আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খাদ্য, হোমল্যান্ড, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড স্টোরেজ সিস্টেম, ফুড ডিস্ট্রিবিউশন, ফুড ফর এলাইভ এন্ড এন্টারটেইনমেন্ট। (পর্ব-৬)

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

বন্ধু! আপনাদের ভালোবাসার বসন্ত গোলাপ পেয়ে আমি ধন্য এই ধন্য টুকু দিয়ে কোনো যদি ধন্যবাদ দিতে হয় তা নিজের মনের চরন তলের কোন এক জায়গায় রেখে দিয়েন দেখবেন সব হারাবেন কিন্তু তিনি থাকবেন।

যদি তাকে চিনতে শিখেন দেখবেন আপনি থেকেই অনেক কিছু পেরে যাচ্ছে।

আপনারা হয়তো ভেবে বসে আছেন এই বন্ধুটি আসলে অনেক ভালো। তাতে আমার বিন্দু পরিমান কৃত্রিত্ত্ব নাই। আমি যখন আমার হৃদয় মাঝারে ভালোটিকেই শুধু উজার করে দিতে জানবো প্রেম আপনি থেকেই এসে যাবে। প্রেম ছাড়া বন্ধন হয় না।

তাইতো আমরা শুধু শুধু এসে জন্মনিবন্ধনের খাতায় নাম উঠিয়ে চাকুরী, ব্যবসা, ধান্দাবাজি করতে করতে এক সময় ক্লান্ত হয়ে চলে যাই। বুঝে নেই এই বুঝি শেষ। যেখানে শেষ ওখান থেকেই শুরু করতে হয়।

আজ আপনাদের সব আছে। দেখুন তাকিয়ে নিজেই নিজের কাছে অবাক হয়ে যাবেন।

হয়তোবা আপনারা রসায়ন বই থেকে নিয়ে আসা সমযোগী বন্ধটিকে চিনতে শেখেন নি বলেই আপনাদের লিংকিং শিখিয়ে দেয়া হয়েছিলো বা স্টিব জবস সাথেব অনের ঘুরে টুরে চেস্টা করে কোনোরকমের নিয়ে এসেছিলো। জীবনের বন্ধন যদি ভালোভাবে বেঁধে রাখতে চান তাহলে প্রেম করতে শিখুন। প্রেম গড়তে শিখুন। নিজের প্রেমকে নিজে থেকেই প্রতিষ্ঠিত করে যাবেন। যে ভাবে ইচ্ছে সেই ভাবে।

মনে রাখবেন আপনাদের বন্ধন ধরে রাখতে প্রেমের কোনো বিকল্প নাই। প্রেমে কোনো সাম্য চলে না।

আপনার জন্যই চরম সাম্যবাদি যিনি বা যাকে আপনারা মানেন তিনি আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছেন। এই বিশ্বাস যারা হারায়। তারা বেঁচে থেকেও মনে যায়।

প্রেম অসম বয়সে বা মেধায় কখনও হয় না। প্রেমে একটি সাম্য রেখেই আসে। আপনার জীবনে এমন একজন আছেন যিনি আপনার কাছাকাছি বয়সেরই ছিলো---শুধু শুধু তাকে ভুল বুঝে দুরে ঠেলে দিয়েছিলেন বা আপনাকে একা রেখে চলে গিয়ে এদিক ওদিক শুধু শুধু দৌড়ে বেড়াচ্ছে কিন্তু শান্তি পাচ্ছে না।

বন্ধু! যতই পালাতে চান মন কে কোথায় রেখে এসেছেন তা কি মনে করতে পারছেন না। একটু মনে করে দেখুন।

