আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খাদ্য, হোমল্যান্ড, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড স্টোরেজ সিস্টেম, ফুড ডিস্ট্রিবিউশন, ফুড ফর এলাইভ এন্ড এন্টারটেইনমেন্ট। (পর্ব-৬)

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

আসিফ নামের অর্থ সমভূমি আর আমার প্রিয়তমা ও স্ত্রী মুন অর্থ চাঁদ।


সমভূমিতে থেকে পূর্ণীমার চাদের জোস্না আপনাদের কে বেশী দেখাতে চেয়েছিলেন? মনে আছে না ভুলে গেছেন? হুমায়ূন আহমেদ।
হুমায়ূন সাহেবকেও আপনারা কখনও ঠিকমত বুঝতেই চেষ্টা করেন নি। বুঝতে চেষ্টা করলে তারা থাকে কি করে? আপনার দেখতেন ঐ পাগলা ব্যাটায় এতো জোস্না দেখে কেনো? কি শাওন আপনার গলায় গাওয়া গানটি আর একবার শুনে দেখুন আর হুমায়ূনের চোখের জল দেখুন দেখবেন তিনি কাকে ডেকেছিলেনঃ

মরিলে কান্দিস না আমার দ্বায়....
......................................শাওনের কন্ঠে

আর শত চেষ্টা করলেও হুমায়ূন আর ফিরবে না। মানুষ জন্মাত্নরের পাকে নিজ কর্মদোষে বাঁধা পরে মহামানবরা একটু মাত্র পথ ঘাট দেখায় বা পথ সহয করে দিয়ে যেতে আসে। তারা চিরমুক্ত।

কি চেয়েছিলো হুমায়ূন?

একটু প্রেম। হুমায়ূন সন্তানের কাছে ছুটে গেছে। জাফর জাফর বলে কেঁদেছে। আর জাফর এমেরিকায় গেলে কখন? এখন বিজ্ঞানী বা অংকবিশারদ হয়ে আইনস্টাইন সাঁজতে চান। তারে ভাই তাওহিদে বিশ্বাসী হন।

তখন আর আপনার কাছের রতনটিকে দূরে খুঁজতে যাওয়ার দরকার পরবে না। হুমায়ূন রা সারাজীবন শুধু দিতেই আসেন। এজন্যই তারা অনেক বেশী স্পেশাল। মনের স্পেস বড় না করে যদি অহংকারকেই বয়ে নিয়ে বেড়ান তাহলে মাইন্ড স্পেস কিভাবে বাড়বে ভাই? নিজের মনের এতো কাছে যিনি থেকে থেকে আপনাকে সারাজীবন কি যেনো কলম দিয়ে লিখিয়ে চলে সেই হুমায়ূন আর কোনো দিন হয়তো আপনাদের সংসারের বোঝা হতে আসবেন না। এখন না হয় একটু সবাই সবার সাথে হেসে কথা বলুন।

বাংলাদেশী জাতকে যিনি দিবানিশি হাসিয়ে হাসিয়ে আপন করে নিত দিদ্ধা বোধ করেন নি। তার প্রস্থানের পর হুমায়ূন এর পরিবার কি একসাথে খেতেও ভুলে গেলেন?

শ্রীমতি মমতা ব্যানার্জি আপনাকে রামকৃষ্ণ সাহেবের জন্ম তারিখের দিনও অনূরোধ করেছি যে বাংলাকে আর বর্ডার নামের রেখা মুছে দিয়ে আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের একটু সুখে দুঃখে একসাথে প্রেম বিনিময় করে জীবনে একটু শান্তিতে বাঁচতে দিন।
সুবাস কে ভোলেন অসুবিধা নাই। জৈতী কে ভোলেন অসুবিধা নাই। সুচিত্রা তার নীতি একটু সামান্য ভেঙে তার পরম পূজনীয় রামকৃষ্ণের কথায় আপনাকে কাছে নিয়ে যে চোখের ইশারা দিয়েছেন তা ভোলেন অসুবিধা নাই।

রামকৃষ্ণকে ভোলেন অসুবিধা নাই। কিন্তু দেখুন আজ আসামবাসী কোনো অপরাধ না করেও বিনাদোশে আসামীর মতো কেঁদে কেঁদে মহেশ রঞ্জন সোমের কন্ঠের গান হৃদয় দিয়ে বুঝতে চেষ্টা করছে। সেই গানটি শুনে দেখুন কি শুনতে পারেন দেখুন তোঃ

বড় আপন ভেবে তোমায় ডাকি ভগত বিলাসী....

