আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুগান্তরের বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় বসুন্ধরার দুই মামলা

মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করায় দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে দুটি মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে রাজধানীর ভাটারা থানায় মামলা দুটি করেন বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেড কোয়ার্টারের

অ্যাডভাইজার, ফ্যামিলি ট্রেজারার ময়নাল হোসেন চৌধুরী ও বসুন্ধরা গ্রুপের সিনিয়র অ্যাডভাইজার এ আর রশিদি। মামলা নম্বর যথাক্রমে ২২ ও ২৩। দুটি মামলায় প্রধান আসামি হলেন যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল। অন্য আসামিরা হলেন দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশক, যমুনা গ্রুপের পরিচালক সালমা ইসলাম, যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শামীম ইসলাম ও যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়_ বাবুলের মালিকানাধীন দৈনিক যুগান্তরের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন শিরোনামে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এবং তার ছেলে বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান সানবিরকে জড়িয়ে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, নীতিভ্রষ্ট এবং চরম মানহানিকর প্রতিবেদন ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে প্রচার করেন। ওই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদনগুলো বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং পরিবারের সদস্যদের দেশ, জাতি, সমাজসহ সবার কাছে হেয়প্রতিপন্ন করে তাদের চরম মানহানি এবং ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। ওই মনগড়া প্রতিবেদনে জনৈক সাবি্বর হত্যা মামলার রায় নিয়েও ভিত্তিহীন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই মামলার আসামিরা পূর্ণাঙ্গ বিচারে খালাস পেলেও প্রতিবেদনে আসামিদের 'খুনি' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এজাহারে আরও বলা হয়, সাবি্বর হত্যা মামলাটি আইনের নিজস্ব গতিতে পরিচালিত হয়েছে এবং মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ, যুক্তিতর্ক, ঘটনা পরিস্থিতি সব কিছু বিবেচনা করে আদালত ন্যায়সঙ্গত রায় দেন।

কিন্তু যুগান্তরের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়_ 'সাবি্বর হত্যা মামলার আসামিরা মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে খালাস পেয়েছেন'। এ তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ভাটারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফিরোজ কবীর জানান, বাবুলসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে_ তারা পরস্পর যোগসাজশে যুগান্তরের ইন্টারনেট সংস্করণে ৫, ৬ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন শিরোনামে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর সংবাদ পরিবেশন করেন।

 



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.