আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রজনন বিহীন প্রেম



আমি ভাই অর্থোডক্সিয়ান জনতার একজন। আমার কাছে প্রেম শেষ হয় বিবাহতে আর বিবাহ পূর্ণতা পায় সঙ্গমে। লজ্জা পাইলেন বুঝি " style="border:0;" /> ? তাহা হইলে দ্রুত পেজ ক্লোজ করিয়া দিন। আপনার জন্য ইহা পাঠ্য নহে

আমার মাঝে প্রেমভাব প্রবল। কেবল প্রেম করিতে মন চায়।

অতঃপর বিবাহ করিয়া সঙ্গম সাধন। কিছুদিন পরে বংশধর উৎপাদন করিয়া সাধু মেন্ডেলের জিনতত্ত্বের ধারা বজায় রাখা। 'দুঃখজনক' হইলেও জীবন ও যৌনতার সংগা আমার কাছে ইহাই।


এ জীবনে বহুজনকে ভালবাসিয়াছি। বলিতে দ্বিধা কি...এর মধ্যে সমলিঙ্গের বন্ধুও ছিল।

তাহাদের প্রতি আজও ভালবাসা আছে। কিন্তু জানিলাম, চাইলে তাহাদের সাথে সঙ্গমও করিতে পারিতাম (অবশ্য উভয়ের সম্মতি সাপেেক্ষে)। ইহাকে নাকি 'সমকাম' বলে। কিন্তু আমার কেবল নারীদের প্রতিই কামাসক্তি আছে এবং এর ফলস্বরুপ স্বামী হইতে জনক হইতে চলিয়াছি। জানিনা ইহা অস্বাভাবিক কিনা? আমার কাছে তো স্বাভাবিক বলিয়াই মনে হইতেছে।

'উদারপন্থী' অনেকের মতে হয়তো আমার চিকিৎসা দরকার...


সম্প্রতি নতুন একটি টার্মের সাথে পরিচয় ঘটিল, LGBT (Lesbian, Gay, Bi-sexual, Trans-Gender)। আমি ব্যপক পুলকিত হইলাম জানিয়া যে, এরা সবাইকেই ভালবাসিতে চায়। কিন্তু তাতে কি সমস্যা? আমিও তো বাসি। তারা অবশ্য একটু আগ বাড়াইয়া সকলের সাথে সঙ্গমের ইচ্ছাও পোষণ করে। কিছু কিছু সমাজ আবার এইটা সমর্থনও করে।

বাহ্ বাহ্। আমাদের মত "উদারপন্থী" ইসলামিক দেশে তাহাদের আবার প্রকাশনাও আছে - "রুপবান", যাহার ট্যাগ লাইন "আমাকে ভালবাসতে দাও"।

শুনিয়া মনে হইতে পারে সেইন্ট ভ্যালেনটাইন বা রোমিও-জুলিয়েটের আকুল আবেদন। আসলে এর মাঝে লুকাইয়া আছে তাদের দাবী "আমাকে বিকৃত-সঙ্গম করিতে দাও"। খুব কি ভুল বলিলাম? আপনি আবার লজ্জা পাইলেন !! " style="border:0;" /> " style="border:0;" /> মানে আরও পরিষ্কার করিয়া বলিলে পুরুষেরা পুরুষদের সাথে, নারীরা নারীদের সাথে অস্বাভাবিক এবং বিকৃত উপায়ে কামসুখ লাভ করিবে...এবং ইহাকে তারা বৈধ করিবার অভিপ্রায় বিভিন্ন দেশের রাজপথেও নামিয়া আসিয়াছে।

ভালো লাগিল ।


আমাদের দেশের উদারপন্থীরা ইহাকে প্রচ্ছন্ন সমর্থনও দিতেছেন। তাহারা "মত প্রকাশের স্বাধীনতা" নামে ইহাকে ডাকেন!! আমার মতে, ব্যক্তির মত প্রকাশের স্বাধীনতার পাশাপাশি সীমারেখাও টানা উচিত। নতুবা এই পোস্টের কোন কমেন্ট পছন্দ না হইলে আপনার গুষ্টি উদ্ধার করিবার অধিকারও আমার থাকিবে...কি বলেন? ডর খাইয়েন না। নির্দ্বিধায় কমেন্ট করিতে পারেন ।