আমি ধন চাই না, মুক্তি চাই না, শুধু পদ অভিলাসী,
দ্বিন ভক্তে দেখা দাও হে আসি ভগত বিলাসী.........
সখা হে... প্রিয় হে...
দেখা দাও হে আসি....
রামকৃষ্ণ..................................

নয়নাভিরাম মোর নয়নাভিরাম
এসো রাম কৃষ্ণ মোর নয়নাভিরাম
এসো যশোদা দুলাল
এসো রঘুপতি শ্যাম

এতো সুর সাধনা বৃথা যায় কিভাবে বন্ধু? সুর সাধনা কি রাজনীতি করে না প্রেম দিয়ে সেঁধে বেড়ায় একটু শান্তি নামে পরম চির প্রশান্তি। সেই প্রশান্তিকে পায়ে ঠেলে আপনারা ব্রাজিলের ফুটবল বিশ্বকাপের ফুটবল বানিয়ে রাখবেন। আসুন মমতা।

আমরা মাঝে মাঝে আপনাদের মমতাহীন হয়তো করে দেই। তাতো আপনাদের বাঁচানোর জন্যই বন্ধু! একটু নিজেরা কষ্ট করে বুঝে নিলে কি হয়। কতো বার আর দিল্লী দোঁড়ে পালিয়ে নিজেকে ভুলে থাকবেন আপনজন। দিল্লী থেকে যখন বাংলাদেশের জাবাইবাবাজী ইন্ডয়ান প্রেসিডেন্ট সাহেব যখন প্রনব বুঝতে পারবেন তখন সে সুরের টানে কোনো প্রেসিডেন্ট নামক মুখোশ ঢেকে রাখতে পারবে না। এই হোক আমাদের জ্ঞান, সাধনা, প্রেম ও সত্যের আবির্ভাবের চির বসন্ত গোলাপ।

বন্ধু! ভারতীয় হিন্দু জাতটার মতো আর কোনো জাত আছে যে তারা নামে নামে এতো দেবতা ঠাকুর নিয়ে ঘুরে বেড়িয়ে কোনো দিনো সাম্রাজ্যবাদের নামে মিথ্যে ও জঞ্জালের দিকে ছুটে যেতে চাননি। শুধু কঁপালে একটু সীদুর পরে স্বামীর বুকের রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখতে চেয়েছেন আর নিজের স্বত্বীত্ব কে দেব জ্ঞানে রক্ষা করতে চেয়েছেন। এতো দেবতা ঠাকুর যাদের মনে দিবানিশি বিচরন করে তারা ডাকলে গোলাপ কেনো সব ফুল একসাথে ফুটাতে পারে। এমন কি গোলাপ ফুলে মোসলমানের রং মাখাতে একটু চেষ্টা করলেও তাও পারে। তাই তো আমার পরম ঠাকুর নজরুল বলে ছিলেন আর আমাদের বরিশালের সন্তান মানবেন্দ বন্দপাধ্যায় তার গলার ঢেউ তুলে গেয়েছিলেন.

গোলাপ ফুলে রং মাখাতে হয় যদি হোক ভুল।


তুমি নাই পরিলে নোটন খোপায়
চৈতি চাঁদের দুল। ।

যেমনি আছে অমনি থেকে,
জনম ভরে একটু ডেকো.........
.........................................এতো ডাক যদি তিনি শুনতে না পেতেন তাহলে তো তিনি পরমঈশ্বর হবার অধীকার রাখতেন না এজন্যই তাওহিদের ভগবান এক ও অদ্বিতীয়। তিনি কাউকে জন্ম দেনও নি জন্ম নেনও নি। এই একটি লাইন হলো সুরা একলাস থেকে নেয়া।

এই একটি লাইন বুঝলে বুঝবেন দেবতা কে? আর সুরা একলাস পুরো চারটি চরন পরলে বুঝবেন তাওহিদ কি?

আল শামসু আল কামারু ইযাজ জুদান। ফাবে আইয়ে ওয়ালাহু বব্বীকুমা তুকাজজিবান।
.......................................................................সুরা আর রহমান

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.