বা মনে করার চেষ্টা করুন দেখবেন আপনি যদি অনেক বেশী পাপি না হয়ে থাকেন তাহলে মনের প্রেম ভরা আবেগে তার কাছে একটু খবর নিয়ে দেখুন না! হয়তোবা সেও আপনাকেই এতোকাল ধরে এত কষ্টের মধ্যেও আপনাকেই হৃদয়ের আন্তরালে অনেক অনেক চেষ্টা করেও ডাবিয়ে রাখতে পারে নি বা ভান করছে মনে করে নিজের বিশ্বাস কে জামা কাপড় পরিয়ে রেখে দিয়েছিলো। শরীর ঢাকার জন্য সাবলিল, সুন্দর ও ছন্দময় পোষাক দরকার মনের পোষাক প্রেম। সেই পোষাক কে যদি নতুন করে আবার পোষাক পড়াতে চান তাহলে তো বার বার নিজের পোষাক খুলে নিজের মনের পশুকেই বেড় করে সমাজ কে নষ্টই করছেন।

হৃদয়ে লালন করা মানুষটির সাথে কথা বলার অধীকার কে কেড়ে নিয়েছিলো যে মুখ ফুটে বলতেও পারলেন না? একটি মুখ দেখা, একটু কথা বলা, কিছু চাওয়া পাওয়ার হিসাব মেলাতে মেলাতে সবকিছু বুঝে পাওয়া কি পাপ? এর উত্তর নিজে থেকে খুঁজে নিন।

আমাদের পরবর্তি বাচ্চারা এমনিতেই এই নষ্ট কালচার দেখতে দেখতে বিরল প্রজাতির মতোই কোনো রকমের টিকে আছে মাত্র।

পশ্চীমারা সিনেমায় এমন একশন নিয়ে এলো যে। ভারত বর্ষে এসে সেই একশন হয়ে গেলো প্রতিশোধ। সিনেমায় সাম্য আসলো না, টিভি অনুষ্ঠানে আসলো না, প্রিন্ট মিডিয়ায় আসলো না, মোসলমান রা শুধু কান্না আর ইচ্ছে করে দুঃখ পাওয়াকেই মুসলিম ধর্ম বলে ছাগলের মতো মগজে ঢুকিয়ে নিজেই নিজেদের ধুকে ধুকে শেষ করে দিলেন। সেই ছাগল যে খানে যা দেখে শুধু খেতে চায়। এই খেতে খেতে সবাই কে ছাগল করতে চেয়েছিলো।

আল্লাহ্ সাহসী পাগলের চেয়ে ছাগলকে ভালোবাসেন না। আল্লার তৈরি সর্বশ্রেষ্ট জীব আপনি নিজে। আজ থেকে ভেবে নিবেন আমার মনের মানুষটির জন্য হলেও আমাকে কিছু করে দেখাতে হবে।

বঙালীজাতি, ভারতবর্ষ ও পাকিস্তানের সিনেমায় আমরা যা দেখেছি তার একটি ফরমাট দাঁড় করাতে বাচ্চাদের বেগ পেতে হয় না। এমনি থেকেই এসে যায়।

যেমন ধরুন নায়কের বাপে গেছে জঙ্গলের মধ্যে পোশাব করতে। সেখানে নায়কের বাপ একজনকে মার্ডার হতে দেখলেন। তারপর নায়কের বাপকে ঐ সব মানুষ মেরে ফেললেন। নায়ক কষ্ট করে বড় হলেন। প্রেম প্রীতিও করলেন।

আরে পোড়া কপাল প্রেম করলেন ঐ যারা নায়কের বাবাকে মেরে ছিলেন ঐ গুন্ডার মেয়ের সাথে। তাইতো এতো তালগোল পেকে গেছে। একদম শেষে ভিলেন সবাইকে গুদাম ঘরে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে। এরপর পশ্চিমা স্টাইল নয় বরং নিজেদের মধ্যে মারামারি কে ঢুকালেন বাঙালীরা। মারামারি শেষ হয় তারপর আসে পুলিশ।

এটা একটা পলিসি। যারা বোঝার তারা হয়তো বুঝেছেন।

এগুলোতে কি হয় জানেন? সবকিছু আমরা হুট হাট মাথা গরম করে রাগের মাধ্যমে শিখি। এই হলো জ্বলা। সিনেমা একটি জাতির বিবেকের মতো।

