আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্টেম সেল জেল : দূর্ঘটনাজনিত মস্তিষ্কের ক্ষয়রোধে রাখবে ধারুণ ভূমিকা!

রহস্য

বিজ্ঞানীরা এমন একধরনের জেল উদ্ভাবন করেছেন, যা মস্তিষ্ককে ট্রমাটিক ইনজুরি থেকে রক্ষা করবে। এই জেলের মাধ্যমে মাথার বিভিন্ন ধরনের দূর্ঘটনা যেমন- কম্ববেট, গাড়ি (কার, বাস, ট্রাক ইত্যাদি) দূর্ঘটনা, উঁচু স্থান থেকে পড়ে যাওয়া, এমনকি গুলিবিদ্ধ হওয়ার মতো ক্ষয়রোধ করা সম্ভব। জেলটি দক্ষিণ ক্যারোলিনার ক্লেমসন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ নিং জাং উদ্ভাবন করেছেন। জেলটি মাথার আহত হওয়া অংশটিতে ইনজেক্ট করা হয়। ফলে ঐ অংশের স্টেম কোষের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।



মস্তিষ্কের ক্ষয়সাধন পূরণ করা আসলে একটি কঠিন কাজ। কারণ যখনই এর কোনো কোষ ক্ষতিগ্রস্থ হয় তখনই তা ফুলে ফেঁপে উঠে। এতে করে পার্শ্ববর্তী কোষেরও ক্ষতি হতে পারে। তাই এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া কোষের জায়গায় তাপমাত্রা কমিয়ে আনে অথবা ঐ অংশের চাপ দূরীভূত করে অন্তত দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্ষতি থেকে মস্তিষ্ককে রক্ষা করে। যাই হোক, এই পদ্ধতি সবক্ষেত্রেই সমানভাবে ফলপ্রসূ নয়।



undefined অতি সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আক্রান্ত স্থানে ডোনর ব্রেন কোষ প্রতিস্থাপনের কথা চিন্তা ভাবনা করেছেন। কিন্তু এই পদ্ধতিতে আবার মাঝেমধ্যে মস্তিষ্কের কোষের পূর্ণ গুনাগুণ পাওয়া যায় না অর্থাৎ চিকিৎসা ফলপ্রসূ না হওয়ার সুযোগ রয়েছে। আক্রান্ত স্থানে এই ডোনর সেল আবার সঠিকভাবে জেগে উঠতে পারে না। এর সম্ভাব্য কারণ হলো আক্রান্ত স্থানটি ফুলে ফেঁপে উঠা। তখন ক্ষতিগ্রস্থ স্থানে সীমিত রক্ত সরবরাহ থাকে যা কোষগুলোকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণে বাঁধা প্রদান করে।



যাই হোক, ডঃ জাং এর এই জেলটি ক্ষতিগ্রস্থ স্থানে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত করে প্রয়োগ করা যেতে পারে। ইঁদুরের উপর পরিচালিত তার আগের গবেষণাটি থেকে তিনি দেখিয়েছেন যে, এই জেল ব্যবহার করে আক্রান্ত স্থানে পূর্ণ রক্ত সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব। আর এই পদ্ধতির মাধ্যমেই ডোনার কোষের জন্য উপযুক্ত প্রয়োগ ক্ষেত্র তৈরি করাvoid(0); সম্ভব।

ডঃ জাং তার পরবর্তী সমীক্ষায়, অপরিপক্ব স্টেম কোষের সাথে এই জেল ও তাদের পূর্ণ মস্তিষ্ক কোষ হিসেবে বেড়ে উঠার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ মিশান। যখন এই মিশ্রিত পদার্থ দিয়ে প্রকটভাবে মস্তিষ্ক আঘাত প্রাপ্ত ইঁদুরের চিকিৎসা করা হয়, তখন দেখা যায় মাত্র আট সপ্তাহের মাঝেই তা পরিপূর্ণভাবে ভালো হয়ে উঠে।



আক্রান্ত হওয়ার বিভিন্ন পর্যায়ে এই জেল ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের মস্তিষ্কেরও আঘাতজনিত বিভিন্ন চিকিৎসায় আগামী তিন বৎসরের মধ্যেই আশানুরূপ ফল বের করা সম্ভব হবে বলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই মনে করছেন। অতএব, বিজ্ঞানীরা এই সেবাকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে সেটাই এখন আমাদের দেখার পালা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।