আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজারবাগী দেওয়ানবাগী ভাইয়েরা আপনাদেরকে পীর সাহেব বোকা বানিয়ে টাকা জমাচ্ছেন।

হযরত আবু সাইদ রাঃ হতে বর্নিত আছে যে , রাসূল সাল্লুল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লামকে এরশাদ করিতে শুনিয়াছি, হে আল্লাহ! আমাকে মিসকিন (স্বভাব) বানাইয়া জীবিত রাখুন , মিসকিন অবস্থায় দুনিয়া হতে উঠান এবং মিসকীনদের দলভুক্ত করিয়া আমার হাশর করুন। (হাকেম ৩২২/৪) গরীব হওয়া কোন অপমান বা লজ্জার বিষয় নয় । কিন্তু আপনাদের পীরের কাছে গরীব হওয়া অপমানের। রাসুল সাল্লুল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম কে বড়লোক বানিয়ে উনি নিজের অবৈধ সম্পদের (মুরিদদের পকেট কাটা) পাহাড়কে জায়েজ বানানোর ধান্দায় আছেন। কিছু হাদীস দেখেন।

হযরত আবু হোরায়রা রাঃ বর্ননা করেন যে, রাসূল সাল্লুল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন , দরিদ্ররা ধনীদের আধা দিন পূর্বে জান্নাতে প্রবেশ করিবে আর ঐ আধা দিনের পরিমান পাঁচশত বছর হবে। (তিরমিজি ২৩৫২) হযরত আবু দারদা রাঃ বলেন, আমি রাসূল সাল্লুল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লামকে এরশাদ করতে শুনেছি, আমাকে দুর্বলদের মধ্যে তালাশ কর । কেননা দুর্বলদের কারনেই তোমাদেরকে রিযিক দান করা হয় এবং তোমাদেরকে সাহায্য করা হয়। (আবু দাউদ ২৫৯৪) হযরত আবু হোরায়রা রাঃ বর্ননা করেন যে, রাসূল সাল্লুল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন , তোমরা গরীব লোকদেরকে ভালবাস , তাহাদের নিকট বস এবং আরবদেরকে অন্তর দিয়া ভালবাস। আর যে দোষ ত্রুটি তোমাদের মধ্যে আছে তা যেন অন্যদেরকে দোষারোপ করা হতে তোমাদেরকে ফিরিয়ে রাখে।

হাকেম ৩৩২/৪ সাঈদ ইবনে আবু সাঈদ রহঃ বলেন, হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লুল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে নিজের অভাব ও প্রয়োজনের কথা পেশ করিলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লুল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লামকে এরশাদ করিলেন, হে আবু সাঈদ ! সবর কর । কেননা আমাকে যে মহব্বত করে তাহার দিকে দরিদ্রতা এরুপ দ্রুত গতিতে আসে যেরুপ উচুঁ মাঠ ও উচুঁ পাহাড় হইতে ঢলের পানি নীচের দিকে দ্রুতগতিতে আসে। (মুসনাদে আহমাদ ৩৮৬/১) হযরত হারেছা ইবনে ওয়াহাব রাঃ বলেন, আমি রাসূল সাল্লুল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লামকে এরশাদ করতে শুনেছি, আমি কী তোমাদেরকে জান্নাতী কারা এই কথা বলব না ? (অতঃপর নিজেই এরশাদ করলেন,) জান্নাতী হইল প্রত্যেক দুর্বল ব্যাক্তি অর্থাৎ আচার আচরনের ক্ষেত্রে যে ব্যাক্তি বিনয়ী ও নম্র হয়; কঠোর হয় না আর লোকেরাও তাকে দুর্বল মনে করে। আল্লাহ তাআলার সহিত তাহার এমন সম্পর্ক রয়েছে যে, সে যদি কোন বিষয়ে আল্লাহ তাআলার কসম করে (যে অমুক বিষয়টি এইরুপ হবে ) তবে আল্লাহ তাআলা তার কসম এর লাজ রেখে তার কথাকে অবশ্যই পূর্ন করেন।

আর আমি কি তোমাকে জাহান্নামী কারা এই কথা বলব না? অতঃপর হুজুর সাল্লুল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই এরশাদ করলেন জাহান্নামী হল প্রত্যেক মাল সঞ্চয়কারী বখীল, কঠোর মেজাজ ও অহংকারী। (বুখারী ৬৬৫৭) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৪ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.