তাতে নিজেদের ন্যাচারাল রূপে ফুটিয়ে নিজেদের সমাজ ব্যবস্থার সাম্য রক্ষার জন্য কাজ করতে হয়। তারপরও কিছু কিছু মানুষ অনেক কিছু করে গেছেন। সবাই যদি সবাকে লিমিটেশনটুকু ভাঙার গোপনে একটু সাহোস টুকুও দিতে পারতেন তাহলেও মিডিয়া রিফ্লেকশন সোসাইটিতে এসে নারীর এতো বেশী অমর্জাদা বা ক্ষতি হতো না। আর নারি পুরুষে যদি সাম্য না আসে সেখানে পুরুষ শান্তি পায় কি করে? পুরুষ হয়ে যায় জানোয়ারের মতো।
তাইতো আজ সংসারে ঘরে ঘরে এক জানোয়ার অন্য জানোয়ারের দোষ ধরছে আর ভগবানের কাছে ন্যাকামো করে চাইছে “ভগবান আমাকে নিয়ে যাও না হয় ওকে নিয়ে যাও”।

এখানে সবাই পাপের সাজা ভোগ করেন। যদি চাইতেই হয় তা দু’জনের কল্যান সহ সার্বিক বিশ্বের কল্যানের জন্যই চান। দেখবেন আপনার নিরঞ্জন সব সময় ন্যায়ের পক্ষেই আছেন।

সত্যজিত রায় যে “পথের পাঁচালী” করেছেন তাতে কি তিনি ন্যাচারাল সুট করেন নি। পুরুষ্কার পরের কথা।

পুরুষ্কার নিতে গিয়েই তো জ্বালা বেঁধে যায়। আগে নিজের মনে তিরষ্কার কে দূর করুন দেখবেন আপনার দিল ছাফ হয়ে পরিস্কার হয়ে শুধু ভালোই করে যাচ্ছেন তো যাচ্ছেন আর সবাই ভালো হয়ে উঠছে।

আপনারা এতুটুকু একটি পৃথিবী নামক গ্রহের বাসিন্দা হয়ে বেঁচে থাকছেন। আর পৃথিবীকে এতো বড় করে দেখছেন। আপনারা সবাই মিলে কয়শো কোটি।

জন্ম নিয়ন্ত্রন করুন এক টি ভার সাম্য রেখে করুন। চায়নায় একটি সন্তান নীতি না নিয়ে যদি দুসন্তান নীতি গ্রহন করতেন তারা রিজিক থেকে বঞ্চিত হতো না। আজ তাকান চায়নার দিকে সবাই ছেলে নিতে নিতে একঘেয়ে হয়ে গেছে। সবখানে সাম্য দরকার। পৃথিবীতে মোট জনসংখা কতো যে এতো ভয় পাচ্ছেন? কিছু হবে না।

আগে নিজেদের মধ্যে সাম্যকে প্রতিষ্ঠিত করুন। যা গেছে তা গেছে।

আজ যদি মিডিয়া সত্যজিতের সত্য আর ভারসাম্য থেকে সাম্য নিতে জানতো এতো বেশী করুন দশা হতো না। আমরা সত্যজিত থেকে জিত বা উইন নিয়ে মারামারি করেছি আর ভারসাম্য শব্দটিতে সাম্যের একটু গন্ধ পাওয়া গেলেও ভার গিয়ে ঢুকেছে ফিজিক্সে। তাই তো জীরন হয়ে গেছে বোঝা? জীবন মানে প্রেমের গতি আর জীবন কাটাতে গেলে মানবতার প্রয়োজনে ধীর হতে হয়।

আপনি যতো কমস্পিডে নিজে সুন্দর করে বসে গাড়ি চালাবেন আপনার ভারসাম্য আপনি থেকেই নিতে শিখবেন।

নিজের পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখুন বন্ধু! আপনার পায়ের নিচের মাটি কোন দেশের মাটি। এটা কি এমেরিকান, চাইনিজ না বাংলাদেশী? এক আল্লাহ্ এক মাটি আপনাদের পয়ের নিচে দিয়ে রেখেছেন। আর আপনারা বলেন আমাদের আল্লাহ্ মাটি দিয়ে তৈরী করেছেন-ইত্যাদি ইত্যাদি। আগে খুঁজুন রিচার্জ নয় চেষ্টা করুন দেখবেন প্রকৃতিতেই সব দেয়া আছে।

