পর সহকর্মীকে সান্তনা দিতে দিতে পার্ক থেকে বের হলাম।

পরবর্তী গন্তব্যস্থল বিখ্যাত ক্রেটার লেকের নিকটবর্তী কোন হোটেল! জিপিএস’এর দিকে তাকিয়ে দেখলাম ১২০.৬ মাইল! বিকাল ৬ টা, আশা করি আলো থাকতে থাকতে পৌঁছতে পারবো !
চলবে ………………

















 


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।