বহুকাল আগে এক গল্প শুনিয়াছিলাম। কোন একদেশে এক লোক একাবার হাই তুলিতে গিয়া অসাবধানতা বশতঃ পাশে বসিয়া থাকা লোকের নাকে হাত দিয়া মৃদু আঘাত করিয়া ফেলিয়াছিল। লোকটিও মামলা ঠুকিয়া দিল। বিবাদী কহিল "স্বাধীন দেশে হাত ছড়াইয়া হাই তুলিবার অধিকার আমার আছে"। বিচারক শুনিয়া কহিলেন "অবশ্যই আছে, তবে তা অন্যের নাকের মধ্য দিয়া নয়।

" রায় আসিল "যেখান হইতে অন্যের নাক শুরু, সেখান হইতে আপনার অধিকার শেষ"। কাজেই আপনার প্রজননতন্ত্র আপনি কোন পথে ব্যবহার করিবেন তাহা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত বিষয়...এ লইয়া আপনি আমাকে প্ররোচিত করিতে পারেন না।

'সমকাম' বিকৃত না প্রকৃত তা বোঝার আগে বুঝিতে হইবে সৃষ্টিকে। জগতের সকল কিছুই সৃষ্টি হইয়াছে দুইলিঙ্গে। যাতে তাহারা পরষ্পর মিলিত হইয়া নতুন এবং পূর্বের হইতে উন্নত, অধিক সহনক্ষম জাতি গঠন করিতে পারে।

এতে করিয়া জগতে সৃষ্টির ধারা অব্যহত থাকিবে। নারী-পুরুষের লিঙ্গ বিন্যাসও এমনভাবে করা যাতে তাহাদেরকে মিলিত হইয়াই কার্য সম্পাদন করিতে হইবে (টেস্ট টিউব বেবী ব্যতিক্রম) আর বাই প্রোডাক্ট হিসাবে পাওয়া যাইবে কামসুখ। অনেকটা ইউএসবি পোর্ট আর পেন ড্রাইভের মত আর কি। জায়গামত ঠিক প্রবেশ না করাইলে যতই ক্লিক করি না কেন কোনই ডাটা ট্রান্সফার হইবে না। ।

দেহের অন্যান্য পোর্টগুলা কেবল 'লাইন আউট'। বুঝিলেন নিশ্চই!


এই বাই প্রোডাক্ট 'কামসুখ' পাওয়াকে কেন্দ্র করিয়াই গড়িয়া ওঠে সমকামীর মনোজগৎ। এখানে ভালবাসার কিছুই নাই। আছে কেবল সৃষ্টির স্বাভাবিকতাকে বিনষ্ট করিয়া অদ্ভুত এক কামচর্চা! যার পরিনতি কেবলই শূন্যতা। সমকামী নারী-পুরুষের মৃত্যুতে কাঁদিবার মত কেহ থাকিবে না।

তারা কখনই দেখিবেনা তারই দেহ হইতে সৃষ্টি আরেকটি শিশু তারই মত করিয়া ধীরে ধীরে বাড়িয়া উঠিতে। পৃথিবীর মধুরতম ডাক কখনই তারা শুনিবে না। কিন্তু তাতে আমার কি? আমার অবশ্যই অনেককিছু। কেননা তাহারা আমার মনস্তাত্ত্বিক এবং সামাজিক স্থিতিশীলতাকে হুমকিপ্রায় করিয়া তুলিতেছে। কারও বিকৃত আচার লইয়া আমার কোন অভিযোগ নাই যতক্ষন পর্যন্ত তা কেবলই ঘরের অভ্যন্তরে উক্ত ব্যক্তির একান্ত বিষয় হইয়া থাকে...রাস্তায় গড়াইয়া আসিলেই যত ভজঘট বাঁধিয়া যায়।



শেষ কথা বলি, যাহা ভাল, তা সবসময়ই ভাল আর যাহা খারাপ তা সবসময়ই খারাপ। সময়ে হয়তো ভালোকে খারাপ বা খারাপকে ভালো বলিয়া ভ্রম হইতে পারে। কিন্তু আখেরে স্বরুপ ঠিকই প্রকাশিত হইবে। ব্যাধিকে ব্যাধি হিসাবে জ্ঞান করিলে তবেই না চিকিৎসা হইবে। উল্টো স্বাস্হ্য ভাবিয়া বসিলে ধ্বংস ঠেকাইবে কে?

ধর্মীয় কোন রেফারেন্স এখানে ব্যবহার করিলাম না।

কেননা, ধর্মীয় মূল্যবোধ হইতে মানবিক মূল্যবোধকে আমি বড় করিয়া দেখি। মানুষই যদি না থাকে তবে ধর্ম অচল হইয়া যাইবে যে।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.