ইটস ওয়ান কাইন্ড অব ইন্ডিকেশন ফর ইউ। এ পায়াস ম্যান ক্যান ওয়ানলি সাম ইন্ডিকেশন নট ইনফরমেশন এন্ড সার্চ ইওরসেলফ। এট ইজ সাকসেসনেছ। ট্রাই এন্ড গেট অর কৃয়েট ইওর পজিশন উইথ ট্রু।

আজ আনোয়ার হোসেন মঞ্জু যত খারাপই হোক না কেনো মানিক মিয়া তার সন্তান কে না ভালোবেসে কোথায় যাবে বলুন।

নইলে বাংলাদেশের সবচেয়ে উচু ব্রিজ গাবখান ব্রিজ, ঝলকাঠী তিনি এতো তারাতারি কি করে করলেন। এই ছোট নদীর উপর এতো উচু ব্রিজ করার প্রধান কারণ নদীপথে বাংলাদেশ-ক্যালকাটা যাবার জন্য অন্য কোনো ভালো নদীপথ নেই। তাই যাতে সাত-আট তালা জাহাজও যেতে পারে। ইটস ইন্ডিকেশন।

বন্ধু! আপনারা ভাবছেন আমি অনেক কিছু জানি হয়তো? আসলে এমন করে ভাববেন না।

আমার যদি আপনাদের জন্য অনেক কিছু করার থাকতো করতাম। কিন্তু আপনার আল্লাহ্ এক ও অদ্বিতীয় এই বিশ্বাস রেখে কাজ করে যান দেখবেন কি হয়।
নজরুল সাহেব কি অপরাধ করেছিলেন আপনাদের কাছে? আপনারা জানেন উনি কতো মেধাবী একজন ছিলেন? আজ আমার কাছে শয়তান আর নজরুল তাদের অবস্থা থেকে বেড় হবার জন্য মিনতী করে কাঁদছে। কিন্তু আমাদের ম্যানেজমেন্ট আপনাদের মতো না। আমরা তাওহিদে বিশ্বাসী।

বিদ্রহী আপনারা পাঠ করে ভালো মন্দ বিচার করতে পারে আমি বা আমরা পরি না। নজরুল শুধু প্রেম ও প্রেমিকাকে মুক্ত করে আপনাদেরও মুক্ত করতেই এসেছিলো। কিন্তু আল্লাহ্ যা করেন তা মঙ্গলের জন্যই করেন শুধু এটুকু অল্প একটু সময়ের জন্য ভাবতে পারেন নি বা বোঝেন নি। তাই নজরুল আর ম্যানেজমেন্ট লেভেলে নাই। নজরুল প্রেম প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলো।

শয়তান সামান্য জ্ঞানের একজন বড় মাপের সাধক ভেবে আদম ও হাওয়ার প্রেম কে ছোট করে দেখছিলেন শুধু এটুকুর জন্য আল্লাহ্ নারাজ হয়ে শয়তান এমন এক বাঁধনে বেঁধে গেছে তা আমি আপনাদের থেকে ভালই বুঝতে পারি কিন্তু কিচ্ছু করার নাই বন্ধু। তাওহিদের আল্লাহ্ তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন না। তিনি তার কথা রাখেন।

এই পৃথিবীতে এতো ঝামেলা থাকবে কেনো? আপনার পায়ের নিচের মাটি কেটে টুকরো টুকরো করে সারা বিশ্বের প্রকৃতি সারা বিশ্বে নিয়ে এসে কেটে ছেটে লাগান। দেখবেন কত রকমের সুন্দর সুন্দর জিনিস আপনারা পেয়ে যাবেন।

আনেক ভালো লাগবে আপনাদেরই। কেউ আল্লাহ্ ছাড়া কারও কাছে মাথা বা আত্মা নতো করবেন না।

