আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শুরুর আগে



জেনিকা লন্ডন থেকে জার্মানিতে গেল আজ মাত্র এক সপ্তাহ হতে চলল। এরই মাঝে তানভীর রিটার সাথে ডেটিং এ বের হচ্ছে। কাজটা কি ঠিক হচ্ছে? তানভীর কিছু টা কনফিউস। জেনিকা ওকে অনেক পছন্দ করে, তানভীর তা জানে, তারপরেও তানভীরের মধ্যে এত কনফিউশন কেন যে আসে! এই মেয়ে টা সুদুর জার্মানি থেকে লন্ডন এসেছিলো শুধুই তার সাথে দেখা করার জন্য। তানভীরের কাছে ‘ভালোবাসা’ শব্দটা একটা খেলার মত লাগে।

অক্সফোর্ড সার্কাস থেকে একটু দূরে রিজেন্ট পার্ক এর দিকে হাঁটছে সে। রিটার সাথে ওখানেই দেখা করার কথা। তানভীরের কাছে সবকিছু এলোমেলো লাগছে, নিজেকে অনেক তুচ্ছ একটা নর্দমার কীটের মত মনে হচ্ছে। কিন্তু তার কি করা, জেনিকা কে এখন আর ভালো লাগেনা।

বেশীদিন কাউকে ভালো না লাগাটা নতুন নয়, তিন বছর হতে চলল।

‘ওয়ান লাভ’ শব্দ তার প্রতি তার একটা আদম্য আকর্ষণ ছিল। প্রথমবারের মত কারো হাত ধরা; কারো চোখে চোখ রাখা,এ ব্যাপার গুলো এমন কারো সাথে যেন হয় যার সাথে সে চিরজীবন থাকতে পারবে। এমনটাই চাইত তানভীর। ঠিক এমন ভাবেই সে কাউকে ভালোবাসত । কিন্তু ভালোবাসা টা যেন অপরাধ।

প্রথম বার রিলেশন এর এক বছর পর কোন কারন না দেখিয়েই মেয়েটা ব্রেক-আপ করে চলে যায়। চলে যাওয়ার সময় তানভীর বলেছিল- “তোমাকে ভেবে যখন আমি কাঁদব , তখন চোখ মুছবো না, কারন সেই পানি গুলো বাষ্প হয়ে তোমায় স্পর্শ করবে। আমি না পারলেও আমার চোখ তোমায় স্পর্শ করে যাবে, তুমি দেখে নিও”।
এর পর থেকেই প্রথম বারের ভালোবাসার অনুভূতি গুলোকে খুজে ফিরে তানভীর। ফ্রেন্ড সার্কেলের অনেকেই তাকে আড়ালে “প্লে-বয়” ডাকে।

তানভীর সেটা জানে। কিন্তু তার কিছু করার নেই। সেই অনুভূতি গুলোকে তার খুজে পেতেই হবে। যতদিন পর্যন্ত না পায় ততদিন পর্যন্ত সে খুজে যাবে। সবাই তাকে খুব আমুদি ছেলে ভাবে, কিন্তু তার আবেগ গুলো কেউ বুঝে উঠতে পারেনা।

হয়ত বাকি সবার মত রিটা কেও কিছুদিন পর তার ভালো লাগবেনা। কিন্তু তানভীরের কিছুই করার নেই। সে রিটার হাত ধরে ভালোবাসার প্রথম স্পর্শের অনুভূতি খুজে পেতে চায়। জেনিকার মত রিটাও হয়ত পরে কষ্ট পেয়ে চলে যাবে। কিন্তু তানভীর তা চায়না, সে চায় রিটা থাকুক তার সাথে আজীবন,সবসময়।

তার চোখ বেয়ে দু-ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। তানভীর চোখ মুছতে গিয়েও থেমে যায়। তার হেডফোনে গান চলছে
“No one know what is like
to be a bad man
to be a sad man, behind blue eyes....”
আর তানভীর হেটে চলছে রিজেন্ট পার্কের দিকে, সেখানে রিটা তার জন্য অপেক্ষায় আছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।