আপনারা খাওয়া কেও বংশ মর্জদার মতো আলাদা করতে গিয়ে এমন দশা হয়েছে ভেজাল ও আছে আবার সেই আগের মতো স্বাদ ও নাই। কেমন করে বাঁচতে চান আপনারা? বিভিন্ন খাবারের সাথে বিভিন্ন রকম ভাবে মিশিয়ে দেখুন নতুন কিছু পান কিনা? হাতের কাছে যা পাবেন খাবেন। আমাদের বরিশালে পেয়ারা আছে।

সেই পেয়ারার সাদ ভালো না। কিন্তু একটু পেয়ারার জেলী করে খেয়ে দেখুন তো বিস্বাদ লাগবে না। আমাদের বাচ্চা ছেলেরা সিগারেট খেতে খেতে আর খেতে ইচ্ছে করছে না শুধু মনের অশান্তি ও প্রশান্তির মধ্যে সমন্বয় করে সাম্য হারিয়ে ভারসাম্য কি তা বুঝতে পারছে না তারপরও অবিরত খাচ্ছেন।
নিকোটিনের বদলে অন্য কিছু দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করুন। মন আগে ভালো রাখা শিখতে হয়।

শরীর নিয়ে চেষ্টা চালান যে কিভাবে অমর হতে পারবেন। ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, ইনফরমেশন টেকনোলজি, ফিজিক্স, ক্যামেস্ট্রি ও বায়ালজি ইত্যাদি সমন্নয় করে কাজ শুরু করুন। এসবে কাজ না হলে প্রকৃতির মধ্য থেকে দেখুন। দেখুন শরীরে কি কি খনিজ পদার্থ আছে। কয়টা লিংক আছে।

কয় টা লুপ আছে। এগুলো লজিস্টিক ভাবে ভেঙে ভেড়ে বিকল্প খোঁজার চেষ্টা করুন। আমরা কেউ কারও পর না। আমরা সবাই মানুষ। আমাদের বাঁচতে হবে।



আমরা পৃথিবীতে গতি নামের অসাম্য দুর্গিতর প্রতিযোগিতা করতে আসি নি। আমরা এসেছি একে অপরকে সহযোগীতা করতে। আমরা সবাই মানুষ। কিসের এমেরিকা? কিসের মধ্য আফ্রিকা? কিসের ইকুয়েডরের রাজধানী কিটো? কিসের নিউজিল্যান্ড? কিসের বাংলাদেশ? কিসের চায়না? সবই মানুষের মঙ্গলের জন্য। এক জায়গার মানুষ অন্য জায়গায় বেড়াতে গেলে অসুবিধা কি? সাহায্য করলে অসুবিধা কি? একটি ছোট্ট জায়গায় বাস করে এতো বড় মন টাকে কিভাবে বুঝবেন।

ভাষার দ্রুত এমন একটি ইঞ্জিনিয়ারি করুন যাতে যোগাযোগ খুব সহজ হয়।

তারপরও তো আপনারা ট্রান্সলেট পারেন। আরে বন্ধু! এ ক’য়দিন আমার সাথে থেকে আপনি দেখতে পান নি যে ইন্টারনেট, ফেসবুকে যাদের ছবি দেখছেন সবাই এক একজন জলজ্যান্ত মানুষ। এ ক’দিনে কি আপনারা বুঝতে পারেন নি যে ছবি কতো জীবন্ত হতে পারে। ছবি যদি এমন করে দেখতে যানেন তাহলে একসাথে কাজ করলে অসুবিধা কোথায়?

আপনারা ভাবছেন তেল শেষ হয়ে গেলে কি করবো? তেল কি শেষ হয়ে গেছে? না জায় নি।

শুধু আপনার মন বিকল্প বা পরিবর্তনকে মন থেকে চাইছে না কারন আপনি হতাশ ও কোনো কারনে নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে আটকা পড়ে গেছেন। এ কেমন কথা?

আজও সমুদ্রের পানির গতিকে বুঝতে পারলেন না। সমুদ্রের ঢেউয়ের গতি অনের প্লেনের থেকেও বেশী হয়। সমদ্রর লোনা জলের সাথে কোন জিনিস মিশিয়ে বিকল্প জ্বালানি বের করা যায়। বা অন্য কোথায় আছে তা দেখতে দেখতেই পেয়ে যাবেন।

কিন্তু আগে নিজের মন ও শরীরকে নিয়ে চেষ্টা করুন। সমুদ্র পথে পৃথিবীর সব জায়গার সাথে সব জায়গায় পণ্য পরে আগে মানুষকে নিজের আনন্দটুকো শেয়ার করার জন্য হলেও ঘুরুন। আকাশ পথে পৃথিবিতে বিচরন করুন। সড়ক পথে পৃথিবীতে বিচরন করুন। রেল পথে পৃথিবীতে বিচরন করুন।

সবাই সমান হয়ে আনন্দ করুন। কিন্তু সবাই সবাইকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে করুন। দেখবেন সবঠিকই আছে।

এমেরিকার প্রেসিডেন্ট ওবামা সাহেবকে সবসময় কোন দেশে কি যুদ্ধ করা যায় বা মার্কিন নীতির পক্ষে বিপক্ষেই শুধু বলে যাবেন? আপনি তো মানুষ? আপনি মানবতার কথা গুলোকে লিড নিউজ করতে পারেন না? আপনারা কারা? ভুলে গেছেন? এতো তাড়াতাড়ি? আল্লাহ্ সবসময় সত্য ও শুভ কাজে চেষ্টা করিকে সহোযোগীতা করে যদি তিনি তাওহিদের আল্লাহ্ কে বিশ্বাস করে।

ওবামা মানুষ।

মাইকেল জ্যাকশন মানুষ। মাইকেল জ্যাকশন যদি অমন করে প্লাস্টিক সার্জারী না করে কালো মানুষ সাদা না হয়ে চেষ্টা চালাতেন তাহলে ঐ সময় ঐ রকম পরিবেশ ছিলো না। জ্যাকশন তো আপনাদের আনন্দই দিয়ে গেলেন। সাথে করে দিনের পর দিন বিভিন্ন অভিযোগ, ফেইস ভ্যালু আরো কতো কি দ্বারা বিরক্ত হয়ে চলে গেলেন। এই যাওয়ারও একটি দাম আছে তিনি তো সম্মান সাথে করে নিয়ে যান নি।

তিনি তো কালোদের জন্যই সাদাদের দলে একটু আশ্রয় নিয়েছিলেন। যদি না একটু আগে যাওয়া যায়?
মূল সমস্যা ছিলো আমরা আমাদের চিনতে শিখি নি। আর কিচ্ছু না। যারা সাদা বা টকটকে লাল গাজরের মতো মানুষ তাদের মনে কি দুঃখ নেই। মনে করছেন ঐ সাদা মানুষগুলো তাদের যিষুকে একদম ভুলে গেছেন? যিষুকে ভুলে যাওয়া একসাথে সবার পক্ষে সম্ভব না? হয়তো কিছু সংখ্যক মানুষ এতো বেশী ভুলে গেছেন যে নিজের মধ্যে সন্দেহ জেগেছিলো কোন পথে যাবো।

বারাক ওবামা মুসলিমের ঘরে জন্ম নিয়ে ও খৃষ্টান হয়ে ওঠেন নি? তিনি কি যিষুর কাছে চাইতেন না? দেখুন জিজ্ঞাস করে?

আমি বাংলাদেশের অনেক গুলো গীর্জায় রবিবার বা অন্য দিনে গিয়ে দেখেছি। গির্জা মানুষের জন্য আর বাংলাদেশের অল্প কয়েকজন খৃষ্টান সম্প্রদায়ের লোক গির্জায় একটু সময় কাটাতে আসে। এতগুলো এতো সুন্দর সুন্দর বড় গীর্জা মুসলিম হিন্দুরা পায় ভয়? ওরে একিগো? গীর্জার ভিতর ঢুকলেই নষ্ট হয়ে যাবি রে মা বলেছে? খৃষ্টান রা খুব খারাপ? তাহলে ঐ মানুষগুলো যাবে কোথায়? গীর্জায় সব ধর্মের লোক গিয়ে আনন্দ করলে কোন খৃস্টান আপনাকে মারতে আসবে বা খৃষ্টান বানাতে আসবে যদি আপনি নিজেকে মানুষ ভাবতে শেখেন? আপনার তাওহিদের ঈশ্বরের প্রতি আস্তা নাই বলেই পরের মতামত কে গুরুত্ব দিতে জনেন না? ঈশ্বর সব সময় আস্তা, কল্যানকর ও ন্যায়ের পক্ষে। মক্কা শরিফকে যদি গীর্জা বানিয়ে দেন তাতেও কিছু হবে না যদি আপনার মন ঠিক না হয়? তাইতো আমাদে এই দশা? আমাকে একদিন এক গীর্জার আপু (এক জন কালো মতো মেয়ে, ইস্কাটন গীর্জায় একা ঘুরতে গিয়েছিলাম) একটি বাইবেল গিফট করেছিলেন। এমনিতেই।

আমি তাকে বিশ্বাস করি বলে তিনিও আমাকে বিশ্বাস করেছেন এমন না হলেও অন্তত আমাদের আল্লাহ্ বানিয়েছেন বলে আমরা মানুষ। ১৯৯৪ইং সালে আমি তখন ঝালকাঠীতে একটি টিনের বাসায় ভাড়া থাকি তখন আম্মু প্রাইমারী ট্রেনিং ইউনিস্টিটিউটে ট্রেনিং নিয়ে সবেমাত্র ঐ ঘরে থাকা শুরু করেছি। আম্মুদের সাথে ট্রেনিং নিয়েছেন হাবিব আর অনিতা। তাদের মনের মায়া দেখে আমার খুব খারাপ লাগতো। অনিতা আণ্টি আমাকে ঝালকাঠীর সিটি পার্কে নিয়ে যায় তারপর তাদের কি কান্না কাটি।

আমার মা আমাদে বাসায় বসে বিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে। বিয়ের পর তাদের মিষ্টি কেনার টাকা বা সময় ছিলো না কিন্তু সবাই মিলে চিনি খেয়ে মিষ্টি মুখ করি। আজও তো ঐ দম্পত্বি সংসার করছে। বিয়ের ঐ দিন আমার বাবা কি যে ভয় পেয়েছিলেন মনে হচ্ছিলো ক্লিনটন সাহেব বন্দুক নিয়ে আমাদের আক্রমন করতে আসছে। এটাই মনের ভয় ছাড়া আর কিছু না।

যেখানে ইমান নেই সেখানে শয়তান থাকে। আর আমার বাবা মা এর মেল্টালিটি এতো এতো নিচ যে তারা এখনও পষুর মতো মাইন্ডেড। তারপরও একটি মহা দয়া আমার মা দেখিয়েছেন। এই দয়া আল্লাহ্ দিয়ে দেন। শুধু প্রান খুলে চাইতে জানতে হয়।

একে অপরকে বিশ্বাস করতে হয়। দেশের সিউরিটি দিতে দিতে কাহিল। আর মনের সিকিউরিটি হল বিশ্বাস। যে মনে বিশ্বাস নামক সিকিউরিটি থাকে সেখানে শয়তান দৌড়ে পালায়। চেষ্টা করুন বুঝে যাবেন।

কিন্তু বলবেন না। যদি বলতেই হয় একমাত্র তাওহিদের খোদাকে বলবেন তিনিই সর্ববিষয়ে ন্যায়ের পক্ষেই থাকেন।

বন্ধু! একসাথে থেকে মিলেমিশে থেকে ভাগাভাগি করে কিছু একটা বেছে নিতে কার না ভালো লাগে? যে মানুষ তার এতো আনন্দ লাগবেই। এই আনন্দ যদি অন্যায়ের জন্য হয় তাহলেই আল্লাহ্ আপনার সহায হবেন। এ বিশ্বাস নিজের মনে রেখে অন্যকেও অন্তত বুঝে সুঝে ঘেটে ঠিক হবার সুযোগ দিতে হয়।



আসুন বন্ধু! আমরা সবাই এক হয়ে আমাদের অন্তরে যে প্রেম নামক ফুলটি ফোটে তাকে প্রকাশিত করে অনন্তের পথে এগিয়ে যাই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.